উজানের ঢলে তিস্তায় বাঁধ বিধ্বস্থ্য


ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ৪ আগষ্ট॥
 উজানের ঢলে তিস্তা নদীর প্রচন্ড স্রোতের চাপের ধাক্কায় ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব খড়িবাড়ীতে তিস্তার নদীর ডাঁনতীরে তৈরি করা ২ কিলোমিটার মাটির বাধ কাম কাচা সড়কটির একটি অংশ বিধ্বস্থ্য হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত হতে আজ শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত  দুই কিলোমিটার দীর্ঘ উক্ত বাঁধ কাম কাঁচা সড়কের ৯০ ভাগ নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। বাকী অংশ রক্ষায় তিনটি গ্রামবাসী আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। 

২০১৫ সালে ই্উএনডিপির অর্থায়নে, সিডিএমপি বাস্তবায়নে ইউনিয়ন পরিষদ বাঁধ কাম রাস্তাটি সংস্কার করা হয়েছিল। টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব খড়িবাড়ী গ্রামে ২৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তিস্তার নদীর স্বপন বাধ সংলগ্ন ১হাজার ৯৮২ মিটার দীর্ঘ, ৪ মিটার প্রস্থ্য ও ২ মিটার উচ্চতায় বাধটিতে নতুন করে সংস্কার  করা হয়। বাধটি ভেঙ্গে পড়ায় পূর্ব খড়িবাড়ী,দক্ষিন খড়িবাড়ী ও ছোটখাতা সহ তিন গ্রামের সহজ পথে চলাচলা বন্ধ হয়ে গেছে। এ ছাড়া ওই বাঁধ বা কাঁচা সড়কটি সম্পূর্ন বিধ্বস্থ্য হলে গ্রাম তিনটি  তিস্তা নদীর বন্যায় তলিয়ে যাওয়ার আশংকা করা হচ্ছে।  কবল থেকে সহ¯্রাধিক পরিবার বন্যার পানি প্রবেশ করবে। 
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম এলাকাটি পরিদর্শন করেন। পূর্ব খড়িবাড়ী গ্রামের জিয়াউর রহমান (৪৫) জানায়, মাটির বাধটি ভেঙ্গে যাওয়ার পলে ৩টি গ্রাম বন্যার পানির তলিয়ে যাবে। টেপাখড়িবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহীন জানায়, বাধটি রক্ষা করতে না পারায় ৩টি গ্রামের সহ¯্রাধিক পরিবারে বন্যার প্রবেশ করবে। বাধের ভেতরে কয়েক শত একর জমির ফসলের বন্যার পানিতে ব্যাপক ক্ষতি হবে। 
এদিকে টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চরখড়িবাড়ী নামকস্থানে  সেচ্ছাশ্রমে নির্মিত  মাটির বাঁধটি যে কোন সময় বিধ্বস্থ্য হতে পারে। এটি বিধ্বস্থ্য হলে একতার বাজার, জিঞ্জিরপাড়া, টাবুর চর, সানিয়াজানসহ ৮টি গ্রামের ১০ হাজার পরিবার বন্যা কবলিত হয়ে পড়বে। বাঁধটি রক্ষার জন্য এলাকাবাসী আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। 
উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমা (৫২ দশমিক ৪০ মিটার) ছুঁই ছুঁই অবস্থায় প্রবাহিত হচ্ছিল। 
খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নে কিসামত ছাতনাই চরের নুরল হক বলেন, নিচু এলাকার বসতভিটার উপর দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধিতে নদী অববাহিকার নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করায় রোপা আমন ধানের জমি গুলো পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজার রহমান বলেন, উজানের ঢলের পানির চাপে তিস্তা নদীর গতি ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে। ফলে বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। 

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 2393128408269930348

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item