বন্যার্তদের সাহায্য করতে গিয়ে নৌকাডুবি অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন পীরগঞ্জের মেয়র!
https://www.obolokon24.com/2017/08/flood_10.html
পীরগঞ্জে অল্পের জন্য প্রানে বেঁচে গেলেন উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামীম। গত বুধবার সন্ধ্যার আগে টুকুরিয়া ইউনিয়নে নৌকাযোগে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী দিতে গিয়ে নৌকা উল্টে তিনি পানিতে পড়ে যান। এ সময় ওই নৌকায় ত্রাণ সামগ্রীসহ বেশ কয়েকজন ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে পীরগঞ্জের করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদীপাড়ের ৩০ টি গ্রাম পানিতে ডুবে আছে। এছাড়াও উপজেলার প্রায় দেড়’শ গ্রামে বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে ৫ হাজার ৫২৫টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। বন্যা দুর্গতদের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলার টুকুরিয়া ইউনিয়নে ৫ মে. টন, চতরা ইউনিয়নে ৪ মে. টন, কাবিলপুর ইউনিয়নে ৩ মে. টন চালসহ মোট ২০ মে. টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যার আগে টুকুরিয়া ইউনিয়নের করতোয়া নদীপাড়ের ঘোনা বিছনা গ্রামে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ নিয়ে যাওয়া হয়। স্যালো ইঞ্জিন চালিত একটি নৌকায় ৫০ কেজির ২০ বস্তা চালসহ উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামীম, ইউএনও কমল কুমার ঘোষ, পৌর আ’লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খলিলুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মন্টু, আ’লীগ নেতা আব্দুস সামাদসহ নৌকার মাঝি ছিলেন। নৌকাটি নদী পার হয়ে ঘোনা বিছনা গ্রামে নদীর কিনারায় গিয়ে একটি গাছের সাথে ধাক্কা লাগলে সবাই পানিতে পড়ে যান। এ সময় সবাই সাঁতরিয়ে উঠলেও মেয়র শামীম প্রানে বাঁচার চেষ্টা করে ভাসতে ভাসতে পাশেই একটি বাঁশ ঝাড়ে আটকে যান। এ সময় অপর নৌকায় থাকা উপেজলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন বিএসসি, কোষাধ্যক্ষ আনিছার রহমান মন্ডলসহ কয়েকজন সাঁতরে গিয়ে মেয়রকে উদ্ধার করেন। এ ব্যাপারে মেয়র শামীম বলেন, বন্যার্তদের সাহায্য করতে গিয়ে তীরে এসে তরী ডুবেছে। মানুষের অসহনীয় দুর্ভোগের কারণে জীবন বাজি রেখে এমন কাজ করতে সমস্যা নেই। তিনি আরও বলেন, আমি হাল্কা সাঁতার জানি। মাঝ নদীতে হলে সমস্যাই হতো। ইউএনও কমল কুমার ঘোষ বলেন, উত্তাল করতোয়া নদীতে নৌকা উল্টে যাওয়ায় ¯্রােতে ৬ বস্তা চাল ভেসে গেছে। তারপরও আমরা ত্রাণ বিতরন করে যাবো। তিনি আরও বলেন, আমাদের এ্যানড্রয়েট মোবাইল ফোনগুলো পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে।
