আজ ২৬ আগস্ট ফুলবাড়ী ট্রাজেডি দিবস
https://www.obolokon24.com/2017/08/fulbari_26.html
মেহেদী হাছান উজ্জল ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
আজ ২৬ আগস্ট শনিবার দিনাজপুরের ফুলবাড়ী ট্রাজেডি দিবস। উন্মুক্ত পদ্ধতিতে ফুলবাড়ী কয়লাখনি না করার দাবিতে ২০০৬ সালের এইদিনে তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির উদ্যোগে বহুজাতিক কোম্পানী এশিয়া এনার্জির ফুলবাড়ী অফিস ঘেরাও কর্মসূচি চলাকালে তৎকালিন বিডিআর ও পুলিশের গুলিতে কলেজ ছাত্র তরিকুল, আমিন ও সালেকিন নামের তিন যুবকের মৃত্যুসহ দু’শতাধিক নারী-পুরুষ আহত হন। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ সুজাপুরের বাবলু রায়ের মতো অনেকেই এখনও পঙ্গুত্বের অসহণীয় যন্ত্রণা বয়ে বেড়াচ্ছেন। ইতোমধ্যে গুলিবিদ্ধ সাহাবাজপুরের গুলিবিদ্ধ প্রদীপ সরকার মৃত্যু যন্ত্রণা নিয়েই সাত মাসে আগে মৃত্যুবরণ করেছেন।
২৬আগস্ট থেকে ৩০আগস্ট পর্যন্ত জনতার আন্দোলন সংগ্রামে উত্তাল ছিল ফুলবাড়ী খনি এলাকা। ২৮আগস্ট এশিয়া এনার্জির সুবিধাভোগী (দালাল) হিসেবে চিহ্নিত কয়েক ব্যক্তির বাড়িঘর ভাংচুর চালিয়ে পুড়িয়ে দেয় বিক্ষুদ্ধ জনতা।
গণআন্দোলনের মুখে তৎকালিন বিএনপি-জামাত ৪দলীয় জোট সরকারের পক্ষ থেকে ৩০আগস্ট সন্ধ্যায় পার্বতীপুর উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে সমঝোতা বৈঠকে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আন্দোলনকারিদের সাথে সরকারের ছয়দফা সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষতির হয়। এতে সরকারের পক্ষ স্বাক্ষর করেন তৎকালীন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মিজানুর রহমান মিনু এবং আন্দোলনকারিদের পক্ষে পক্ষে স্বাক্ষর করেন তেল গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহম্মদ।
এ সময় সরকারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন খাদ্য ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আসাদুল হাবীব দুলু এবং আন্দোলনকারিদের পক্ষে জাতীয় কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা জোনায়েদ সাকি, নজরুল ইসলাম, জেলা শাখা সৈয়দ মোসাদ্দেক হোসেন লাবু, মোশাররফ হোসেন নান্নু, উপজেলা শাখা সৈয়দ সাইফুল ইসলাম জুয়েল, আব্দুল মজিদ চৌধুরী, আমিনুল ইসলাম বাবলু, জয়প্রকাশ গুপ্ত, হামিদুল হক, এসএম নূরুজ্জামান জামান, এম এ কাইয়ুম, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লিয়াকত আলী, বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ খুরশিদ আলম মতি, ফুলবাড়ী পৌরসভার মেয়র, থানা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও খনি বিরোধী সম্মিলিত পেশাজীবী সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক মুরতুজা সরকারসহ বিভিন্ন পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ।
এই ছয়দফা চুক্তির মধ্যে রয়েছে এশিয়া এনার্জিকে ফুলবাড়ী ও দেশ থেকে বহিস্কার, উন্মুক্ত পদ্ধতির কয়লাখনি ফুলবাড়ীসহ দেশের কোথাও না করা, পুলিশ-বিডিআরের গুলিতে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান, আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা, গুলি বর্ষণসহ হতাহতের প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত কমিটি গঠন, শহীদের স্মৃতিসৌধ নির্মাণসহ এশিয়া এনার্জির দালালদের গ্রেফতারসহ শাস্তি প্রদান, আন্দোলনকারিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সকল মামলা প্রত্যাহার এবং নতুন করে মামলা না করা।
এদিকে তৎকালিন বিএনপি-জামাত জোট সরকার ছয়দফা চুক্তির আংশিক বাস্তবায়ন করে। ছয়দফা চুক্তি পূর্ণ বাস্তায়নের দাবিতে এখনও ফুলবাড়ী খনি অঞ্চলের মানুষ আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে। ২৬আগস্ট দিনটিকে তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি ‘‘ফুলবাড়ী দিবস’’ এবং স্থানীয়ভাবে গড়ে ওঠা সম্মিলিত পেশাজীবী সংগঠন ‘‘ফুলবাড়ী শোক দিবস’’ হিসেবে ঘোষণা করে পৃথক পৃথকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে পালন করে আসছে।
