উজানের ঢলে তিস্তায় ব্যাপক ভাঙ্গন,আতঙ্কিত গ্রামবাসী

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥

উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে আবার বৃদ্ধি পেয়েছে। বুধবার সকাল ৬টা হতে নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টের তিস্তা ব্যারাজে নদীর পানি বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচ (বিপদসীমা ৫২ দশমিক ৪০ মিটার) দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বিকাল ৩টায় বিপদসীমার আরও ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। তিস্তার পানি কমার সাথে সাথে তিস্তার উজানের ভাঙ্গন তীব্র্র হচ্ছে।
টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব খড়িবাড়ীতে তিস্তার নদীর ডাঁনতীরে তৈরি করা ২ কিলোমিটার মাটির বাধটি ইতিমধ্যে ৪শ মিটার নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গ্রামটিতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। ২০১৫ সালে ই্উএনডিপির অর্থায়নে, সিডিএমপি বাস্তবায়নে ইউনিয়ন পরিষদ বাধ কাম ১হাজার ৯৮২ মিটার দীর্ঘ রাস্তাটি মেরামত করা হয়। বাধটি নির্মান ফলে পূর্ব খড়িবাড়ী, দক্ষিন খড়িবাড়ী, ছোটখাতা গ্রামের সহ¯্রাধিক পরিবারের বসতভিটায় বন্যার পানি প্রবেশ করতে পারেনি। কিন্তু বাধটি গত শুক্রবার ভেঙ্গে পড়ায় এসব পরিবার চরম হুমকির মুখে পড়েছে। সকালে ৭টি পরিবারের বসতভিটা অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
সরেজমিনে বুধবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায় নদীর প্রবল ¯্রেেতর কারনে ইতিমধ্যে পুবখড়িবাড়ী ২কিলোমিটার বাধের ৪শ মিটার ভেঙ্গে পূর্ব খড়িবাড়ী গ্রামে বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে।  এলাকাবাসী জরুরী ভিত্তিতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ্য বাঁধটি বন্যার কবল হতে রক্ষাসহ দীর্ঘস্থায়ী করতে বাঁধটি সিসি ব্লক দিয়ে পিচিং করার দাবী তোলেন। পূর্ব খড়িবাড়ী গ্রামের জিয়াউর রহমান (৪৫) জানায়, মাটির বাধটি ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে ৩টি গ্রাম বন্যার পানির তলিয়ে যাবে। টেপাখড়িবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহীন জানায়, বর্তমানে জরুরী ভিত্তিতে বাধটি রক্ষা করতে না পারলে তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করলে ৩টি গ্রামের সহ¯্রাধিক পরিবারে বন্যার কবলে পড়বে। বাধের ভেতরে কয়েক শত একর জমির ফসলের বন্যার পানিতে ব্যাপক ক্ষতি হবে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজার রহমান বলেন, তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বুধবার সকাল ৬টায় বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে থাকলেও বিকাল ৩টা তা আরও ১৫  কমে সেন্টিমিটার বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সকাল থেকে টেপাখড়িবাড়ী  ইউনিয়নের পূর্ব খড়িবাড়ী গ্রামের মাটির বাধটি বিলিন হওয়ার ফলে ৩০ বিঘা জমির ফসল ও ৭টি পরিবারের  বসতভিটা বিলিন হয়েছে। সেখানে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের নিয়ে বাধে জরুরী সভা করেছে টেপাখড়িবাড়ী  ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহীন। এলাকাবাসীকে পুর্ব খড়িবাড়ী গ্রামটি রক্ষার সকলের সহযোগীতার পাশাপাশি বাশ ও বালু বস্তা দিয়ে সেচ্ছা শ্রমে কাজ করার আহবান জানায়।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 2262374404274939906

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item