সৈয়দপুরে দুইটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বিদ্যালয়ের নাম ইংরেজীতে লেখার অভিযোগ

তোফাজ্জল হোসেন লুতু,সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:

সরকারিভাবে রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে বাংলা ভাষা ব্যবহারের নির্দেশনা রয়েছে। অথচ সৈয়দপুরে সরকারি সেই নিদের্শনা সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষিত হয়েছে। এখানে দুইটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নবনির্মিত প্রধান ফটকে বিদ্যালয়ের নাম বাংলা পরিবর্তে ইংরেজী ভাষায় লেখা হয়। এ নিয়ে নীলফামারী জেলা প্রাথমিক অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। আর এ অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির নীলফামারী জেলা শাখার সম্পাদক ও  প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সকারি শিক্ষক মো. রুহুল আলম মাষ্টার। সম্প্রতি তিনি ওই অভিযোগ করেন বলে জানা গেছে।
অভিযোগে বলা হয়, সৈয়দপুর পৌরসভার এলাকায় আমিনুল হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গোলাহাট রেলওয়ে কলোনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দুইটি অবস্থিত। সম্প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দকৃত অর্থে উল্লিখিত বিদ্যালয় দুইটির সীমানা প্রাচীর (বাউন্ডারী দেওয়াল) ও প্রধান ফটক নির্মাণ করা হয়। দরপত্রে মাধ্যমে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওই কাজ সম্পন্ন করে। আর প্রধান ফটকে বিদ্যালয়ের নামটি বাংলা ভাষায় না লিখে ইংরেজীতে লেখা হয়। যদিও সরকারি ভাবে রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে বাংলা ভাষা ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে এবং এ ক্ষেত্রে সরকারি নিদের্শনা উপেক্ষিত হয়েছে। আর এটি দেখার পর অভিভাবক ও এলাকাবাসী ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
এলাকার  একজন সচেতন ব্যক্তি বলেন, আমরা আন্তর্জাতিকভাবে মাতৃভাষার স্বীকৃতি পেয়েছি। ২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হচ্ছে গোটা বিশ্বে । অথচ আজ দেশের সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম বাংলা বদলে ইংরেজী ভাষায় লেখা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক জানান, এ কাজের মধ্যদিয়ে  ৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এবং ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে। সরকারি নিদের্শনার পরও সর্বক্ষেত্রে বাংলা ভাষার প্রচলন বাস্তবায়িত না হওয়ার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওই অভিভাবক।
অভিযোগকারী রুহুল আলম মাষ্টার তাঁর অভিযোগে এটি সংবিধান ও বাংলা ভাষার চেতনা বিরোধী কাজ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি অভিযোগে অবিলম্বে শহরের উল্লিখিত দুইটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বিদ্যালয়ের নাম বাংলা ভাষায় লেখা দাবি জানান।
আমিনুল হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাহবুবর রহমান বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন যখন ইংরেজী ভাষায় বিদ্যালয়ের নামটি লিখেন তখন আমারই প্রথম নজরে আসে বিষয়টি। আমি তখন ঠিদাকারী প্রতিষ্ঠানের লোকজনকে প্রশ্ন করেছিলাম বাংলার পরিবর্তে ইংরেজীতে লেখা বিদ্যালয়ের নাম লেখা হচ্ছে কেন ? তখন তারা বলেছিলেন এটি কাজের সিডিউলের মধ্যে উল্লেখ রয়েছে। তাই তখন বিষয়টি নিয়ে আমি আর কিছুই বলেনি।
   এ বিষয়টি নিয়ে কথা হয় সে সময়ে কর্মরত সৈয়দপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বর্তমানে দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আহসান হাবিবের সঙ্গে। তিনি জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নক্শা ও দিক-নিদের্শনা অনুযায়ী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটি বাস্তবায়ন করেছেন। এখানে উপজেলা শিক্ষা দপ্তরের কোন কিছুই করার ছিল না।   

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 5479427762411646468

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item