আজ ২৬ আগস্ট শনিবার দিনাজপুরের ফুলবাড়ী ট্রাজেডি দিবস। উন্মুক্ত পদ্ধতিতে ফুলবাড়ী কয়লাখনি না করার দাবিতে ২০০৬ সালের এইদিনে তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির উদ্যোগে বহুজাতিক কোম্পানী এশিয়া এনার্জির ফুলবাড়ী অফিস ঘেরাও কর্মসূচি চলাকালে তৎকালিন বিডিআর ও পুলিশের গুলিতে কলেজ ছাত্র তরিকুল, আমিন ও সালেকিন নামের তিন যুবকের মৃত্যুসহ দু’শতাধিক নারী-পুরুষ আহত হন। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ সুজাপুরের বাবলু রায়ের মতো অনেকেই এখনও পঙ্গুত্বের অসহণীয় যন্ত্রণা বয়ে বেড়াচ্ছেন। ইতোমধ্যে গুলিবিদ্ধ সাহাবাজপুরের গুলিবিদ্ধ প্রদীপ সরকার মৃত্যু যন্ত্রণা নিয়েই সাত মাসে আগে মৃত্যুবরণ করেছেন।
২৬আগস্ট থেকে ৩০আগস্ট পর্যন্ত জনতার আন্দোলন সংগ্রামে উত্তাল ছিল ফুলবাড়ী খনি এলাকা। ২৮আগস্ট এশিয়া এনার্জির সুবিধাভোগী (দালাল) হিসেবে চিহ্নিত কয়েক ব্যক্তির বাড়িঘর ভাংচুর চালিয়ে পুড়িয়ে দেয় বিক্ষুদ্ধ জনতা।
গণআন্দোলনের মুখে তৎকালিন বিএনপি-জামাত ৪দলীয় জোট সরকারের পক্ষ থেকে ৩০আগস্ট সন্ধ্যায় পার্বতীপুর উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে সমঝোতা বৈঠকে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আন্দোলনকারিদের সাথে সরকারের ছয়দফা সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষতির হয়। এতে সরকারের পক্ষ স্বাক্ষর করেন তৎকালীন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মিজানুর রহমান মিনু এবং আন্দোলনকারিদের পক্ষে পক্ষে স্বাক্ষর করেন তেল গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহম্মদ।
এ সময় সরকারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন খাদ্য ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আসাদুল হাবীব দুলু এবং আন্দোলনকারিদের পক্ষে জাতীয় কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা জোনায়েদ সাকি, নজরুল ইসলাম, জেলা শাখা সৈয়দ মোসাদ্দেক হোসেন লাবু, মোশাররফ হোসেন নান্নু, উপজেলা শাখা সৈয়দ সাইফুল ইসলাম জুয়েল, আব্দুল মজিদ চৌধুরী, আমিনুল ইসলাম বাবলু, জয়প্রকাশ গুপ্ত, হামিদুল হক, এসএম নূরুজ্জামান জামান, এম এ কাইয়ুম, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লিয়াকত আলী, বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ খুরশিদ আলম মতি, ফুলবাড়ী পৌরসভার মেয়র, থানা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও খনি বিরোধী সম্মিলিত পেশাজীবী সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক মুরতুজা সরকারসহ বিভিন্ন পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ।
এই ছয়দফা চুক্তির মধ্যে রয়েছে এশিয়া এনার্জিকে ফুলবাড়ী ও দেশ থেকে বহিস্কার, উন্মুক্ত পদ্ধতির কয়লাখনি ফুলবাড়ীসহ দেশের কোথাও না করা, পুলিশ-বিডিআরের গুলিতে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান, আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা, গুলি বর্ষণসহ হতাহতের প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত কমিটি গঠন, শহীদের স্মৃতিসৌধ নির্মাণসহ এশিয়া এনার্জির দালালদের গ্রেফতারসহ শাস্তি প্রদান, আন্দোলনকারিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সকল মামলা প্রত্যাহার এবং নতুন করে মামলা না করা।
এদিকে তৎকালিন বিএনপি-জামাত জোট সরকার ছয়দফা চুক্তির আংশিক বাস্তবায়ন করে। ছয়দফা চুক্তি পূর্ণ বাস্তায়নের দাবিতে এখনও ফুলবাড়ী খনি অঞ্চলের মানুষ আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে। ২৬আগস্ট দিনটিকে তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি ‘‘ফুলবাড়ী দিবস’’ এবং স্থানীয়ভাবে গড়ে ওঠা সম্মিলিত পেশাজীবী সংগঠন ‘‘ফুলবাড়ী শোক দিবস’’ হিসেবে ঘোষণা করে পৃথক পৃথকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে পালন করে আসছে।