নীলফামারী জেলার তিনটি সরকারী হাসপাতালে সিজারিয়ান কার্যক্রম শুরু

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ৩১ জুলাই॥
নীলফামারী জেলার তিনটি সরকারি হাসপাতালে বিনা খরচে সিজারিয়ান সেকশন শুরু হয়েছে। আজ সোমবার জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে, ডোমার ও জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারিয়ান সেকশন শুরু করা হয়। প্রথম দিন এই তিন হাসপাতালে ছয়জন মা সিজারিয়ানের মাধ্যমে সুস্থ্য সন্তানের জন্ম দেন। এ জন্য ওই পরিবারগুলোকে কোন খরচ বহন করতে হয়নি। বিনা খরচে সরকারী হাপাতালে তারা এই সুবিধা পেলো। দীর্ঘদিন পর আবার সিজারিয়ান চালু হওয়ায় সীমাহীন দূর্ভোগ থেকে রক্ষা পেলে এলাকাবাসী।
এদিকে হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশন চালু হওয়ার খবরে অসংখ্য গর্ভবর্তী মা সরকারী হাসপাতালে ছুটে আসছেন। চিকিৎসরা তাদের পরীক্ষা নিরিক্ষা করে সন্তান জন্মের তারিখ সহ প্রয়োজনী ব্যবস্থা প্রদান করছে।
ডোমার হাসপাতালে সদ্য সিজারিয়ানের মাধ্যমে জন্ম দেয়া এক পুত্র সন্তানের মা উপজেলার হরিণচড়া গ্রামের মশিউর রহমানের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম  জানান, সরকারী হাসপাতালে বিনা খরচে এই সুযোগ পেয়ে তিনি খুব খুশী। তা না হলে বাহিরে বে-সরকারী ক্লিনিকে সিজার করাতে গেলে অনেক টাকা লাগলো। তার মতো এখন শুধু হাসি ঝরছে সদ্য মা হওয়া লাইজু, ডলি ও কাকনের মুখে।যে ছয়টি সিজারিয়ান করা হয় এতে নবজাতক ও মা উভয়ে সুস্থ্য রয়েছে।
ডোমার উপজেলাবাসী এই খবরে মহা খুশী। ডোমার উপজেলা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা হবার পর ৫৫ বছরেও সিজারিয়ান সহ অন্য কোন অপারেশন চালু ছিল না। ফলে এক শ্রেনীর সুবিধাবাদীরা ডোমারে ক্লিনিক গড়ে তুলে ফায়দালুটে আসছিল। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজার শুরুর খবরে উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ সন্তোষ প্রকাশ করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নীলফামারীর সিভিল সার্জন ডাঃ রঞ্জিত কুমার বর্ম্মন জানান, ডোমারে দীর্ঘ ৫৫ বছর, জলঢাকায় দেড় বছর ও সদর আধুনিক হাসপাতালে এক বছর ধরে সিজারিয়ান সেকশন বন্ধ ছিল। চিকিৎসক সংকটের কারনে এতোদিন সিজারিয়ান সেকশন বন্ধ থাকলেও তিন গত দুই মাস আগে যোগদানের পর চিকিৎসক সংকট দুর করে উক্ত তিন সরকারী হাসপাতালে সিজারিয়ান সেকশন চালু করতে সক্ষম হলেন এতে অসহায় দুঃস্থ্য পরিবারের গৃহবধুরা প্রয়োজনে বিনামূল্যে সরকারী এই সেবা পেয়ে থাকবে।
সিজারিয়ান সেকশনে সহায়তা করছে ডা.মিনহাজুল ইসলাম,গাইনী কনসালটেন্ট ডা.ওবায়দা নাজনীন মুক্তা, ডা. খায়রুল ইসলাম,  ডা.জেড. এ. ছিদ্দিকী এবং  ডা. ইফফাত আরা টিউলিপ। এখন থেকে কোন অপারেশনের রোগীকে  কষ্টকরে বাইরের কোন হাসপাতালে যেতে হবে না।
সিভিল সার্জন আরো জানান জেলার সৈয়দপুর ,কিশোরীগঞ্জ ও ডিমলা উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট দুর করে অচিরেই এই তিন উপজেলা হাসপাতালে সিজারিয়ান সেকশন চালু করবেন। এ ছাড়া  জেলার প্রতিটি হাসপাতালে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ও রক্তদান কর্মসুচির সেবাও চালু করা হয়েছে।  ধাপে ধাপে জেলার সরকারি হাসপাতালে প্রতিটি রোগীর সকল প্রকার রোগের চিকিৎসা ও অপারেশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

পুরোনো সংবাদ

স্বাস্থ্য-চিকিৎসা 6572237746764005988

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item