কুড়িগ্রামে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত

হাফিজুর রহমান হৃদয়, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: 

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নারায়নপুর ইউপি চেয়ারম্যান মজিবর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গরিবের পেটে লাথি মেরে সে খাবার এখন ওই চেয়ারম্যানের পেটে। অভিযোগের তদন্ত করেছে তদন্ত কমিটি। এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানায়, চেয়ারম্যান হওয়ার শুরু থেকেই গায়ের জোরে ভিলেনি স্টাইলে নিজ শক্তি দেখিয়ে সাধারন জনগনকে ফাঁকি দিয়ে নয় ছয় বুঝিয়ে সরকারি নিয়ম অমান্য করে এলাকার উন্নয়নের কাজের বরাদ্দকৃত টাকা, গরীবের ন্যয্য পাওনা কেরে নিয়ে গরীবের পেটে লাত্তি দিয়ে তাদেরকে বঞ্চিত করেছে। ভিজিএফ, ভিজিডি, কাবিখা, কাবিটা,৪০ দিনের কর্মসুচী, ২০১৫-২০১৬, অর্থ বছরের এলজিএসপি ননওয়েজসহ উন্নয়নমুলক প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ আত্বসাৎ করেছে বলে এলাকাবাসির কাছে অভিযোগ পায়া যায় এবং এলাকাবাসী চেয়ারম্যানের দূর্ণীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেসেসহ ঝাড়–মিছিল করে। পরে এলাকাবাসী  জেলা পরিষদ কুড়িগ্রাম,উপ পরিচালক দূর্ণীতিদমন কমিশন রংপুর,উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাগেশ্বরী, দূর্ণীনিতি কমিশন দুদক ঢাকা, সচিব স্থানীয় সরকার সমবায় ও সমাজ কল্যান মন্ত্রালয় ঢাকাসহ বিভিন্ন মহলে লিখিত অভিযোগ করে। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাগেশ্বরী কুড়িগ্রাম তদন্তর জন্য সহকারী কমিশনার (ভুমি )কে আহবায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে অন্যান্য অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করার জন্য উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়। উক্ত অভিযোগের আলোকে নির্বাচিত তদন্ত কমিটিরা সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করে। এ সময় এলাকাবাসী বিভিন্ন অভিযোগের প্রমান পত্র তদন্ত কমিটিদের হাতে তুলে দেয় । এলাকাবাসী অভিযোগ করেন নারায়নপুর ২নং ওয়ার্ড চদ্দকুড়ি মোসলেম মেম্বারের বাড়ী হইতে বর্ডার গার্ড ক্যাম্পের রাস্তা হয়ে মোহাম্মদ আলীর বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা পূর্ন নির্মান করার জন্য উক্ত বরাদ্দকৃত ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা এবং একই রাস্তায় ঠিকানা পরির্বতন করে একই অর্থ বছরের ২য় কিস্তির বরাদ্দ কৃত অর্থ ৩ লক্ষ ৯৮ হাজার টাকা থাকলেও ঐ রাস্তায় কোন কাজ করেনি বলে এলাকাবাসি অভিযোগ করে। ৩ নং ওয়ার্ডের শফিকুল ইসলাম,মোস্তফা,আবুল কালাম অভিযোগ করে সোলার প্যানেল প্রকল্পে আমাদের নাম আছে কিন্তু সোলার দেয়নি। এছাড়াও এলজি এসপি প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থের কোন কাজ করেনি। সরেজমিনে দেখা যায় পাখিউড়া বাজারে জোরা লেট্রিন র্নিমান ১ লক্ষ ৬০ হাজার ,ইউপির লাইব্রেরী স্থাপন ৪০ হাজার,বিলবোর্ড সাইনবোর্ড অনান্য বাবদ মোট ৩৪ হাজার টাকার বরাদ্দ দেখালেও  সরেজমিনে কাজের কোন প্রমান পাওয়া যায়নি । হাজরা, আনোয়ারা, ছামিনা,ছায়মনা জানায়  ৪৫০ টাকা   নিয়ে ভিজিডি কার্ড প্রদান করেছে এবং প্রতিবার  চাউল বিতরনের সময় ৫০ টাকা করে নিয়ে ৩০ কেজির স্থলে ২২ থেকে ২৫ কজি করে চাউল বিতরন করা হয়। ৪০দিনের কর্মসুচীতে  বাছের আলী ৫মাস আগে বিদেশ যায় এবং ছামাদ আলী ১২ বসর আগে মারাগেলেও তাদের নামে ৪০ দিনের কর্মসুচীতে নাম দেখায় ও কাজের টাকা চেয়ারম্যান উত্তলন করে আত্বসাৎ করে, আবার চেয়ারম্যান পরিবারের সরোয়ার, রাশেল ,আজিবর,সাহআলম, হযরত, আব্দুল হকসহ একই বাড়িতে একাধিক নাম ও ধনী ব্যাক্তিদের মাঝে  ভিজিডি ও বয়স্ক ভাতা ৪০ দিনের কর্মসূচীর নাম রয়েছে। গত ঈদুল ফিতর উদযাপন  উপলক্ষে  গরীব ও দুস্থদের মাঝে ভিজিএফ কার্ডের মাল বিতরনে ব্যাপক অনিয়ম ও বেনামি কার্ডের মাল আত্বসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে । জানাযায় ১৩ কেজি গমের স্থলে ৫-৬ কেজি করে বিতরন করা হয়। বিতরন শেষে ১৮০ বস্তা গম বিক্রী করার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী কচাকাটা থানার ওসিকে মোবাইল ফোনে অভিযোগ করলে তাৎক্ষনিক ভাবে ওসি ঘটনা স্থলে গিয়ে ২৯ বস্থা গম  আটক করে থানা হেফাজতে রাখে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হায়াত মোঃ রহমতুল্যাহ বলেন, অভিযোগের তদন্ত হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন নাগেশ্বরী থানা, উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও উপজেলা সমাজসেবা অফিসারের নিকট রয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রতিবেদনের ভিত্তিতে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুরোনো সংবাদ

কুড়িগ্রাম 515126544221294969

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item