উজানের ঢলে তিস্তা বিপদসীমায়
https://www.obolokon24.com/2017/07/tista.html
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ১ জুলাই॥
উজানের ঢলে তিস্তা নদীতে বন্যা দেখা দিয়েছে। আজ শনিবার সকাল ৬টা থেকে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার (৫২ দশমিক ৪০ মিটার) ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের সব (৪৪টি) জলকপাট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। চলতি বর্ষা মৌসুমী তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ প্রথম বিপদসীমা অতিক্রম করলো। তবে উজান হতে যে ঢল আসছে তা কাঁদামাটি মেশানো ঘোলা পানি।এদিকে তিস্তা বন্যায় জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, গয়াবাড়ি ও জলঢাকা উপজেলার, গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকার ২৫টি চর ও গ্রামের ১০ হাজার পরিবার বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে বলে জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছে। এ ছাড়া পাশ্ববর্তী লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা,কালিগঞ্জ উপজেলার নদী বেস্টিষ্ট চর ও গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তফিজুর রহমান ও ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রমতে, তিস্তা অববাহিকার উজানের ভারি বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তা নদীতে বন্যা দেখা দিয়েছে। সকাল ৬টায় বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে নদীর পানি প্রবাহিত হলেও সকাল ৯টায় তা ৫ সেন্টিমিটার কমে এসেছে।
ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, ফরেস্টের চরের ১৫টি বাড়ি নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। পরিবারগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়েছে।
পূর্ব ছাতনাই ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান বলেন, ঝাড়সিংশ্বর এলাকার বসতবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। তিস্তাবেষ্টিত চর গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত করেছে। অপরদিকে জলঢাকার ডাউয়াবাড়ি, হলদিবাড়ি, গোপালঝাড়-আলসিয়াপাড়া এলাকায় বন্যার পানির স্রোতে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করলেও এখন পানি কমে আসছে। আমরা সর্তক অবস্থায় রয়েছি। পাশাপাশি তিস্তার চর ও গ্রাম গুলোর খোঁজ খবর রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।