নীলফামারীতে হাসপাতাল সহ বহু গ্রাম পানির নিচে॥ দুই শিশু সহ নিহত ৪



ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ১৪ আগষ্ট॥
টানা বর্ষন ও উজানের ঢলে নীলফামারী জেলার ছয় উপজেলার ৬০ ইউনিয়ন ও চার পৌরসভা প্লাবিত হয়েছে। সরকারী ও বেসরকারী ভাবে ত্রাণ বিতরন এবং সরকারীভাবে সকল সেবা বানভাসীদের দেয়া হলেও থৈ থৈ পানির কবলে  ২০ লাখ জেলাবাসী চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। 

চারিদিকে এতো বানের পানি যে আজ সোমবার বৃস্টি না হলেও সেই পানি সহজে নামছেনা। জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
বানের পানিতে ডুবে শিশু সহ চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এরা হলো জেলার কিশোরীগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে সুজন(২২), ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের খানকাপাড়া গ্রামের আজিজুল ইসলামের চার বছরের ছেলে সাদিক, একই উপজেলার হরিনচড়া ইউনিয়নের আটিয়াপাড়া গ্রামের শরিফ মিয়ার দুই বছরের শিশু কন্যা শিলা আক্তার  
এবং সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের পূর্ব বেলপুকুর সাতপাই গ্রামের সোলেমান মিয়া ছেলে জাকারিয়া (৪০)। 
তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার নিচে নামলেও লন্ডভন্ড হয়েছে তিস্তা অববাহিকা। তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার (৫২ দশমিক ৪০) ৬৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে গতকাল রবিবার (১৩ আগষ্ট) প্রবাহিত হয়। সেই প্রবাহ তিস্তায় লাল সংকেত জারী করা হয়। 
আজ সোমবার তিস্তার পানি বিপদসীমার নিজে নেমে আসায় লাল সংকেত প্রত্যাহরে করে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড। 

জেলার কন্ট্রোল রুম সুত্র মতে, তিস্তা নদীর বন্যা ও ভাঙ্গনে ডিমলা উপজেলায় ৮ হাজার ৬৮৫ ও জলঢাকা উপজেলায় ৭ হাজার ৫০০ পরিবার  সহ  ১৬ হাজার ১৮৫ পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে। এ ছাড়া টানা বর্ষন ও বিভিন্ন নদীর বন্যায় জেলার ছয় উপজেলা ও চার পৌরসভায় ২৫ হাজার ৩৫০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়। এতে সর্বমোট জেলার  ৪১ হাজার ৫৩৫ পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে।

টানা বর্ষন উজানের ঢলে প্রচন্ড পানির চাপে গতকাল রবিবার (১৩ আগষ্ট) সকালে খড়খড়ি নদীর বিধ্বস্থ্য হওয়া  শহররক্ষা বাঁধ দিয়ে হু-হু করে পানি নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের বিভিন্নস্থানে প্রবেশ করায় সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতাল, ডিগ্রি কলেজ সহ শতশত ঘরবাড়ি পথঘাট তলিয়ে গেছে। হাসপাতালের নীচতলায় স¤পূর্ণ পানি। রান্নাঘরে এক কোমর পানি। হাসপাতালের সম্প্রসারিত ভবনের দোতালার বারান্দায় চলছে জরুরী রোগীর চিকিৎসা সেবা। 

জেলা সদরের পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের বুড়িখোরা নদীর পানি, গোড়গ্রাম ইউনিয়নের ইছামতি  শাখা নদীর পানি, চাপড়াসরজামি ইউনিয়নে বুড়িখোড়া নদীর পানি, সৈয়দপুরে কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের  চওড়া নদীর পানিউপচে ২০ টি গ্রাম রাস্তাঘাট ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। এসব ইউনিয়নে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বানভাসীদের আশ্রয় কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। সরকারের পক্ষে আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে তৈরী খাবার সহ শুকনা খাবার বিতরন করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন জনপ্রতিনিধিরা  বণ্যাত্বদের সার্বিক সহযোগীতা করছে। 
অপর দিকে জেলা শহরের পৌরসভা এলাকার বাবুপাড়া, প্রগতিপাড়া, সওদাগড়পাড়া, মাছুয়াপাড়া, মেলারডাঙ্গা, মধ্য-হাড়োয়া, নীলকুঞ্চ পাড়া, চিলামুড়ী, সুইচগেট, দেবীরডাঙ্গা, উত্তর হাড়োয়া, নিউ-বাবুপাড়া, হাড়োয়া মিশন, পঞ্চপুকুর পাড়া, পাইকারপাড়া, শান্তিনগর, ভেড়ভেড়ী, হঠাৎপাড়া, শাহীপাড়াসহ অনেক নিচু এলাকা পানি নিচে তলিয়ে রয়েছে। এছাড়া শহরের পাকা ও কাঁচা রাস্তাসহ ড্রেন কালভার্ট পুরোপুরি ও অংশিক খতি হয়েছে। ফলে পৌর এলাকার হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলোকে জরুরী ভিত্তিত্বে পৌরসভার পক্ষ থেকে শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়।  

নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোহম্মদ খালেদ রহীম জানান, জেলার বন্যা পরিস্থিতি চরম আকার ধারন করেছে। এ পর্যন্ত সরকারের দেয়া বরাদ্দের মধ্যে  ১৮৫.৬৪০ মেট্রিক চাল ও ৮ লাখ টাকা বিতরনের কার্যক্রম চলছে। এ ছাড়া প্রচুর পরিমান ত্রান মজুদ রয়েছে। এ ছাড়া আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে তৈরী খাবার ও শুকনা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।  #
নীলফামারীতে হাসপাতাল সহ বহু গ্রাম পানির নিচে॥ দুই শিশু সহ নিহত ৪
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ১৪ আগষ্ট॥ টানা বর্ষন ও উজানের ঢলে নীলফামারী জেলার ছয় উপজেলার ৬০ ইউনিয়ন ও চার পৌরসভা প্লাবিত হয়েছে। সরকারী ও বেসরকারী ভাবে ত্রাণ বিতরন এবং সরকারীভাবে সকল সেবা বানভাসীদের দেয়া হলেও থৈ থৈ পানির কবলে  ২০ লাখ জেলাবাসী চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। 
চারিদিকে এতো বানের পানি যে আজ সোমবার বৃস্টি না হলেও সেই পানি সহজে নামছেনা। জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
বানের পানিতে ডুবে শিশু সহ চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এরা হলো জেলার কিশোরীগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে সুজন(২২), ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের খানকাপাড়া গ্রামের আজিজুল ইসলামের চার বছরের ছেলে সাদিক, একই উপজেলার হরিনচড়া ইউনিয়নের আটিয়াপাড়া গ্রামের শরিফ মিয়ার দুই বছরের শিশু কন্যা শিলা আক্তার  
এবং সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের পূর্ব বেলপুকুর সাতপাই গ্রামের সোলেমান মিয়া ছেলে জাকারিয়া (৪০)। 
তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার নিচে নামলেও লন্ডভন্ড হয়েছে তিস্তা অববাহিকা। তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার (৫২ দশমিক ৪০) ৬৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে গতকাল রবিবার (১৩ আগষ্ট) প্রবাহিত হয়। সেই প্রবাহ তিস্তায় লাল সংকেত জারী করা হয়। 
আজ সোমবার তিস্তার পানি বিপদসীমার নিজে নেমে আসায় লাল সংকেত প্রত্যাহরে করে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড। 

জেলার কন্ট্রোল রুম সুত্র মতে, তিস্তা নদীর বন্যা ও ভাঙ্গনে ডিমলা উপজেলায় ৮ হাজার ৬৮৫ ও জলঢাকা উপজেলায় ৭ হাজার ৫০০ পরিবার  সহ  ১৬ হাজার ১৮৫ পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে। এ ছাড়া টানা বর্ষন ও বিভিন্ন নদীর বন্যায় জেলার ছয় উপজেলা ও চার পৌরসভায় ২৫ হাজার ৩৫০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়। এতে সর্বমোট জেলার  ৪১ হাজার ৫৩৫ পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে।

টানা বর্ষন উজানের ঢলে প্রচন্ড পানির চাপে গতকাল রবিবার (১৩ আগষ্ট) সকালে খড়খড়ি নদীর বিধ্বস্থ্য হওয়া  শহররক্ষা বাঁধ দিয়ে হু-হু করে পানি নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের বিভিন্নস্থানে প্রবেশ করায় সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতাল, ডিগ্রি কলেজ সহ শতশত ঘরবাড়ি পথঘাট তলিয়ে গেছে। হাসপাতালের নীচতলায় স¤পূর্ণ পানি। রান্নাঘরে এক কোমর পানি। হাসপাতালের সম্প্রসারিত ভবনের দোতালার বারান্দায় চলছে জরুরী রোগীর চিকিৎসা সেবা। 

জেলা সদরের পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের বুড়িখোরা নদীর পানি, গোড়গ্রাম ইউনিয়নের ইছামতি  শাখা নদীর পানি, চাপড়াসরজামি ইউনিয়নে বুড়িখোড়া নদীর পানি, সৈয়দপুরে কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের  চওড়া নদীর পানিউপচে ২০ টি গ্রাম রাস্তাঘাট ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। এসব ইউনিয়নে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বানভাসীদের আশ্রয় কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। সরকারের পক্ষে আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে তৈরী খাবার সহ শুকনা খাবার বিতরন করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন জনপ্রতিনিধিরা  বণ্যাত্বদের সার্বিক সহযোগীতা করছে। 
অপর দিকে জেলা শহরের পৌরসভা এলাকার বাবুপাড়া, প্রগতিপাড়া, সওদাগড়পাড়া, মাছুয়াপাড়া, মেলারডাঙ্গা, মধ্য-হাড়োয়া, নীলকুঞ্চ পাড়া, চিলামুড়ী, সুইচগেট, দেবীরডাঙ্গা, উত্তর হাড়োয়া, নিউ-বাবুপাড়া, হাড়োয়া মিশন, পঞ্চপুকুর পাড়া, পাইকারপাড়া, শান্তিনগর, ভেড়ভেড়ী, হঠাৎপাড়া, শাহীপাড়াসহ অনেক নিচু এলাকা পানি নিচে তলিয়ে রয়েছে। এছাড়া শহরের পাকা ও কাঁচা রাস্তাসহ ড্রেন কালভার্ট পুরোপুরি ও অংশিক খতি হয়েছে। ফলে পৌর এলাকার হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলোকে জরুরী ভিত্তিত্বে পৌরসভার পক্ষ থেকে শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়।  

নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোহম্মদ খালেদ রহীম জানান, জেলার বন্যা পরিস্থিতি চরম আকার ধারন করেছে। এ পর্যন্ত সরকারের দেয়া বরাদ্দের মধ্যে  ১৮৫.৬৪০ মেট্রিক চাল ও ৮ লাখ টাকা বিতরনের কার্যক্রম চলছে। এ ছাড়া প্রচুর পরিমান ত্রান মজুদ রয়েছে। এ ছাড়া আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে তৈরী খাবার ও শুকনা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। 

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 4462870260140523183

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item