পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ করবে কে ?
https://www.obolokon24.com/2017/08/panchagar_19.html
সাইদুজ্জামান রেজা,পঞ্চগড় প্রতিনিধি ঃ
পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ করবে কে ? এ নিয়ে এলাকার সচেতন মহলের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সরকার যে মুহুর্তে শতভাগ বাল্য বিয়ে বন্ধ করার ঘোষনা দিয়েছেন ঠিক সেই মুহুর্তে আটোয়ারীতে সরকারি সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে বাল্য বিয়ে দেয়া হচ্ছে। সম্প্রতি আটোয়ারীর বিভিন্ন এলাকায় বাল্য বিয়ের প্রবনতা বৃদ্ধি পেলেও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে অনেক বাল্য বিয়ে পন্ড হয়ে যায়। এমনকি বাল্য বিয়ের সাথে জড়িতদের জেল জরিমানা করার নজির রয়েছে। গত ৫ আগস্ট আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের বালিয়া মহারাজা গ্রামের গনেশ চন্দ্র সিংহের নাবালিকা কন্যা পপি রাণীর সংগে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার তরলা গ্রামের কমল চন্দ্রের পুত্র হীরা লাল চন্দ্রের বিয়ে হয়। বিয়ের ধার্য্যকৃত দিনে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হলে তিনি তাৎক্ষনিক সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান কে জানান। চেয়ারম্যান বিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বিয়ের কার্যক্রম বন্ধকরে দিলেও গভীর রাতে মেয়েটিকে তুলে নিয়ে পীরগঞ্জে ছেলের বাড়িতে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়। উপজেলায় এরকম অহরহ ঘটনা ঘটেই চলছে। গত ১৬ আগস্ট উপজেলার আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের কোণপাড়া গ্রামের সুর্য্যকান্ত পালের কন্যা দিপ্তী রানী পালের সাথে ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়া থানার কশালগাঁও সেনপাড়া গ্রামের পরেশ চন্দ্র সেনের পুত্র সুমন চন্দ্র সেনের বাল্য বিয়েটি ঢাক ঢোল পিটিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার জনৈক গণমাধ্যমকর্মী এ বাল্য বিয়ে ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানালে তিনি উল্টো গণমাধ্যম কর্মীকে বিবাহের সাথে সংশ্লিষ্টদের ধরে নিয়ে এসে থানা অথবা তাঁর কাছে হাজির করার পরামর্শ দেন। নির্বাহী অফিসারের কথা শুনে হতভম্ব হয়ে গণমাধ্যমকর্মী জেলা প্রশাসককে বাল্য বিয়ের বিষয়টি জানান। তিনি থানায় জানানোর পরামর্শ দেন। শেষে জেলা প্রশাসকের পরামর্শ মতে থানার অফিসার ইনচার্জের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি বলেন, বাল্য বিয়ে বন্ধ করার দায়িত্ব ইউএনও’র। ইউএনও পুলিশ ফোর্স চাইলেই ফোর্স দেয়া যাবে। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা চলার সময় সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের মোবাইল ফোনটি বন্ধ ছিল। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শক্তি কুমার বলেন, আমি বিয়ের দাওয়াত খেয়েছি। মেয়ের বয়স সম্পর্কে আমার ধারনা নেই। বিয়ের কাজ সম্পাদনের ঠাকুর মিঠুন কুমার ঝাঁ বলেন,বিয়ে অনুষ্ঠানে আমি গিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। বিয়ে সম্পাদন আমি করিনি। প্রশাসনের বিড়ম্বনার কারনে অবশেষে ঢাক ঢোল পিটিয়ে আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে আটোয়ারী থেকে বাল্য বিয়ে সম্পাদন করে নিয়ে গেল ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়ার পরেশ চন্দ্র সেনের পুত্র সুমন সেন। এলাকার সচেতন মহলের প্রশ্ন, সরকার যে মুহুর্তে বাল্য বিয়ে শতভাগ বন্ধ করার জন্য তৎপর ঠিক সেই মুহুর্তে আটোয়ারীতে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে প্রশাসনের অনিহা কেন ? তাহলে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ করবে কে ?
পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ করবে কে ? এ নিয়ে এলাকার সচেতন মহলের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সরকার যে মুহুর্তে শতভাগ বাল্য বিয়ে বন্ধ করার ঘোষনা দিয়েছেন ঠিক সেই মুহুর্তে আটোয়ারীতে সরকারি সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে বাল্য বিয়ে দেয়া হচ্ছে। সম্প্রতি আটোয়ারীর বিভিন্ন এলাকায় বাল্য বিয়ের প্রবনতা বৃদ্ধি পেলেও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে অনেক বাল্য বিয়ে পন্ড হয়ে যায়। এমনকি বাল্য বিয়ের সাথে জড়িতদের জেল জরিমানা করার নজির রয়েছে। গত ৫ আগস্ট আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের বালিয়া মহারাজা গ্রামের গনেশ চন্দ্র সিংহের নাবালিকা কন্যা পপি রাণীর সংগে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার তরলা গ্রামের কমল চন্দ্রের পুত্র হীরা লাল চন্দ্রের বিয়ে হয়। বিয়ের ধার্য্যকৃত দিনে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হলে তিনি তাৎক্ষনিক সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান কে জানান। চেয়ারম্যান বিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বিয়ের কার্যক্রম বন্ধকরে দিলেও গভীর রাতে মেয়েটিকে তুলে নিয়ে পীরগঞ্জে ছেলের বাড়িতে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়। উপজেলায় এরকম অহরহ ঘটনা ঘটেই চলছে। গত ১৬ আগস্ট উপজেলার আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের কোণপাড়া গ্রামের সুর্য্যকান্ত পালের কন্যা দিপ্তী রানী পালের সাথে ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়া থানার কশালগাঁও সেনপাড়া গ্রামের পরেশ চন্দ্র সেনের পুত্র সুমন চন্দ্র সেনের বাল্য বিয়েটি ঢাক ঢোল পিটিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার জনৈক গণমাধ্যমকর্মী এ বাল্য বিয়ে ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানালে তিনি উল্টো গণমাধ্যম কর্মীকে বিবাহের সাথে সংশ্লিষ্টদের ধরে নিয়ে এসে থানা অথবা তাঁর কাছে হাজির করার পরামর্শ দেন। নির্বাহী অফিসারের কথা শুনে হতভম্ব হয়ে গণমাধ্যমকর্মী জেলা প্রশাসককে বাল্য বিয়ের বিষয়টি জানান। তিনি থানায় জানানোর পরামর্শ দেন। শেষে জেলা প্রশাসকের পরামর্শ মতে থানার অফিসার ইনচার্জের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি বলেন, বাল্য বিয়ে বন্ধ করার দায়িত্ব ইউএনও’র। ইউএনও পুলিশ ফোর্স চাইলেই ফোর্স দেয়া যাবে। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা চলার সময় সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের মোবাইল ফোনটি বন্ধ ছিল। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শক্তি কুমার বলেন, আমি বিয়ের দাওয়াত খেয়েছি। মেয়ের বয়স সম্পর্কে আমার ধারনা নেই। বিয়ের কাজ সম্পাদনের ঠাকুর মিঠুন কুমার ঝাঁ বলেন,বিয়ে অনুষ্ঠানে আমি গিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। বিয়ে সম্পাদন আমি করিনি। প্রশাসনের বিড়ম্বনার কারনে অবশেষে ঢাক ঢোল পিটিয়ে আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে আটোয়ারী থেকে বাল্য বিয়ে সম্পাদন করে নিয়ে গেল ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়ার পরেশ চন্দ্র সেনের পুত্র সুমন সেন। এলাকার সচেতন মহলের প্রশ্ন, সরকার যে মুহুর্তে বাল্য বিয়ে শতভাগ বন্ধ করার জন্য তৎপর ঠিক সেই মুহুর্তে আটোয়ারীতে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে প্রশাসনের অনিহা কেন ? তাহলে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ করবে কে ?