সৈয়দপুরে জাতীয় শোক দিবস উদযাপন কমিটিতে সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানের নাম নেই ॥মিশ্র প্রতিক্রিয়া


তোফাজ্জল হোসেন লুতু,সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি



 সৈয়দপুরে বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উদযাপন কমিটিতে স্থানীয় সাংসদ ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে রাখা হয়নি। এ নিয়ে শহরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
আগামী ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস- ২০১৭। প্রতি বছরের মতো এবারেও সারাদেশে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে দিনব্যাপী নানান কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হবে। দিবসটি পালনে করণীয় ও কর্মসূচি ঠিক করতে গত ১ আগষ্ট সৈয়দপুর উপজেলা প্রশাসন এক প্রস্তুতি সভা করেছে। সৈয়দপুরে নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বজলুর রশীদ এতে সভাপতিত্ব করেন। ওই প্রস্তুতি সভায় সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোখছেদুল মোমিন উপস্থিত ছিলেন। সভায় দিবসটি সুষ্ঠু ও যথাযথভাবে পালনের লক্ষ্যে একটি বাস্তবায়ন কমিটি ও ৪ টি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১৫ সদস্যের বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি হচ্ছেন সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)। নিয়মানুযায়ী গঠিত ওই বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা এবং উপদেষ্টা থাকার কথা যথাক্রমে স্থানীয় সাংসদ ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। ১ আগষ্টের প্রস্তুতি সভার কার্যবিবরণীর কপি (রেজুলেশন) শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি দপ্তরগুলোতে পাঠানো হয়। এর একটি রেজুলেশন কপি গত বৃহস্পতিবার সৈয়দপুর প্রেস ক্লাবে আসে। ওই রেজুলেশন কপিতে দেখা যায় উদ্যাপন কমিটিতে স্থান হয়নি স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব মো. শওকত চৌধুরী’র ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিনের। এছাড়াও গঠিত কমিটিতে কোন রকম বাদ-বিচার করা হয়নি। খেয়ালখুশি মতো যেনতেন ব্যক্তিবর্গের নাম তালিকাভূক্ত করা হয়। এতে দেখা যায় বাস্তবায়ন কমিটির ১১ নম্বরে প্রথম শ্রেণীর সৈয়দপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র -১ (জনপ্রতিনিধি) এর স্থান হয়েছে। সৈয়দপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি রয়েছে ১৫ নম্বর ক্রমিকে। তার আগে ছাত্র লীগ, কৃষক লীগ,স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের সভাপতি ও নেতার নাম রাখা হয়েছে। “এক সংগঠন, এক নেতা” এমন একটি সংগঠনের নেতা নামও রয়েছে কমিটির তালিকার শীর্ষে। 
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরের অফিস সুপার একেএম আমিরুজ্জামান শামীম জানান, এটি আগের রেজুলেশনের কপি অনুসরণ করা হয়েছে। তারপরও চেয়ারম্যানের নাম উপদেষ্টা হিসেবে থাকার কথা। কিন্তু কেন এমনটি হলে তা দেখছি বলে জানান তিনি।
এ নিয়ে কথা হলে সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোখছেদুল মোমিন বলেন, বিষয়টি নিয়ে একাধিক ফোন পেয়েছি। ঘটনাটি আমাকেও অবাক করেছে।
এদিকে, উপজেলা প্রশাসনের এ রকম একটি বিষয় নিয়ে সৈয়দপুর শহরে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 4876075321714917290

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item