তিস্তার বন্যায় দুর্গতের জন্য চাল ও নগদ অর্থ বরাদ্দ

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ৩ জুলাই॥
তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধিতে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলা এলাকায়। এদিকে তিস্তার বন্যার দুর্গতদের জন্য সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসনের ত্রানভান্ডার হতে জিআর এর ৪০ মেট্রিকটন চাল ও ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডালিয়া বিভাগের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, গত দুই দিন ধরে উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি ডালিয়াস্থ্য তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপদসীমার (৫২দশমিক ৪০) ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আসায় তিস্তা নদীতে বন্যা দেখা দেয়। এতে তিস্তা অববাহিকার ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার চর ও গ্রাম প্লাবিত হয়ে ১০ হাজার পরিবার বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে।
এদিকে উজানের ঢল কিছুটা কমে আসায় আজ সোমবার তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার নিচে নেমে আসে। সকাল ৬টা থেকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এতে পানি কমেছে ৩০ সোন্টিমিটার। তবে বিকালে তিস্তার পানি আরো তিন সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পায়। যে কোন সময় উজানের ঢল নেমে এলে এতে নদীর পানি পুনরায় বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। বর্তমানে নদীর পানি বিপদসীমার নিচে নেমে আসায় তিস্তার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি ঘটে।
অপরদিকে তিস্তা নদীর বন্যার দূর্গতদের জন্য সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসনের ত্রানভান্ডার হতে জিআর এর ৪০ মেট্রিকটন চাল ও ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ডিমলা উপজেলার জন্য ২৫ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ৩৫ হাজার টাকা এবং জলঢাকা উপজেলার জন্য ১৫ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১৫ হাজার টাকা রয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীম বলেন, তিস্তা নদীর বন্যা বিশেষ করে হয়ে থাকে উজানের ঢলে। ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলায় বন্যার শুরুতেই যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের জন্য চাল ও নগদ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া তিস্তা বন্যা এলাকার সার্বক্ষনিক নজরদারি রাখা হয়েছে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 8122592414508423171

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item