জলঢাকায় বন্যা মোকাবেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা ও ত্রাণ বিতরণ

মর্তুজা ইসলাম, জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
টানা কয়েকদিনের ভারি বর্ষণ ও ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নীলফামারীর জলঢাকা পৌরসভাসহ ১১টি ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। ফলে ফসলি জমি ও ঘরবাড়িসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তলিয়ে গেছে পানিতে।
ভেসে গেছে মাছের খামার। টানা ভারিবর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কোন কোন ইউনিয়নে ভেঙ্গে গেছে গ্রাম রক্ষা বাধ। পানি বন্দী এলাকার পরিবার গুলো আশ্রয় নিয়েছে নিরাপদ স্হান ও পাশাপাশি স্কুলে ।  শৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান প্রানজিৎ রায় পলাশ বলেন যেন অতীতের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে এবারের বন্যা। এদিকে রোববার দুপুরে জলঢাকা উপজেলা  পরিষদ হলরুমে বন্যা মোকাবেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, নীলফামারী ৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা। এসময় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাঃ রাশেদুল হক প্রধান, থানা অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সহিদ হোসেন রুবেল, উপজেলা পরিষদের ভাইসচেয়ারম্যান ফয়সাল মুরাদ, রিভা আমজাদ, উপজেলা প্রকৌশলী হারুন অর রশীদ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা চঞ্চল কুমার ভৌমিক, শিক্ষা অফিসার শাহাজাহান,  মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্মকর্তা শামীম জাহিদ তালুকদার, ঘাতক দালাল নিমুল কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আব্দুল গাফ্ফার, ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ শামীম ও কামরুল আলম কবির প্রমুখ। সভা শেষে বিকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন এলাকার পানি বন্দী পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানানো হয়েছে, কয়েক দিনের ভারি বর্ষণে তিস্তা নদী ছাড়াও বুড়ি তিস্তা, চারালকাটা, বুড়িখোড়া, যমুনেশ্বরী, খড়খড়িয়া, দেওনাই, খেড়ুয়া, শালকি, নাউতারা, কুমলাই, ধুম, ধাইজান, চিকলি, আউলিয়া খানা ও ইছামতি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উপজেলার শৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান প্রাণজিৎ রায় পলাশ বলেন, তার ইউনিয়নে  তিস্তার বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তিনি নিজেস্ব তহবিল থেকে শুকনো খাবারের জন্য কিছু অর্থ দিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মাদ রাশেদুল হক প্রধান বন্যার বিষয়ে বলেন, জলঢাকা উপজেলার কয়েকটা নদী রয়েছে,  জরুরিভাবে  বন্যায় আটকেপড়া লোকদের উদ্ধার করে, সরকারি ত্রাণ তহবিল থেকে তাদের খাওয়া এবং থাকার ব্যবস্থা করেছি। উপজেলার সকল বন্যার্ত মানুষের কাছে সরকারি ত্রাণ পৌছানো অব্যাহত রয়েছে।
নীলফামারী ৩ আসনের এমপি মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা বলেন, বন্যা শুরু থেকে আমি আমার নির্বাচনী এলাকায় আছি। বন্যা কবলিত প্রতিটি এলাকায় যাচ্ছি। তাতে যা দেখছি সেই ৮৮র বন্যাকেও হার মানিয়েছে। বন্যায় পানিবন্দী মানুষদের দেখে আমি আমার চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। তাই এসব বন্যাদুর্গত অসহায় মানুষদের পাশে দাড়ানোর আহবান জানান তিনি।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 1165538593118927611

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item