কিশোরগঞ্জে বন্যা উপদ্রুত এলাকায় গরুর মড়ক

শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধি-
নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলায় বন্যা উপদ্রুত এলাকায় গবাদি পশুর মড়ক দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহে বাহাগিলি সন্নাসীপাড়ায় ১০ টি গরু ও ২০ টি ছাগল মারা গেছে। অসুস্থ হয়েছে প্রায় শতাধিক গরু ছাগল অন্যান্য ইউনিয়ন গুলো থেকে গবাদি পশুর অসুস্থতার খবর পাওয়া গেছে। জানা গেছে সাম্প্রতিক বন্যা উপদ্রুত এলাকায় পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে গবাদি পশুর পেট ফুলা ও পাতলা পায়খানা দেখা দিয়েছে। কুষকরা জানায় বন্যার পানিতে গবাদিপশু গুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখতে না পারায় চারদিন ধরে কোমর পানিতে ছিল। পানি নেমে যাওয়ার পর গরু, ছাগলগুলো পেট ফুলে পাতলা পায়খানা করে মারা যাচ্ছে। একর পর এক সুস্থ্য গরু, ছাগল গুলো ওই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বাহাগিলি ইউনিয়নের সন্ন্যাসীপাড়া গ্রামে অমূল্য চন্দ্র রায় বলেন, তার দু‘টি গাভীর মধ্যে একটি ওই রোগে আক্রান্ত হয়ে মরে গেছে। এটি ও অসুস্থ্য হচ্ছে। একই গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন বলেন, তার একটি বিদেশী গাভী পেট ফুলে গিয়ে মরে গেছে। একই কথা বলেছে মানিকা রাণী, তিলোক চন্দ্র, তৈলক্ষ রায়ের প্রত্যেকের দুইটি করে ছাগল মরে গেছে। অন্যান্য ইউনিয়ন গুলো থেকে গবাদি পশু পেট ফুলা, পাতলা পায়খানায় আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। বাহাগিলি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান দুলু শাহ বলেন, আমার বাহাগিলি ইউনিয়নের সন্ন্যাসীপাড়া ১০ টি গরু ও ২০ ছাগল মরে যাবার পর আমি প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাকে ভ্যাকসিনেশন করার জন্য বলেছি।  প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাহাগিলি ইউপি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ওই ইউনিয়নের বন্যা দূর্গত এলাকায় গরু ও ছাগল মৃত্যুর খবর পেয়ে সেখানে লোক পাটিয়ে গরু ও ছাগলের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।