ডিমলায় মাকে বেঁধে রেখে মেয়েকে তুলে নিয়ে দৃর্বৃত্বদের গণধর্ষন

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ২০ আগষ্ট॥ 
মাকে বেঁধে রেখে তিন সন্তানের জননী মেয়েকে তুলে নিয়ে গণধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কিছু দুর্বৃত্বদের বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার (১৯ আগষ্ট) গভীর রাতে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের দুর্গম চর ছাতুনামায় এ ঘটনা ঘটে।
রবিবার সকাল ১১টায় ডিমলা থানা পুলিশ এলাকাবাসীর সহায়তায় ঘটনাস্থলের বাড়ি থেকে ১ কিলোমিটার দূরে তিন সন্তানের জননী ফেন্সি বেগমকে (২৫) হাত বাধা ও সংজ্ঞাহীন অবস্থা  তিস্তা নদীর নির্জন ও দুর্গম চর হতে  উদ্ধার করে। ফেন্সি বেগমকে উদ্ধারের আগে ওই গৃহবধুর বৃদ্ধা মা ফাতেমা বেগমকে (৬০) মেয়ে জামাইয়ের বাড়ির উঠোনে বাঁশের খুঁটিতে দঁড়ি গিয়ে হাত বাধা অবস্থায় দেখতে পাওয়া গেলে পুলিশ তাকেও উদ্ধার করে। মা ও মেয়েকে উদ্ধার করে  দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।ফেন্সি বেগম ওই গ্রামের রশিদুল ইসলামের ও ফাতেমা বেগম ছাতুনামা গ্রামের কলিম উদ্দিনের স্ত্রী। ফেন্সি বেগমের স্বামী রিক্সা চালানোর কারনে ঢাকায় অবস্থায় করছে।
এদিকে ফেন্সি বেগম গণধর্ষনের শিকারের কারনে তার শারিরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে বিকাল ৫টায় নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করা হয়েছে। এখানে পুলিশ পাহারায় তার চিকিৎসা চলছে।

ফেন্সি বেগমের মা ফাতেমা বেগম অভিযোগ শনিবার গভীর রাতে একদল দুর্বৃত্ত্ব এসে ঘরের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে। এরপর তার মেয়ে ফেন্সিকে মুখ হাত বেঁধে জোড়পূর্বক তুলে নিয়ে যেতে থাকে। বাঁধা দিতে গেলে দুর্বৃত্ত্বরা তাকে (ফাতেমা) জামাইয়ের বাড়ির উঠোনে হাতে দড়ি ও মুখে কাপড় দিয়ে বেঁধে রেখে দেয়। দুর্বৃত্ত্বরা তার মেয়েকে গণধর্ষন করতে পারে বলে ধারনা করছেন তিনি। বৃদ্ধা আরো জানায় তার জামাই ঢাকায় রিক্সাচালানোর কারনে তিনি মেয়ে ফেন্সির বাড়িতে থাকতেন। ফেন্সির দুই মেয়ে ও এক ছেলে। এরা হলো রেখা (৭), সবুজ (৫) ও পারভীন (৩)। নাতী নাতনীরা সকালে চিকিৎকার করলে এলাকাবাসী ছুটে আসে।  তিনি বলেন ওরা ১০/১২ জনের বেশী পুরুষ এসেছিল। এদের মধ্যে এলাকার কয়জনকে চিনতে পেরেছি। এরা হলো পাশ্ববর্তী গ্রামের মিস্টার, রহিম, দেলওয়ার ও চেতন। বাকীদের মুখ চিনতে পারলেও তাদের নাম জানিনা।

এদিকে মেয়ে ও মাকে ডিমলা হাসপাতালে ভর্তির পর ফেন্সি বেগমের জ্ঞান ফিরে এলেও তার শারিরিক অবস্থা দুর্বল ছিল। তবে বিকাল ৫টায় নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালের গাইনী বিভাগে ফেন্সি বেগমকে ভর্তি করা হলে এখানে ফেন্সি সাংবাদিকদের জানায় তাকে বাড়ি হতে জোড়পূর্বক তুলে এনে  মিষ্টার ও রহিম নামের দুইজন গণধর্ষন করেছে। এ সময় তাদের আরো ১০/১২ জন ছিল।

ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান জানান রবিবার সকালে এলাকাবাসীর কাছে ঘটনা জানতে পেরে ডিমলা থানায় খবর দেই। এলাকাটি তিস্তার চর ও দূর্গম এলাকা হওয়ায় সেখানে যেতে ও ফিরতে অনেক সময় লাগে। পুলিশ এলে পুলিশ সহ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফেন্সির বাড়ি হতে এক কিলোমিটার অদুরে দুর্গম চর হতে হাত বাঁধা জ্ঞানহীন অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকা ফেন্সি বেগমকে উদ্ধার করা হয়। এর আগে ফেন্সির মাকে ফেন্সির বাড়ির উঠনে হাতে দড়ি সহ বাঁশের খুটিতে বাধা অবস্থায় পাওয়া যায়।

ডিমলা থানার এসআই শাহাবুদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ফেন্সি ও তার মা ফাতেমা বেগমকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ফেন্সির বাবা কলিম উদ্দিনকে থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। তবে কারা কি কারনে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনও পরিস্কার ভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাদের লিখিত অভিযোগ পেলে বলা যাবে।

ডিমলা থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ফেন্সি বেগম গণধর্ষনের শিকার হয়েছে তার এই অভিযোগে তাকে নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য প্রেরন করা হয়। এ ছাড়া পুলিশের পাহারায় সেখানে তার চিকিৎসা করা হচ্ছে।



পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 8934552537794583414

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item