ডোমারে বিএনপি নেতার মাদকাসক্ত পুত্রসহ দুজনকে নিরাময় কেন্দ্রে পাঠালো পুলিশ!

নিজস্ব প্রতিনিধি-

নীলফামারীর ডোমারে বিএনপি নেতার মাদকাসক্ত পুত্রসহ দুজনকে স্বল্প খরচে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে(সংশোধনাগার)পাঠালো ডোমার থানা পুলিশ। পুলিশের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে এলাকাবাসী।
জানাগেছে, সম্প্রতি উপজেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীর সংখ্যা আশংকাজনক হারে  বেড়ে যাওয়ায় এ অবস্থা থেকে উত্তরোনের জন্য পুলিশ নানামূখি পদক্ষেপ গ্রহন করেছে।মাদক বিক্রেতাদের ধরাশায়ি করতে চলছে চিরুনি অভিযান।পাশাপাশি সেবনকারীদের জেলহাজতে প্রেরণ না করে ,উদ্যোগ নিয়ে তাদের পাঠানো হচ্ছে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে(সংশোধনাগারে)। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৩শে আগষ্ট ডোমার আবাসিক বিদ্যুৎ প্রকৌশলী কার্যালয়ের লাইনম্যান আবুল কালাম আজাদকে মাদক সেবনের সময় ডোমার থানা পুলিশ আটক  করে রংপুরের ¯েœহ মাদকাসক্তি,মানসিক রোগ নিরাময়  কেন্দ্রে প্রেরণ করে।একই অপরাধে২৪শে আগষ্ট ডোমার পৌর এলাকার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের পৌর বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক  জুলফিকার আলী ভূট্টোর পুত্র সোহেল রানাকে(২৫) উপজেলা মোড় থেকে আটক করে । আজ দুপুরে ২৫শে আগষ্ট শুক্রবার তাকেও রংপুর মাদক নিরাময় কেন্দ্রে পাঠনো হয়। আটক সোহেল রানার বিরুদ্ধে এর আগেও ডোমার থানার এফআইআর নং-০৮জিআরনং ২১/২০১২ নাঃশিঃনিঃ ও জিআর নং ১০৬/২০১৩ তারিখ ১৬জুলাই মামলায় এজাহারে অভিযুক্ত। ডোমার থানার এসআই আরমান জানান,মাদক সেবিদের মামলা দিয়ে জেলহাজতে পাঠালে তাদের সংশোধনের সুযোগ কম। কিন্তু নিরাময় কেন্দ্রে পাঠালে তাদের স্বভাবিক জীবনে ফেরার সুযোগ তৈরী হয়।তাই আমরা অভিভাবকদের কাউন্সলিং করে মাদকাসক্ত সন্তানদের নিরাময় কেন্দ্রে  পাঠাচ্ছি। তিনি আরো জানান পুলিশের মাধ্যমে নিরাময় কেন্দ্রে পাঠালে অর্ধেক খরচ বহন করতে হয়।প্রতি মাসে ২১হাজার করে তিন মাসে ৬৩ হাজার টাকা দিতে হয় অভিভাবকদের । সেখানে পুলিশের মাধ্যমে পাঠালে খরচ  হবে ৩১ হাজার টাকা ।  যারা সন্তানকে মাদক মুক্ত করতে পারছেনা তাদের এই সুযোগ নেওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন। 

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 9042487908596179222

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item