কিশোরগঞ্জে টানা বর্ষনে পানি বন্দি কয়েক হাজার মানুষ

মোঃ শামীম হোসেন বাবু, কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধি ॥ 
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায়  গত চার দিনের টানা ভারী বর্ষনে  ও উজানের ঢলে  বিভিন্ন নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে।  উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের নিচু এলাকার বাড়ি ঘর ও ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বিভিন্ন ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।  পানি বন্দি বাড়ির লোকজন  স্কুলের বারান্দায় আশ্রয় নিয়েছে। এসব তলিয়ে যাওয়া এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা এস এম মেহেদী হাসান। পানি বন্দি মানুষদের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ৮. ৯ মেট্রিকঁন চাল ও উপজেলা পরিষদ থেকে নগদ এক লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, এ উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের মধ্যে বড়ভিটা ইউনিয়নের দক্ষিন বড়ভিটা, বাহাগিলি ইউনিয়নের বৈরাগীপাড়া, মাগুড়া ইউনিয়নের মাগুড়া দোলাপাড়া ও কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের কেশবা ও পুষনা গ্রামের  দশ হাজার একশটি পরিবার  পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব গ্রামের লোকজন গরু, ছাগল, হাস, মুরগী, ও সাংসারিক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে স্কুল কলেজ সহ বিভিন্ন উঢ়ুঁ জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। পাশাপাশি ভারী বর্ষনের কারনে নদ নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায়  শতাধিক হেক্টর উঠতি আমন ক্ষেত ও অন্যান্য ফসল  পানিতে তলিয়ে গেছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, এবারে এ উপজেলায় ১৪ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপন করা হয়েছিল। কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের কারনে ৫ হাজার দুই শত হেক্টর জমির আমন ক্ষেত ও খরিপ -২ মৌসুমের ৪০ হেক্টর জমির শাকসব্জির ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে।   কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ২১৯ মিলিমিটার বৃস্টিপাত রেকর্ড করেছে উপজেলা  কৃষি বিভাগ।

বড়ভিটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলার রহমান জানান, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে রাস্তাঘাট সব তলিয়ে গেছে। বাড়ির  ভেতরেও পানি প্রবেশ করেছে। এতে দুর্ভোগ বেড়েছেঅনেকগুন। তিনি আরো জানান, ভারী বৃষ্টির কারনে  বড়ভিটা মধ্যপাড়ার রাস্তার উপরে ৪ থেকে ৫ ফিট পানি উঠেছে। এতে করে ওই এলাকার লোকজন কলার ভেলা দিয়ে চলাচল করছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মেহেদী হাসান বলেন, পানি বন্দি এলাকাগুলো পরিদর্শনে গিয়ে ওইসব এলাকার মানুষদের জন্য মেডিকেল টিম গঠন করে দেয়া হয়েছে। মেডিকেল টিমের সদস্যরা পানিবন্দি মানুষকে খাবার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধ করন ট্যাবলেট সরবরাহ করছেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদেরকে সাথে নিয়ে পানিবন্দি পরিবারগুলোকে দশ কেজি করে চাল ও শুকনা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।
নীলফামারী ৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শওকত চেীধুরী বলেন, আমি আমার নির্বাচনি এলাকার পানিবন্দি পরিবারগুলোকে সকল প্রকার সহায়তা প্রদান করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বলেছি।

পুরোনো সংবাদ

এক ঝলক 5008378564979599198

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item