জলঢাকায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ত্রানের চাল বিক্রির অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধি ২০ আগষ্ট॥
বন্যায় সরকারের দেয়া ত্রানের চাল বিক্রির অভিযোগ উঠেছে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার গোলনা ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ্য ওই ইউনিয়নের ৫০ পরিবার এই অভিযোগ করে। অপর দিকে ইউপি চেয়ারম্যান বন্যায় তার ইউনিয়নে আরো চারশত পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এমন মিথ্যে ঘটনা সাজিয়ে ত্রাণের চালের আরো বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করার এলাকায় তোলপাড় সৃস্টি করেছে।
আজ রবিবার (২০ আগষ্ট) ওই অভিযোগে বলা হয়, বন্যায় ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ডের গোলনা কালিগঞ্জ পূর্বপাড়া গ্রামের ৫০ পরিবারের ঘরবাড়ি বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। এ জন্য সরকার কর্তৃক উপজেলা পিআইও অফিস হতে ওই ৫০ পরিবারের জন্য দশ কেজি করে ৫০০ কেজি চাল বরাদ্দ দেয়। ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল আলম কবীর উক্ত চাল সরকারী খাদ্যগুদাম হতে উত্তোলন করে কালোবাজারে ১৯ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। ফলে বন্যা কবলিত পরিবারগুলো সরকারের ত্রাণের ১০ কেজি করে এই চাল হতে বঞ্চিত হয়।
এলাকাবাসীদের মধ্যে আজিজুল ইসলাম (৫২) ও এমদাদুল হক (৪৮) সহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন এর আগেও ওই চেয়ারম্যান ভিজিএফের চাল নিয়ে ছয় নয় করেছিল। এবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ্য ৫০ পরিবারের ৫০০ কেজি চাল কালোবাজারে বিক্রি করে দিয়েছে। এবার মিথ্যে ক্ষতিগ্রস্থ্য দেখিয়ে আরো চারশত পরিবারের জন্য চাল বরাদ্দ চেয়েছে। এই চাল পেলে সেটিও কালোবাজারে বিক্রি করে দিবে।
উক্ত ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মহিদুল রহমান বলেন, এলাকার বন্যা কবলিত ৫০ পরিবারগুলো কোন চাল পায়নি। তবে চেয়ারম্যান সাহেব ১৭টি পরিবারকে দেড়শত করে ও ৩৩ পরিবারকে একশত করে টাকা বিতরন করে। এ ছাড়া উপজেলা পরিষদ হতে প্রাপ্ত চিড়া মোমবাতি ও ম্যাচ প্রদান করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যানের কামরুল আলম কবীরের সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবার চারশত। তাই বরাদ্দে পাওয়া ৫০ পরিবারের ৫০০ কেজি সরকারী ত্রানের চাল ১৯ হাজার টাকায় বিক্রি করে সেই টাকা কম বেশী করে সকল পরিবারকে ভাগ করে বিতরন করা হয়।
তবে জলঢাকা উপজেলার পিআইও মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, উক্ত ইউপি চেয়ারম্যান বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ৫০ পরিবারের তালিকা দিয়ে ৫০০ কেজি চাল নিয়ে যায়। তিনি ওই চাল কোন ভাবে বিক্রি করতে পারেননা। নিয়ম অনুযায়ী ৫০ পরিবারকে  ১০ কেজি করে চাল বিতরন করতে হবে। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আ্ইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে পিআইও বলেন, উক্ত ইউপি চেয়ারম্যান নতুন করে আরো চারশত পরিবারকে ক্ষতিগ্রস্থ দেখিয়ে চালের বরাদ্দ চেয়েছে। এটিও তদন্ত করে দেখা হবে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 5274995188094563976

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item