ফলো আপ-মাকে বেঁধে মেয়েকে তুলে নিয়ে ধর্ষনের ঘটনায় ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা



ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ২১ আগস্ট॥
মা ফাতেমা বেগমকে বেঁধে রেখে মেয়েকে তুলে নিয়ে তিস্তা নদীর নির্জন চরে গণধর্ষনের ঘটনার অভিযোগে নীলফামারীর ডিমলা থানায় ৯ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে (নম্বর ৯)। গতকাল রবিবার (২০ আগস্ট) গভীর রাতে গনধর্ষনের শিকার তিন সন্তানের জননী ফেন্সি আক্তারে (২৭) বাবা কলিম উদ্দিন বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করে।

এ ঘটনা নিয়ে গতকাল রবিবার অনলাইন পত্রিকা অবলোকন২৪ডটকমে “মাকে বেঁধে রেখে মেয়েকে তুলে নিয়ে দৃর্বৃত্বদের গণধর্ষন” শিরোনামে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। 

এদিকে দায়ের করা মামলার আসাামীরা হলো ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের ছাতুনামা গ্রামের আবুল হোসেনের তিন ছেলে আব্দুর রহিম (৩০), দেলোয়ার হোসেন (৩৮), মিষ্টার (৩৫), আজিজুল হকের পালিত ছেলে ফিরোজুল (৩৫), মৃত. চাটি মামুদের ছেলে নুর মাহমুদ (৪৫), মোখলেছার রহমানের দুই ছেলে ফরিদুল ইসলাম (৩৫) ও আলমগীর হোসেন (৩০), অভয় চরন রায়ের ছেলে নির্মল চন্দ্র (৪০) এবং পেনকাঠুর ছেলে মঙ্গলু (৪০)। তবে সোমবার বিকাল পর্যন্ত পুলিশ মামলার কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাহাবুদ্দিন জানান, আসামী গ্রেফতারে অভিযান চলছে। আসামীরা সকলে গা-ঢাকা দিয়েছে।

অপর দিকে নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালের গাইনী বিভাগে চিকিৎসাধীন গণধর্ষনের শিকার ফেন্সি আক্তারের চিকিৎসা চলছে। অপর দিকে ফেন্সির বৃদ্ধা মা ফাতেমা বেগম (৬০) ডিমলা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

এ ছাড়া নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে ফেন্সি আক্তারের ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।  হাসপাতালের স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ সুলতানা রাজিয়া জানান, মেয়েটির শরীরিক পরীক্ষা শেষে প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।

মামলার বলা হয় ফেন্সির স্বামী রফিকুল ইসলাম রিক্সা চালানোর জন্য ঢাকায় অবস্থান করছে। ফলে ফেন্সির বাড়িতে তার মা ফাতেমা গত ১০দিন ধরে অবস্থান করছে। এই সুযোগে এলাকার আসামীরা  ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের ছাতুনামা গ্রামের মাকে বেঁধে মেয়ে ফেন্সি আক্তারকে গত শনিবার (১৯ আগস্ট) রাতে আসামীরা বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে তিস্তা নদীর নির্জন চর পশ্চিম ছাতুনামায় নিয়ে গণধর্ষণের পর হাত বেঁধে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। গতকাল রবিবার সকাল ১১টায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফেন্সি আক্তার ও তার বৃদ্ধা মাকে উদ্ধার করে দুপুরে ডিমলা হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে হতে সেইদিন বিকালে ফেন্সি আক্তারকে নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

এদিকে আসামী পক্ষের পরিবারের লোকজন ঘটনাটি সাজানো বলে দাবি করেছে। মামলার তিন নম্বর আসামী মিস্টারের স্ত্রী আর্জিনা বেগম বলেন, ফেন্সির বাবার সঙ্গে ৬ শতক জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। ওই বিরোধকে কাজে লাগিয়ে মিথ্যে ঘটনা সাজিয়ে আমাদের পরিবারকে ফাসানো হচ্ছে। তিনি বলেন আমার স্বামী, ভাসুর দুই নম্বর আসামী দেলওয়ার ও এক নম্বর আসামী দেবর রহিমের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। সন্ধ্যার পর তারা বাজার থেকে বাড়িতে এসে রাতে খাবার খেয়ে নিজ নিজ ঘরেই ঘুমিয়ে পড়ে। দেলওয়ারের স্ত্রী লাকী বেগম জানান, তার স্বামী রাতে বাসায় ছিলেন। ফজরের নামাজের পর তিনি শুনতে পান ওই মেয়েকে নাকি আমার স্বামী, দেবররা মিলে ধর্ষণ করেছে। তারা আমাদের ফাঁসানোর জন্য মিথ্যা অভিযোগ করছে। ফরিদুলের স্ত্রী শাপলা বেগম বলেন, তাদের সাথে আমাদের জমি-জমা নিয়ে দীর্ঘ দিন থেকে বিরোধ চলছে। তাই তারা আমাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মতো একটা জঘন্য অভিযোগ তুলছে। রহিম উদ্দিনের স্ত্রী নাসিমা বলেন, তারা মিথ্যা নাটক সাজিয়ে এমন অভিযোগ করছে। আমার স্বামীসহ সকলেই নির্দোষ।

ডিমলা থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন মামলা হয়েছে। তদন্ত চলছে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 7921258068492174504

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item