এবারের হজ ব্যবস্থাপনাকে যুগোপযোগী করা হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক-
আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে হজ ব্যবস্থাপনাকে যুগোপযোগী করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এবার সর্বোচ্চ সংখ্যক বাংলাদেশি হজযাত্রী সৌদি আরব যাচ্ছেন। পবিত্র হজব্রত পালন করতে গিয়ে হাজিরা যেসব সমস্যার মুখোমুখি হন তা চিহ্নিত করে সমাধান করা হয়েছে। অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনসহ (নিবন্ধন) সর্বোচ্চ তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করে এবারের হজ ব্যবস্থাপনাকে যুগোপযোগী করা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর আশকোনায় হজক্যাম্প এবারের হজ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে, যেখান থেকে হজে যেতে ইচ্ছুক মানুষ অনলাইনে নিবন্ধন করতে পেরেছেন। হজ বিষয়ক ওয়েবসাইটও করা হয়েছে। সেখানে হজের সব বিষয়াবলীও দেওয়া হয়েছে। আছে মোবাইলে এসএমএস (খুদে বার্তা) দিয়ে তথ্য জানার ব্যবস্থাও। 

তিনি বলেন, হজযাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে এবার থেকে প্রাক-নিবন্ধন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। আগে হজের টাকা জমা দিতে গিয়ে অনেকে প্রতারণার শিকার হতেন। এসব ঘটনায় জড়িত এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। 

হজ ব্যবস্থাপনার চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশের হজযাত্রীরা জেদ্দা বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। সেখানে তাদের সুবিধার্থে সরকার একটি প্লাজা ভাড়া নিয়েছে। যেখানে চিকিৎসা, বিশ্রামসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারছেন তারা। 

তিনি আরো বলেন, আগে বাড়ি ভাড়া নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হতো। বিএনপির সময়ে যখন আমি বিরোধী দলের নেতা ছিলাম, তখন আমাকেও এসব সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। সৌদি আরব সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে এসব সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশি হাজিদের জন্য মক্কা ও মদিনায় বাড়ি ভাড়া নেওয়া হয়েছে। কোথায় কোথায় সমস্যা আছে সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি। সৌদি সরকারকে জানিয়েছি। হজ ব্যবস্থাপনাকে উন্নত করতে হজ মিশন মক্কায় স্থানান্তর করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, হজ ব্যবস্থাপনার সব ধরনের অনিয়ম দূর করেছি। এখন হাজিদের প্রতারণা কিংবা ভোগান্তিতে পড়তে হবে না। ওমরাহ নীতিও করা হয়েছে। আশা করছি আগামীতে হজ ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত হবে।

তিনি বলেন, পবিত্র ধর্মকে নিয়ে রাজনৈতিক ব্যবহার করা চলবে না। এই শান্তির ধর্মকে ব্যবহার করে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করা যাবে না। অল্প কয়েকজনের উগ্রতা ও বিভ্রান্তির কারণে সমগ্র মুসলিম উম্মাহ বিপদে পড়ছে। নিরীহ মানুষ মারার অধিকার কারও নেই।

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 3235795898866352235

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item