পীরগঞ্জে ইউপি নির্বাচন বিদ্রোহীদের বাগে না আনলে আ’লীগের বেকায়দা!

মামুনুররশিদ মেরাজুল রংপুর পীরগঞ্জ থেকে:

পীরগঞ্জে ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে বাগে আনতে পারলে নির্বাচনে আ’লীগ বেকায়দায় পড়তে পারে। দলটির স্থানীয় নেতৃবৃন্দ দুরুত্ব কমিয়ে আনার চেষ্টা করলেও নৌকা প্রতীক মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা টেনশনে রয়েছেন। বিদ্রোহী প্রার্থীদের কারণে ভোটাররাও বিপাকে পড়ায় নির্বাচনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে দলটির একাধিক সুত্র জানিয়েছে। তবে নির্বাচনে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থীদেরকে বিজয়ী করতে উপজেলা আ’লীগ পৃথক নির্বাচন মনিটরিং কমিটি গঠন করেছে।
জানা গেছে, নবগঠিত পীরগঞ্জ পৌরসভার সীমানা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে সদর, রায়পুর ও রামনাথপুর ইউনিয়নের কয়েকজন সাধারন মানুষ বাদী হয়ে আদালতে ৩টি মামলা করলে উল্লেখিত ইউনিয়নগুলোর নির্বাচন যথাসময়ে হয়নি। একপর্যায়ে মামলাগুলোর বাদীর সাথে অপোষরফার পর ইউনিয়নগুলোতে তফসিল ঘোষণা করা হয়। আগামী ২০ আগষ্ট ইউনিয়ন ৩টিতে নির্বাচন হবে। উপজেলা আ’লীগ থেকে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের পৃথক ৩ টি তালিকায় ৩ জনের করে নাম বাছাইয় করে আ’লীগৈর কেনদ্রীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। ওই তালিকার মধ্যে সদর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নুরুল ইসলাম ময়না, রায়পুরে রেজাউল করিম নান্নু চৌধুরী এবং রামনাথপুরে সাদেকুল ইসলাম বিএসসিকে নৌকা প্রতীক দেয়া হয়। গত ২৪ জুলাই মনোনয়ন দাখিলের দিনে আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ওই তালিকার অন্তর্ভূক্ত সদর ইউপির মোস্তাফিজার মোস্তা, রায়পুরে সাইদুর রহমান চৌধুরী দুলাল (উপজেলা আ’লীগের সহসভাপতি) এবং রামনাথপুরে সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার আইয়ুব আলীও বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। বিদ্রোহী প্রার্থীরা ভোটের মাঠে দাপিয়ে বেড়ানোর কারণে বেকায়দায় পড়েছে সাধারন ভোটাররা। কারণ বিদ্রোহী এবং নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দু’জনই আ’লীগ করেন। আ’লীগের মনোনীত প্রার্থীরাও নির্বাচনে তাদের বিজয় নিশ্চিত করতে দিনরাত গনসংযোগে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ওইসব ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদেরকে বিজয়ী করতে উপজেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে নির্বাচন মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরইমধ্যে বিদ্রোহী প্রার্থী কিংবা মনোনয়ন না পাওয়া হতাশ আ’লীগ নেতাদের সাথে দুরুত্ব কমাতে উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামীম দফায় দফায় বৈঠক করছেন বলে সুত্র জানিয়েছে। নির্বাচনে বিদ্রোহীরা তাদের বিজয় নিশ্চিত না হলে নৌকা ঠেকাও মিশনও নিতে পারে বলে একাধিক সুত্র জানিয়েছে। এক্ষেত্রে বিদ্রোহীরা তাদের পক্ষে ভোট প্রার্থনা না করে অন্য প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার রাতারাতি আহ্বান জানাতে পারে বলে জানা গেছে। নাম না প্রকাশের শর্তে আ’লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছে, বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে এখনই বাগে আনতে না পারলে আগামী ২০ আগষ্ট আ’লীগের জন্য শুভকর হবে না। এ ব্যাপারে রায়পুর ইউপির আ’লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজাউল করিম নান্নু বলেন, আমি গত নির্বাচনে ২য় অবস্থানে ছিলাম। এবারে আমি আমার বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। সদর ইউনিয়নের আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা (আনারস) বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আমি সাধারন মানুষ ও প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আ’লীগ থেকে মনোনয়ন চেয়ে পাইনি। জনগনের দাবীর কারণে আনারস প্রতীকে নির্বাচন করছি। উপজেলা আ’লীগের সম্পাদক ও পৌরমেয়র তাজিমুল ইসলাম শামীম বলেন, আ’লীগের প্রতি সাধারন মানুষের অকুন্ঠ সমর্থন রয়েছে। ২০ আগষ্ট আমরা জনগনের প্রত্যক্ষ ভোটে ৩টি ইউনিয়নেই জয়লাভ করবো। তবে ২/১ জন আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে না নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন। তাদের ব্যাপারে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
সুত্র জানায়, সদর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, নুরুল ইসলাম ময়না (নৌকা), মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা (আ’লীগ বিদ্রোহী) এবং মীর মোঃ আলী মানিক (মশাল); রায়পুরে রেজাউল করিম নান্নু চৌধুরী (নৌকা), সাইদুর রহমান চৌধুরী দুলাল (আ’লীগ বিদ্রোহী), সাবেক চেয়ারম্যান আনিছার রহমান সরকার (স্বতন্ত্র), মোস্তাফিজার রহমান (ধানেরশীষ) এবং আলমগীর হোসেন (স্বতন্ত্র); রামনাথপুরে সাদেকুল ইসলাম বিএসসি (নৌকা), গোলাম সরোয়ার হোসেন আইয়ুব (আ’লীগ বিদ্রোহী), আইয়ুব আলী সরকার( লাঙ্গল), আব্দুস সালাম (ধানেরশীষ), একরামুল হক কানু (স্বতন্ত্র) এবং জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর (স্বতন্ত্র)।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 4042101904060304370

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item