নীলফামারীর বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি


ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ১৭ আগষ্ট॥
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার তিস্তা নদীর বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বাঁধে আশ্রয় নেয়া পরিবারগুলো নিজ নিজ বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। তবে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের দুর্ভোগ এখনও কাটেনি। তিস্তার ডানতীর বাঁধে আশ্রয় নেওয়া ৩৩ পরিবার এখনও বাড়ি ফিরতে পারেনি। টানা বর্ষণ আর উজানের ঢলে প্রবল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ৫ শতাধিক পরিবার বাড়িতে ফিরলেও উপজেলার খালিশা চাপানি ইউনিয়নের ৩৩টি পরিবার এখনও বাড়িতে ফিরতে পারছেন না। তাদের বসতভিটা এখনও কোমর পানিতে তলিয়ে রয়েছে।

তিস্তায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো ঘরবাড়ি হারিয়ে বাঁধে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। এছাড়াও এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি এবং খাবারে তীব্র সংকট। 
বৃহ¯পতিবার দুপুরে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার (৫২ দশমিক ৪০) ৫০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। 
এদিকে বৃহ¯পতিবার দুপুরে তিস্তার বাঁধে আশ্রয় নেওয়া ৩৩টি পরিবারের মাঝে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এটিএম আখতারুজ্জামান শুকরা খাবার বিতরণ করেন। এ সময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উপ-প্রকৌশলী ফেরদৌস আলম, খালিশা চাপানি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
অপর দিকে উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের তিস্তার বাধে তেলির বাজার নামক স্থানে বিজিবির উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ ১৫০ পরিবারের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ করে ৭ বর্ডার গার্ড ব্যাটলিয়ানের অধিনায়ক লে. কর্নেল মাহফুজ উল বারী। গত ৪ দিনে তিস্তায় ক্ষতিগ্রস্থ ৬শ পরিবারকে শুকনো খাবার বিতরণ করেন বিজিবি। এসব খাবারের মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, তেল, চিড়াসহ ৭টি আইটেম। 
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান বলেন, তিস্তায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের জন্য ৯৩ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৫ লাখ টাকা, শুকনো খাবার ৪শ প্যাকেট ইতিমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। নতুন করে আরও বরাদ্দ চেয়ে চাহিদা পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়া এই দিন উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ তিন হাজার ৪৬৫টি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল বিতরন করা হয়েছে। অপরদিকে তিস্তার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ৪শত পরিবারের জন্য শুকনো খাবাবের প্যাকেট বরাদ্দ পেয়েছেন মর্মে জানায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেন।
এদিকে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার উঁচু এলাকা থেকে বন্যার পানি নামছে, জেগে উঠছে বিধ্বস্থ্য  বাড়ি-ঘর ও রাস্তা-ঘাট। তবে পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি অনেক এলাকায়। সীমাহীন কষ্টে পড়েছেন সৈয়দপুর ১০০ শয্যার হাসপাতালের রোগীরাও। চারদিনের টানা বর্ষণে চিকলী ও খড়খড়িয়া নদীর পানি বেড়ে বন্যা দেখা দিলে পানিবন্দি হয়ে পড়েন উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ। এরপর উপজেলা শহরের পশ্চিম পাটোয়ারিপাড়া ও বসুনিয়াপাড়া এলাকায় খড়খড়িয়া নদীর বাঁধ ভেঙে পাটোয়ারিপাড়া, বসুনিয়াপাড়া, কুন্দল, নয়াবাজার ও বাঁশবাড়ি এলাকায়ও পানি ঢুকে পড়ে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংকীর্ণ হওয়ায় সে পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে না। তাই রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। #
নীলফামারীর বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ১৭ আগষ্ট॥ নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার তিস্তা নদীর বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বাঁধে আশ্রয় নেয়া পরিবারগুলো নিজ নিজ বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। তবে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের দুর্ভোগ এখনও কাটেনি। তিস্তার ডানতীর বাঁধে আশ্রয় নেওয়া ৩৩ পরিবার এখনও বাড়ি ফিরতে পারেনি। টানা বর্ষণ আর উজানের ঢলে প্রবল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ৫ শতাধিক পরিবার বাড়িতে ফিরলেও উপজেলার খালিশা চাপানি ইউনিয়নের ৩৩টি পরিবার এখনও বাড়িতে ফিরতে পারছেন না। তাদের বসতভিটা এখনও কোমর পানিতে তলিয়ে রয়েছে।
তিস্তায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো ঘরবাড়ি হারিয়ে বাঁধে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। এছাড়াও এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি এবং খাবারে তীব্র সংকট। 
বৃহ¯পতিবার দুপুরে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার (৫২ দশমিক ৪০) ৫০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। 
এদিকে বৃহ¯পতিবার দুপুরে তিস্তার বাঁধে আশ্রয় নেওয়া ৩৩টি পরিবারের মাঝে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এটিএম আখতারুজ্জামান শুকরা খাবার বিতরণ করেন। এ সময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উপ-প্রকৌশলী ফেরদৌস আলম, খালিশা চাপানি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
অপর দিকে উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের তিস্তার বাধে তেলির বাজার নামক স্থানে বিজিবির উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ ১৫০ পরিবারের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ করে ৭ বর্ডার গার্ড ব্যাটলিয়ানের অধিনায়ক লে. কর্নেল মাহফুজ উল বারী। গত ৪ দিনে তিস্তায় ক্ষতিগ্রস্থ ৬শ পরিবারকে শুকনো খাবার বিতরণ করেন বিজিবি। এসব খাবারের মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, তেল, চিড়াসহ ৭টি আইটেম। 
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান বলেন, তিস্তায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের জন্য ৯৩ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৫ লাখ টাকা, শুকনো খাবার ৪শ প্যাকেট ইতিমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। নতুন করে আরও বরাদ্দ চেয়ে চাহিদা পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়া এই দিন উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ তিন হাজার ৪৬৫টি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল বিতরন করা হয়েছে। অপরদিকে তিস্তার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ৪শত পরিবারের জন্য শুকনো খাবাবের প্যাকেট বরাদ্দ পেয়েছেন মর্মে জানায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেন।
এদিকে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার উঁচু এলাকা থেকে বন্যার পানি নামছে, জেগে উঠছে বিধ্বস্থ্য  বাড়ি-ঘর ও রাস্তা-ঘাট। তবে পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি অনেক এলাকায়। সীমাহীন কষ্টে পড়েছেন সৈয়দপুর ১০০ শয্যার হাসপাতালের রোগীরাও। চারদিনের টানা বর্ষণে চিকলী ও খড়খড়িয়া নদীর পানি বেড়ে বন্যা দেখা দিলে পানিবন্দি হয়ে পড়েন উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ। এরপর উপজেলা শহরের পশ্চিম পাটোয়ারিপাড়া ও বসুনিয়াপাড়া এলাকায় খড়খড়িয়া নদীর বাঁধ ভেঙে পাটোয়ারিপাড়া, বসুনিয়াপাড়া, কুন্দল, নয়াবাজার ও বাঁশবাড়ি এলাকায়ও পানি ঢুকে পড়ে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংকীর্ণ হওয়ায় সে পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে না। তাই রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। 

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 5953272319622430201

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item