তিস্তা নদীর বন্যা অব্যাহত

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ২ জুলাই॥
উজানে ভারী বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ী ঢলে নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ রবিবার ভোর ৬টার দিকে আবার তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে বিপদ সীমার (৫২ মিটার দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার) ১০ সেন্টিমিটার উপড় দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এতে পানি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিস্তা ব্যারাজের (৪৪টি) জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
তবে সন্ধ্যা ৬টায় ডালিয়াস্থ তিস্তা নদীর পানি কমে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো।
এদিকে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর র্তীরবর্তি বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে বলে জানায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
নীলফামারীর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাষ ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, উজানে ভারী বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ী ঢলে গতকাল শনিবার (১ জুলাই) রাতে থেকে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে রবিবার ভোর ৬টার দিকে তিস্তা ব্যারাজের নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার নদীর পানি ১০ সেন্টিমিটার উপড় দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে বেলা ১২টার দিকে নদীর পানি কিছুটা কমে বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার  দিয়ে প্রবাহিত হলেও সন্ধ্যা ৬টায় তা আরো কমে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।
এদিকে নদীর পানি বিপদসীমার উপড় দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদীর তীরবর্তী ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী ইউনিয়নের বেশ ককেটি চরগ্রাম সামান্য প্লাবিত হয়। তবে দুপুরের দিকে নদীর পানি কমতে শুরু করায় ওইসব চরগ্রামের পানিও নামতে শুরু করেছে জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।
নীলফামারী ডিমলা উপজেলার টেপাখড়ীবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহীন বলেন, রবিবার সকাল থেকে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় টেপাখড়ীবাড়ি ইউনিয়নসহ নদীর তীরবর্তী ইউনিয়নের বেশ কিছু চরাঞ্চলে নদীর পানিতে সামান্য প্লাবিত হয়। তবে দুপুরের পর থেকে নদীর পানি কমতে শুরু করায় বর্তমানে এসব গ্রাম স্বাভাবিক রয়েছে।
অপর দিকে পূবছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান জানান, নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমার ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেসর ও পূবছাতনাই নামের দুইটি মৌজা প্লাবিত হয়েছে। এই দুই মৌজায় বসবাসরত অন্তত আটশ পরিবার হাঁটু সমান পানিতে পানিবন্দী হয়ে পড়ে রয়েছিলো। কিন্তু দুপুর থেকে নদীর পানি কমতে শুরু হলে ওই দুই মৌজার মানুষজনও পানিবন্দী থেকে কিছুটা মুক্তি পায়। 
নীলফামারী ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নদীর পানি গত শুক্রবার (৩০ জুন) রাত থেকে বাড়তে থাকে যা গতকাল শনিবার (১ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে বিপদসীমা ১০ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকলে সন্ধ্যা ৬টায় তা কমে আসে। পরে রাত ৯টার সময় বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপড় দিয়ে আবার প্রবাহিত হয়। তবে আজ রবিবার বেলা ১২টার দিকে ২ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হলে তা সন্ধ্যা ৬টায় ১০ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হয়।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 7630131478228488522

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item