আজ থেকেই কার্যত বেকার ওয়ার্নার-স্মিথরা!

ডেস্ক-
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে চুক্তি নবায়ন না হওয়ায় ভালোই বিপাকে পড়তে যাচ্ছে দেশটির খেলোয়াড়রা। চুক্তি নবায়নের শেষ দিনেও দেশটির ক্রিকেটবোর্ড ও খেলোয়াড়দের সংগঠনের মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে উভয় পক্ষই।

নতুন চুক্তিপত্রের কিছু বিষয় নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের ইউনিয়ন। নতুন চুক্তিতে বেতন কিছুটা বাড়ানো হলেও ক্রিকেট বোর্ডের লভ্যাংশের কিছুই দেওয়া হবে না ক্রিকেটারদের। এখানেই আপত্তি তুলেছেন ক্রিকেটাররা। অনেকেই ভাবছেন জাতীয় দল ছেড়ে টি-টোয়েন্টি লিগগুলোতে খেলার কথা। কিন্তু সেক্ষেত্রেও তাঁদের বেশ ঝামেলার মধ্যে পড়তে হবে বলে হুঁশিয়ার করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। কারণ বিদেশের লিগগুলোতে খেলতে গেলে ক্রিকেটারদের নিতে হবে বোর্ডের অনুমতিপত্র।

দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, চুক্তি নবায়ন না হলে আজ শনিবার ভোর থেকেই কার্যত বেকার হয়ে যাবেন ওয়ার্নার-স্মিথরা!

মূলত বেতন-ভাতা সংক্রান্ত দ্বন্দ্বে প্রায় স্থবির হতে বসেছে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট! দুইশরও বেশি ক্রিকেটার হারাতে চলেছেন চাকরি।  এখন তাহলে কী হবে? এই প্রশ্নটা উঠেছে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে। যার সঙ্গে আরও কয়েকটি দেশের ক্রিকেটীয় স্বার্থও সম্পৃক্ত। যেমন কয়েক দিনের মধ্যেই অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করার কথা। এরপর অস্ট্রেলিয়া মূল দল টেস্ট খেলতে আসবে বাংলাদেশে। তার চেয়েও বড় কথা, এ বছরেই আছে অ্যাশেজ, যেটি অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে ‘আইকনিক’ সিরিজ।

আরও একটি ব্যাপার হচ্ছে, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) সঙ্গে ক্রিকেটারদের সংগঠনের (এসিএ) এই বিরোধে শুধু জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা নন; সম্পৃক্ত সারা দেশের ক্রিকেটার। ফলে সিএর পক্ষে বিকল্প কোনো দলও তৈরি করা সম্ভব হবে না। আপাতত সবচেয়ে বড় সংকটে তাই পড়েছে অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। এটিই সবচেয়ে সামনে বলে।

অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলে ডাক পাওয়া ক্রিকেটারদের গত সোমবার রিপোর্ট করার কথা ছিল। অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের অধিনায়ক উসমান খাজাসহ আরও অনেক ক্রিকেটার আগের চুক্তির অধীনে ছিলেন, যে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে গতকাল। এরই মধ্যে এই সিরিজের পূর্ণ প্রস্তুতি সেরে রেখেছে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড। দুটি চার দিনের ম্যাচের পর এই সফরে একটি ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজ হওয়ার কথা, যাতে যুক্ত হবে ভারতের ‘এ’ দল। এর মধ্যে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড মনীষ পাণ্ডেকে রেখে ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করে দিয়েছে। কিন্তু সবকিছু পড়ে গেল অনিশ্চয়তার মধ্যে।

অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের এই গোলযোগের ফলে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে তাদের আগামী সফরগুলো। আগস্টে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের। এরপর যাওয়ার কথা ভারতে। আর এ বছরের শেষে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাশেজ সিরিজ। শেষপর্যন্ত এগুলো আদৌ অনুষ্ঠিত হবে কি না, তা নিয়ে চলছে ঘোর অনিশ্চয়তা।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। কারণ কিছুদিনের মধ্যেই এটি হওয়ার কথা ছিল। ইতিমধ্যে সিরিজের পূর্ণ প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড। দুটি চারদিনের ম্যাচের পর এই সফরে একটি ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজ হওয়ার কথা, যাতে যুক্ত হবে ভারতের ‘এ’ দল।

বাংলাদেশ সফরের এখনো দেরি আছে। ১০ আগস্ট ক্রিকেটারদের ডারউইনে সমবেত হওয়ার কথা। সেখানে এক সপ্তাহের অনুশীলন শেষে ১৮ আগস্ট ঢাকার উদ্দেশে বিমানে উঠবেন স্টিভ স্মিথরা। এখনো প্রায় দেড় মাস সময় হাতে থাকলেও এই সফর নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। কারণ, বোর্ডের সঙ্গে চুক্তি না হলে খেলোয়াড়েরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বদলে ঘরোয়া লিগগুলোতে খেলবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। যার মধ্যে আইপিএল ছাড়াও আছে ক্যারিবীয় লিগ সিপিএল বা দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি লিগ। এর মধ্যে সিপিএল চলবে ৪ আগস্ট থেকে ১০ সেপ্টেম্বর, এর মধ্যেই আছে বাংলাদেশ সফরের সূচি। বাংলাদেশ সফর বাদ দিয়ে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটাররা তাই সিপিএল খেলতে চলে যেতে পারেন।

তবে সিএ নিয়ম করে দিয়েছে, বোর্ডের অনুমতি ছাড়া এমনকি কোনো অগুরুত্বপূর্ণ প্রদর্শনী ম্যাচ খেললেও ক্রিকেটারদের নিষিদ্ধ করা হবে।

নতুন এই পরিস্থিতিতে করণীয় ঠিক করার জন্য আগামীকাল রবিবার জরুরি সভায় বসবেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা। সেখানে তারা কী সিদ্ধান্ত নেবেন, তার ওপর নির্ভর করবে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট অঙ্গনের ভবিষ্যৎ।

পুরোনো সংবাদ

খেলাধুলা 8774158709316252243

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item