ডোমারে কনেকে ঘরে তুলে বরের আত্মহত্যা বৌ-ভাতের আনন্দ শোকে পরিনতি হলো


আনিছুুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>



নববধু কণেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরে তুলেই গলায় দড়ি দিয়ে আতœহত্যা করেছে বর হামিদুল ইসলাম(২৭)। এ ঘটনায়  পন্ড হয়ে যায় বৌ-ভাত অনুষ্ঠান। শুক্রবার সকাল ১১টার নীলফামারীর ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিন জোড়াবাড়ী ফকিরপাড়া গ্রামে এই মর্মান্তিক  ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ বিকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে। কনে বিয়ের একদিনের মাথায় স্বামী হারিয়ে বার বার মুর্ছা যাচ্ছিল।
জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাচান আলী জানান,বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর  উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের নিজ ভোগডাবুড়ী গ্রামের রুহুল আমীনের মেয়ে রিপা আক্তার(২২)এর সাথে চার লাখ ৫০ হাজার টাকা দেন মোহরে জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের দক্ষিন জোড়াবাড়ী গ্রামের ফকিরপাড়ার মৃত ইউনুস আলীর ছেলে হামিদুল ইসলামের আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের রাতে বরপক্ষ নববধু কনেকে  তাদের বাড়ি নিয়ে আসে। শুক্রবার ছিল বরের বাড়িতে বৌভাত অন্ষ্ঠুান। বৌ ভাতের অনুষ্ঠানের জন্য গরু খাঁসী জবাই করে রান্নার কাজ শুরু করা হয়। বৌভাতের অনুষ্ঠানের পরিবারের লোকজনের যখন উৎসব আনন্দ চলছিল ঠিক সে সময়  ্সকাল ১১টায় বাড়ির লোকজন দেখতে পায় সকলের অগোচরে বর হামিদুল ইসলাম গ্রামের  প্রতিবেশী  মফিজুল এর বাড়ির মালখানা ঘরের তীরে গলায় রশি দিয়ে ঝুলছে। এই ঘটনায় বৌভাত অনুষ্ঠানের আনন্দ শোকে পরিনত হয়। আনন্দ উৎসবের স্থলে পরিবারের লোকজন সহ গ্রামবাসী কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। স্বামীর আতœহত্যার কথা শুনে কনে চিৎকার করে কান্না কাটি সহ বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছিল। খবর দিয়ে কনের বাবা ও বড়ভাইকে নিয়ে আসা হয়।

মফিজুলের স্ত্রী রাহেনা বেগম জানান, আমরা সকলে বৌভাতের অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। বর হামিদুলও কাজ করার ফাকে তার খুব ঘুম পেয়েছে জানিয়ে তাদের বাড়িতে কখন চলে গেছে সেটি বলতে পারেনা। বাড়ির লোকজন তার খোঁজ নিতে গিয়ে লাশ ঝুলতে দেখে।

পারিবারিক সুত্র মতে বর হামিদুল গত দুই বছর আগে বিএ পরীক্ষা দিলেও সে পাস করতে পারেনি। ফলে সে বাড়িতে কৃষি কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে হামিদুল ছিল তৃতীয়। তার আর কনে রিপা আক্তার চিলাহাটি সরকারী কলেজের বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্রী।

এ বিষয়ে কনে  রিপা আক্তার কান্না জড়িত কন্ঠে  জানায়, সে (হামিদুল) নিজেই  পছন্দ করে প্রস্তাব দিয়ে পারিবারিক আলোচনার  আমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করে বৃহস্পতিবার রাতে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসে। রিপা আরো জানায় রাতে স্বামীর সঙ্গে অনেক গল্প হয়েছে। সে সময় স্বামী  তার কিছু শারিরিক সমস্যার কথা তাকে খুলে বলে। সে চিকিৎসায় ভাল হবে এই কথা বলে স্বামীকে আশ্বস্ত করে। সকালে হাসিখুশীতে বৌভাতের আয়োজনের সহযোগীতার কাজেও ব্যস্ত ছিল স্বামী। কিন্তু কেন কি কারনে তার স্বামী আতœহত্যা করলো তা কনে রিপাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে বার বার। হামিদুলের মা বৃদ্ধা ছালেমা বেওয়্ াকান্না বিজরিত কন্ঠে বলেন ছেলের পছন্দ করা মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দিলাম। তারপরেও এমন কি হলো যে ছেলে গলায় দঁড়ি দিয়ে আতœহত্যা করলো?
 
ডোমার থানার ওসি  মোকছেদ আলী জানান দুপুর পর খবর পেয়ে  ঘটনা স্থলে এসে বিকাল ৫টায় গলায় ফাঁস লাগানো দঁড়িতে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 3717638914026835419

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item