নিখোঁজের সাড়ে চার মাস পর রংপুরে প্রেমিকার স্বীকারোক্তিতে প্রেমিকের মরদেহ উদ্ধার ॥ আটক ৩
https://www.obolokon24.com/2017/08/rangpur_88.html
এস.কে.মামুন
নিখোঁজের সাড়ে চার মাস পর রংপুরের বদরগঞ্জে জাকিরুল ইসলাম (২২) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে রংপুর পিবিআই পুলিশ। এ ঘটনায় আটক ৪জন। প্রেমিকা ও তার স্বজনদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের একটি ধানক্ষেতের মাটি খুঁড়ে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর বাজারে দরজির কারিগর ছিলেন জাকিরুল। তিনি ওই এলাকার পশ্চিমপাড়া গ্রামের আজাদ আলীর ছেলে। এর আগে গত ১৯ মার্চ থেকে জাকিরুলের কোন সন্ধান মিলছিল না। এ ঘটনায় জাকিরুলের বড় ভাই জরেজুল ইসলাম ২৩ মার্চ বদরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। প্রেম ঘটিত বিষয়ে জাকিরুলকে হত্যার পর লাশ গুম করা হয়ে থাকতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করে আসছিলেন তার পরিবারের সদস্যরা। রংপুর পিবিআই এর পুলিশ পরিদর্শক হোসেন আলী জানান, একই ইউনিয়নের হরিপুর এলাকার এক তরুণীর সঙ্গে নিখোঁজ জাকিরুলের প্রেম ছিল। ঘটনার রাতে মেয়েটির সঙ্গে মুঠোফোনে জাকিরুলের কথা-কাটাকাটি হয়। জাকিরুল নিখোঁজের বিষয়টি রংপুর পিবিআই পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার ওই তরুণী এবং তার বাবা জাকির হোসেন ও চাচা তাহারুলকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে জাকিরুলকে হত্যার পর মরদেহ ধানক্ষেতে পুঁতে রাখার বিষয়টি স্বীকার করেন তারা। তাদের দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শুক্রবার সকালে ওই ধানক্ষেত থেকে জাকিরুলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ । পুলিশ পরিদর্শক হোসেন আলী আরো জানান, মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনার সাথে আর কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জাকিরুলের বড় ভাই জরেজুল ইসলাম বলেন, ওই দিন (১৯ মার্চ) মধ্যরাতে মেয়েটি আমাকে ফোন দিয়ে কান্নাকাটি করছিল। এরই মধ্যে ফোনের লাইন কেটে যায়। এরপর অনেকবার ফোন দিলেও মেয়েটির ফোন বন্ধ পাই। সেই রাতে জাকিরুল বাড়িতেই ছিল। ভোরে দেখি ওর ঘরের দরজা খোলা এবং সে নেই। বাইসাইকেল নিয়ে রাতের কোনো একসময় সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর থেকে তার কোন সন্ধান মিলছিল না। এদিকে পিবিআই পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহিদুল্ল্যাহ কাওছার জানান, রাতভর অভিযান চালিয়ে ৩জনকে আটক করা হয়েছে।
নিখোঁজের সাড়ে চার মাস পর রংপুরের বদরগঞ্জে জাকিরুল ইসলাম (২২) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে রংপুর পিবিআই পুলিশ। এ ঘটনায় আটক ৪জন। প্রেমিকা ও তার স্বজনদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের একটি ধানক্ষেতের মাটি খুঁড়ে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর বাজারে দরজির কারিগর ছিলেন জাকিরুল। তিনি ওই এলাকার পশ্চিমপাড়া গ্রামের আজাদ আলীর ছেলে। এর আগে গত ১৯ মার্চ থেকে জাকিরুলের কোন সন্ধান মিলছিল না। এ ঘটনায় জাকিরুলের বড় ভাই জরেজুল ইসলাম ২৩ মার্চ বদরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। প্রেম ঘটিত বিষয়ে জাকিরুলকে হত্যার পর লাশ গুম করা হয়ে থাকতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করে আসছিলেন তার পরিবারের সদস্যরা। রংপুর পিবিআই এর পুলিশ পরিদর্শক হোসেন আলী জানান, একই ইউনিয়নের হরিপুর এলাকার এক তরুণীর সঙ্গে নিখোঁজ জাকিরুলের প্রেম ছিল। ঘটনার রাতে মেয়েটির সঙ্গে মুঠোফোনে জাকিরুলের কথা-কাটাকাটি হয়। জাকিরুল নিখোঁজের বিষয়টি রংপুর পিবিআই পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার ওই তরুণী এবং তার বাবা জাকির হোসেন ও চাচা তাহারুলকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে জাকিরুলকে হত্যার পর মরদেহ ধানক্ষেতে পুঁতে রাখার বিষয়টি স্বীকার করেন তারা। তাদের দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শুক্রবার সকালে ওই ধানক্ষেত থেকে জাকিরুলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ । পুলিশ পরিদর্শক হোসেন আলী আরো জানান, মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনার সাথে আর কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জাকিরুলের বড় ভাই জরেজুল ইসলাম বলেন, ওই দিন (১৯ মার্চ) মধ্যরাতে মেয়েটি আমাকে ফোন দিয়ে কান্নাকাটি করছিল। এরই মধ্যে ফোনের লাইন কেটে যায়। এরপর অনেকবার ফোন দিলেও মেয়েটির ফোন বন্ধ পাই। সেই রাতে জাকিরুল বাড়িতেই ছিল। ভোরে দেখি ওর ঘরের দরজা খোলা এবং সে নেই। বাইসাইকেল নিয়ে রাতের কোনো একসময় সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর থেকে তার কোন সন্ধান মিলছিল না। এদিকে পিবিআই পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহিদুল্ল্যাহ কাওছার জানান, রাতভর অভিযান চালিয়ে ৩জনকে আটক করা হয়েছে।