অবশেষে সৈয়দপুরে প্রধান শিক্ষকের উদ্যোগে প্রধান ফটকে বিদ্যালয়ের নাম লেখা হলো বাংলায়


তোফাজ্জল হোসেন লুতু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:



অবশেষে সৈয়দপুরে দুইটি বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বিদ্যালয়ের নাম বাংলা ভাষায় লেখা হলো। আজ (রবিবার) ওই  বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের উদ্যোগে বিদ্যালয়ের নাম বাংলা লেখা হয়। বিদ্যালয় দুইটি হলো আমিনুল হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গোলাহাট রেলওয়ে কলোনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।  তবে আগের ইংরেজি ভাষায় লেখা বিদ্যালয়ের নামটি রাখা হয়েছে। 
 খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি সৈয়দপুর উপজেলার তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরসহ প্রধান ফটক নির্মাণ কাজ করা হয়। এ সব হচ্ছে সৈয়দপুর শহরের ইসলামবাগ এলাকায় অবস্থিত আমিনুল হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোলাহাট এলাকার গোলাহাট রেলওয়ে কলোনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যায়লয় এবং ওয়াপদা নতুনহাট এলাকায় অবস্থিত পূর্ব বোতলাগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।  প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের পিডিপি- ৩  প্রকল্পের আওতায় সরকারিভাবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সম্পন্ন হয় এসব বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ও প্রধান ফটকের নির্মাণ কাজ। দেশে সর্বক্ষেত্রে বাংলা ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা থাকা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট বিভাগের দিক-নিদের্শনা অনুযায়ী ওই সব বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বিদ্যালয়ের নাম ইংরেজিতে লেখা হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বিদ্যালয়ে নাম ইংরেজিতে লেখায় বিদ্যালয়ের অভিভাবকসহ এলাকাবাসীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। সেই থেকে বিষয়টি নিয়ে অনেকেই অনেক রকম মন্তব্য ও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে থাকেন। আর বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি সৈয়দপুর উপজেলা শাখার বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বিদ্যালয়ের নাম বাংলায় লেখার বিষয়টি নিয়ে নীলফামারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের পত্র দেন। সেই সঙ্গে বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ইংরেজির পরিবর্তে বাংলায় বিদ্যালয়ের নাম লেখার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। গত ২৪ জুলাই সংগঠনটির মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে অবিলম্বে বিদ্যালয়ের নাম বাংলা লেখার জন্য আল্টিমেটামও দেওয়া দেন। অন্যথায় সংগঠনের পক্ষ থেকে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচির দিবে বলে হুঁশিয়ারিদেওয়া হয়।। বিষয়টি নিয়ে জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল অবলোকনসহ বিভিন্ন জাতীয়, আঞ্চলিক দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্র-পত্রিকায় সচিত্র সংবাদ ফলাও করে প্রকাশিত হয়। 
এ অবস্থায় বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মূখীন হতে থাকেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিষয়টি নিয়ে এসএমসি’র সভাপতি ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরবর্তীতে সকলের পরামর্শে বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বাংলা ভাষায় বিদ্যালয়ের নাম লেখার মৌখিক সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। আর এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে গতকাল (রবিবার) শহরের দাদা আর্ট থেকে একজন অংকন শিল্পী ডেকে এনে বিদ্যালয়ের নাম বাংলা ভাষায় লেখা হয়েছে। আজ(রবিবার) দুপুরে সরেজমিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় অংকন শিল্পী বেঞ্চের ওপর উঠে বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বিদ্যালয়ের নাম বাংলা লিখছেন। এতে করে প্রধান শিক্ষক মো. মাহবুবর রহমান মাহবুবকে অভিভাবকসহ এলাকাবাসী আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন।  
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাহবুবর রহমান জানান, এতে যে অর্থ ব্যয় হয়েছে তা তিনি (মাহবুবর রহমান) নিজ পকেট থেকে তা খরচ করেছেন। তিনি বলেন,যেহেতু সরকারিভাবে ইংরেজিতে বিদ্যালয়ের নাম লেখা হয়, তাই সেটিও রেখে তাঁর ওপর বাংলায় বিদ্যালয়ের নাম লেখা হয়েছে। তাছাড়াও যেহেতু বিদ্যালয়ের পাশে রয়েছে অত্রাঞ্চলের প্রাচীনতম ও ঐতিহ্যবাহী চিনি মসজিদ। ১৮৬৩ সালে স্থাপিত দৃষ্টিনন্দন এ নির্মাণশৈলীটি দেখতে দেশি-বিদেশী অনেক পর্যটক আসেন। তাই তারা যাতে বিদ্যালয়ের নামটি সহজে পড়তে পারেন সে জন্য ইংরেজি নামটিও রাখা হয়েছে।  
তবে বিষয়টি নিয়ে আজ(রবিবার) উপজেলা পরিষদ চত্বরে কথা হয় প্রতিবাদকারী ওয়ার্কাস পার্টি সৈয়দপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রুহুল আলম মাষ্টারের  সঙ্গে। তিনি বলেন, যতই বাংলায় লেখা হোক, ইংরেজিতে লেখা বিদ্যালয়ের নামটি মুছে ফেলতে হবে। নইলে তিনি আইনের আশ্রয় নেবে বলে জানান।বিষয়টি নিয়ে ইতিপূর্বে অবলোকনে প্রকাশিত সংবাদটির লিংক নিচে দেয়া হলো-সৈয়দপুরে দুইটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বিদ্যালয়ের নাম ইংরেজীতে লেখার অভিযোগ

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 1573090782294024398

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item