নাগেশ্বরীতে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত

হাফিজুর রহমান হৃদয়, নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: 

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নারায়নপুর ইউপি চেয়ারম্যান মজিবর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করেছে তদন্ত কমিটি। অভিযোগে জানা যায়, ওই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই গায়ের জোরে সাধারন জনগনকে নয় ছয় বুঝিয়ে সরকারি নিয়ম অমান্য করে এলাকার উন্নয়নের কাজের বরাদ্দকৃত টাকা আত্বসাৎ করেছে বলে চেয়ারম্যানের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেসসহ ঝাড়–মিছিল করে এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ, উপ পরিচালক-দুর্নীতি দমন কমিশন-রংপুর, , দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ঢাকা, সচিব স্থানীয় সরকার সমবায় ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মহলে লিখিত অভিযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাগেশ্বরী কুড়িগ্রাম তদন্তের জন্য সহকারী কমিশনার (ভুমি)কে আহবায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে অন্যান্য অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করার জন্য উপজেলা সমাজসেবা অফিসারকে দায়িত্ব দিলে তারা সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করে। এ সময় এলাকাবাসী বিভিন্ন অভিযোগের প্রমান পত্র তদন্ত কমিটির হাতে তুলে দেয়। এলাকাবাসী অভিযোগ করেন নারায়নপুর ২নং ওয়ার্ড এর চৌদ্দঘুড়ি এলাকার মোসলেম মেম্বারের বাড়ী হইতে বর্ডার গার্ড ক্যাম্পের রাস্তা হয়ে মোহাম্মদ আলীর বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা পূনঃনির্মাণ করার জন্য বরাদ্দকৃত ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা এবং একই রাস্তায় ঠিকানা পরির্বতন করে একই অর্থ বছরের ২য় কিস্তির বরাদ্দকৃত অর্থ ৩ লক্ষ ৯৮ হাজার টাকা থাকলেও ঐ রাস্তায় কোন কাজ করেনি। ৩ নং ওয়ার্ডের শফিকুল ইসলাম, মোস্তফা, আবুল কালাম অভিযোগ করে বলেন, সোলার প্যানেল প্রকল্পে আমাদের নাম আছে কিন্তু সোলার দেয়নি। এছাড়াও এলজি এসপি প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থের কোন কাজ করেনি। সরেজমিনে দেখা যায় পাখিউড়া বাজারে জোরা লেট্রিন র্নিমান ১ লক্ষ ৬০ হাজার, ইউপির লাইব্রেরী স্থাপন ৪০ হাজার টাকা, বিলবোর্ড ও সাইনবোর্ডসহ অনান্য বিল বাবদ ৩৪ হাজার টাকার বরাদ্দ দেখালেও  সরেজমিনে কাজের কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি । হাজরা, আনোয়ারা, ছামিনা, ছায়মনা জানায়,  ৪শ ৫০ টাকা   নিয়ে ভিজিডি কার্ড প্রদান করেছে এবং প্রতিবার  চাউল বিতরণের সময় ৫০ টাকা করে নিয়ে ৩০ কেজির স্থলে ২২ থেকে ২৫ কজি করে চাউল বিতরণ করা হয়। ৪০দিনের কর্মসুচীতে  বাছের আলী ৫মাস আগে বিদেশ যায় এবং ছামাদ আলী ১২ বছর আগে মারা গেলেও তাদের নামে ৪০ দিনের কর্মসুচীতে নাম দেখায় ও কাজের টাকা চেয়ারম্যান উত্তলন করে আত্বসাৎ করে, আবার চেয়ারম্যান পরিবারের সরোয়ার, রাসেল, আজিবর, শাহআলম, হযরত, আব্দুল হকসহ একই বাড়িতে একাধিক নাম ও ধনী ব্যক্তিদের মাঝে  ভিজিডি ও বয়স্ক ভাতা ৪০ দিনের কর্মসূচীর নাম রয়েরে এবং গত ঈদ-উল ফিতর উদযাপন  উপলক্ষে  গরীব ও দুস্থদের মাঝে ভিজিএফ কার্ডের মাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও বেনামি কার্ডের মাল আত্বসাৎ করে । জানাযায় ১৩ কেজি গমের স্থলে ৫-৬ কেজি করে বিতরণ করে। বিতরণ শেষে ১শ ৮০ বস্তা গম বিক্রি করার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার পথে এলাকাবাসী কচাকাটা থানার ওসিকে মোবাইল ফোনে অভিযোগ করলে তাৎক্ষনিকভাবে ওসি ঘটনাস্থলে গিয়ে ২৯ বস্থা গম  আটক করে থানা হেফাজতে রাখে। এছাড়াও ২০১৫-২০১৬, অর্থ বছরের ভিজিএফ, ভিজিডি, কাবিখা, কাবিটা,৪০ দিনের কর্মসুচী,এলজিএসপি ননওয়েজসহ উন্নয়নমুলক প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ আত্বসাৎ করেছে বলেও অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হায়াত মো. রহমতুল্যাহ বলেন, অভিযোগের তদন্ত হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন নাগেশ্বরী থানা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা সমাজসেবা অফিসারের নিকট রয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রতিবেদনের ভিত্তিতে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।