গজলডোবার ৩৫ লকগেট খুলে দেয়া হয়েছে॥তিস্তায় ভয়াবহ বন্যার আশংকা


ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ১২ আগষ্ট॥
উজানের ঢল তিস্তা নদীতে বেড়েই চলেছে। তার উপর ভারী বর্ষন। আজ শনিবার সন্ধ্যায় ভারত গজলডোবা ব্যারাজের নতুন করে ১৪টি লকগেট খুলে দিয়েছে। এর আগে ২১টি লকগেট খুলে দেয়া হয়েছিল। এ নিয়ে ৩৫ টি লকগেট খুলে দেয়া হলো। গজলডোবায় মোট জলকপাট ৫৪টি।
সুত্রমতে, গজলডোবায় পানির চাপ বৃদ্ধি পেলে আরো লকগেট খুলে দেয়া হবে।
এদিকে  হু-হু করে উজানের ঢল বাংলাদেশের তিস্তা নদীতে ধেয়ে আসছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা সর্তকীকরন পূর্বাভাস কেন্দ্র জানায়, ওই ঢলের পানি আগামীকাল রবিবার (১৩ আগষ্ট) সকাল নাগাত বাংলাদেশে প্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে। তিস্তা ব্যারাজ হতে উজানে নদীপথে ভারতের গজলডোবা ব্যারাজের  দুরন্ত প্রায় ১৩০ কিলোমিটার। আজ শনিবার সকাল হতে তিস্তা নদীতে ডালিয়া পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার (৫২দশমিক ৪০)  ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত হলেও সন্ধ্যা ৬টায় উজানের ঢল কিছুটা কমে বিদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এদিকে ভারতের গজলডোবার লকগেট খুলে দেয়ার খবরে সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশে তিস্তা অববাহিকায় সর্তকতাজারী করেছে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড। সেই সঙ্গে নদী তীরবর্তি এলাকার বসবাসরত পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে।
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশাচাঁপানী, খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা জানান ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার নির্দেশে মানুষজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বলেন, নদীর পানি হু-হু করে শুধু বাড়ছে আর বাড়ছে। মানুষজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
ভারতের ২৪ ঘন্টা নিউজের অনলাইনে বলা হয়েছে বাংলাদেশের তিস্তা ব্যারাজের উজানের ভারত তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় ও ভারতের দো-মোহনী থেকে বাংলাদেশ কালিগঞ্জ জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় জারি হয়েছে হলুদ সংকেত।
এদিকে উজান হতে ভয়াবহ ঢল আসছে খবরে তিস্তা অববাহিকায় ছড়িয়ে পড়েছে চরম আতংক। অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে ১৯৮৮ ও ৯৬ সালের চেয়েও কি ভয়াবহ বন্যা ধেয়ে আসছে কি না ?
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, উজানের ঢলের খবরে তিস্তা অববাহিকার উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের নদী বেষ্টিত গ্রাম ও চরের পরিবারগুলোকে নিরপদে সরে যেতে বলা হয়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজার রহমান বলেন ভারতের দো-মোহনী পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে ধেয়ে আসছে বাংলাদেশে। তাই সর্তকতা জারী করা হয়েছে। সেই
সঙ্গে বাংলাদেশে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ টি জলকপাট খুলে রেখে সর্তকদৃস্টি রাখা হয়েছে। #



পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 840560177764477342

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item