ডোমারে ৩ দিনে টানা বর্ষনে হাজারো মানুষ পানীবন্দি!! জনজীবন বিপন্ন।

আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার(নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ

নীলফামারী ডোমারে গত ৩ দিনে টানা বর্ষনের ফলে পৌর এলাকা, সদর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার হাজারো মানুষ পানীবন্দি হয়ে পড়েছে। এতে শত শত হেক্টর রোপা আমনের ফসল হাটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে রয়েছে। বন্যার কারনে মৎস্য চাষীদের মাছের প্রজেক্ট সহ ছোট খাট পুকুরের লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ বের হওয়ার ফলে চাষীদের মাথায় হাত পড়েছে। বৃহস্পতিবার রাতথেকে বৃস্টি, শুক্রবার কোথাও কখনো সুর্য্যরে মুখ দেখা যায়নি, দিনব্যাপী মেঘলা আকাশের ঝলকানির বিকট শব্দে আতঙ্কিত মানুষের এদিক-সেদিক ছুটাছুটি করতে দেখা গেছে। সেই সাথে গুড়ি গুড়ি ও ভাড়ী বৃষ্টিপাতের কারণে প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া অনেকে ঘর থেকে বের হয়নি। এদিকে নিত্যপণ্য ব্যবসায়ীদের দোকানপাট খোলা থাকলেও ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল কম। টানা বর্ষণে বিশেষ করে গ্রামীণ রাস্তাগুলো হাটু কাদায় পরিনত হয়েছে। যেন চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে।
ছিন্নমূল পরিবারের শ্রমজীবি মানুষগুলো ঘর থেকে বের হতে না পেড়ে দুর্বিসহ জীবন যাপন করছে। বাজার সংলগ্ন শালকী নদী, বোড়াগাড়ীর দেওনাই, মাহিগঞ্জের খুলখুলির পাড়ের নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে নদীর দু পাশের বসবাসরত শত শত পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। ডোমার সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোসাব্বের হোসেন মানু জানান, পৌরসভা ৩ নং ওয়ার্ড ও সদরের ৫নং ওয়ার্ড পল্টন পাড়া পুরোগ্রামটি ডুবে গেছে, আরডিআরএসের মোড় হতে মোলানীর বীল সহ পরিষদ পর্যন্ত শত শত হেক্টর রোপা আমনের ফসল হাটু থেকে কোমর পানিতে ডুবে পুকুরের মাছসহ ব্যপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। আমবাড়ীর মৎস্য খামার চাষী বুলবুল ইসলাম জানান, টানা বর্ষনের কারনে তার ৮টি পুকুরের ৫ লক্ষাধিক টাকার মাছ বের হয়ে গেছে।  অপরদিকে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের লোক এলাকার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় অবস্থান করতে দেখা গেছে,। তাদের মধ্যে বৃদ্ধ, যুবক এমনকি শিশুরাও একবেলা খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।  দ্রুত সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে পাশে দাঁড়াতে জেলা প্রশাসক মহাদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভুগী পরিবার। 

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 4043729305539658560

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item