খানা খন্দকে ভরা ডোমার পৌরসভা. নিত্য নাকাল পথচারী

আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার(নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ

নীলফামারীর ডোমার পৌর এলাকায় খানা খন্দকে ভরা রাস্তায় দূর্ঘটনায় ও নিত্য যানজটে নাকাল হচ্ছে এলাকাবাসী।যেন দেখার কেউ নেই। সরেজমিনে দেখাগেছে, উপজেলার পৌর এলাকার ফ্রেন্ডস হাসপাতাল থেকে ডোমার থানা সড়ক পর্যন্ত এই দির্ঘ এলাকায় প্রতিদিন বেলা বাড়ার সাথে সাথে যানজটের মাত্রাও যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। এর মূলকারণ ভাঙ্গা রাস্তায় পরে যানবহনের ধীরগতি, অপরিকল্পিত গাড়ী পার্কিং রাস্তা দখলকে দায়ী করছে অনেকে। এছাড়া চান্দিনা পাড়া সড়ক, সাহাপাড়া সড়কের অবস্থাও একই।

এখানেও রাস্তায় কাঁদা-মাটি আর যানযট পথচারীদের নিত্য সঙ্গী।  এতে সাধারণ পথচারী  স্কুলগামী ছাত্র/ছাত্রী, অসূস্থ্য রোগীরা চরম বিপাকে পড়ছে। বিশেষ করে ডোমার বাসষ্ট্যান্ড এলাকার অবস্থা আরো খারাপ। সেখানে রাস্তার দুধারে বাস ট্রাক এলোমেলো ভাবে দাড়িয়ে থাকায় কোথাও কোথাও হাটু কাঁদা যেন স্থায়ী আবাস গেড়ে বসেছে। এতে সড়কের দু-পার্শ্বের ব্যবসায়ীদের ব্যবসার চরম ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা। হোটেল ব্যবসায়ী আলম, বাবলু, প্রতিবেদকে জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেই এ এলাকায় খরিদ্দাররা কাঁদা-মাটি ঘেটে এখানে খেতে আসতে চায় না। এতে আমাদের বেঁচা-কেনায় ভাটা পড়েছে। ডোমার ফ্রেন্ডস হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকার কাওছার আলম বকুল জানান, চিরচেনা বর্ষা এলে ডোমারের পথঘাট গুলো অচেনা রুপ ধারণ করে। যাদের উপরে এগুলো দেখভালের দ্বায়িত্ব অবস্থা দেখে তাদের খুব একটা মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না। গত কয়েক দিনে  অসংখ্য যাত্রীবাহী অটোরিক্সা ভ্যান এখানে দূর্ঘটনার স্বীকার হয়েছে। গত কয়েক দিনে এখানে  ডজন খানেক যানবহন উল্টে গেছে সেখানে। সড়ক ও জনপদের একটি গাড়ী এসে এখানে সামান্য বালি, খোয়া ফেলে গেলেও দু -একদিনের মধ্যে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। তবে সমস্যার তেমন শুরাহা হয় নাই। পথচারী রফিকুল ইসলাম জানান, ডোমার বাজার এলাকায় ঢুকলে মনে হয় কোন কর্দমাক্ত জমিতে প্রবেশ করেছি। পৌরকর্তৃপক্ষ এসব দেখে কিভাবে চুপ করে থাকে বুঝতে পারছিনা। তিনি আরো জানান, এখানে অটো চালকদের ট্রাফিক আইন না মানাই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। পথঘাট দ্রুত মেরামত সহ অটোচালকদের নিয়মের মধ্যে এনে নির্দ্ধারিত স্থানে পাকিং এর ব্যবস্থা করে দিলে যানযট অনেকাংশে লাঘব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এবিষয়ে পৌর মেয়র আলহাজ্ব মনছুরুল ইসলাম দানু বলেন, শহরের মূল রাস্তাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতায় থাকায় সেখানে আমাদের করনীয় তেমন কিছু নেই। তবে স্বল্প বরাদ্দ নিয়ে পৌরসভাধীন সড়ক গুলোর মেরামতের সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 6662234024364855607

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item