সৈয়দপুর প্রেস ক্লাবে ইকু পেপার মিলস্ লিঃ কর্তৃপক্ষের সংবাদ সম্মেলন

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে কাগজ ক্রয়ের দরপত্রে দুর্নীতি অভিযোগ

তোফাজ্জল হোসেন লুতু,সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:

দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার উত্তদরপত্র মুদ্রন ও তৈরির কাগজ ক্রয়ের দরপত্রে দুর্নীতি অভিযোগ করা হয়েছে। কাগজ ক্রয়ের দরপত্রে অংশগ্রহনকারী সর্বনি¤œ দরদাতা সৈয়দপুরের ইকু পেপার মিলস্ লিমিটেড কর্তৃপক্ষ সংবাদ সম্মেলন করে ওই অভিযোগ করেছে। আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে সৈয়দপুর প্রেস ক্লাবের ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগে বলা হয়, দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার উত্তরপত্র মুদ্রণ ও তৈরির কাগজ ক্রয়ের জন্য প্রথমে গত ২০ মে একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। উন্মুক্ত পদ্ধতিতে তিনটি লটে ওই  দরপত্র আহবান করা হয়। এতে সৈয়দপুরের ইকু পেপার মিলস্ লিমিটেড সর্বনি¤œ দরদাতা ছিল। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে ওই দরপত্র বাতিল করে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে গত ২০ জুন একই পত্রিকায় পুনঃ দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এ দরপত্রের সিডিউল জমাদানের শেষ সময় ছিল ৫ জুলাই বিকাল ৪টা পর্যন্ত। তিন নম্বর লটে ১৫ হাজার রীম ক্রয়ের জন্য ওই টেন্ডার বিজ্ঞপ্তিতে কাগজের সাইজ ২৩ ইঞ্চি বাই ৩৬ ইঞ্চি, জিএসএম ৬২ গ্রাম চাওয়া হয়। সৈয়দপুরের ইকু পেপার মিলস্ লিমিটেড ৩ নম্বর লটের জন্য টেন্ডারের সিডিউল সংগ্রহপূর্বক দরপত্রে উল্লিখিত সব শর্তাবলী মেনে ও প্রয়োজনীয় যথাযথ কাগজপত্রসহ দরপত্র দাখিল করে। এতেও সৈয়দপুরের ইকু পেপার মিলস্ লিমিটেড সর্বনি¤œ দরদাতা বিবেচিত হয়। এরপর বোর্ডের সচিব মো. তোফাজ্জুর রহমান (অঃ দাঃ) সৈয়দপুরের ইকু পেপার মিলস্ লিমিটেডের মহাব্যব্যবস্থাপক মো. একরামুল হকের সঙ্গে মুফোঠোনে যোগাযোগ করেন। এ সময় তিনি কার্যাদেশ দেওয়ার বিনিময়ে বোর্ডের চেয়ারম্যানকে নগদ ৬ লাখ টাকা উৎকোচ দিতে বলেন। কিন্তু ইকু পেপার মিলস্ লিঃ কর্তৃপক্ষ তাঁর কথা আমলে নেননি। তারা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে ওই পরিমাণ টাকা উৎকোচ দিয়ে কার্যাদেশ নেওয়া সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দেনবোর্ড সচিবকে। আর বোর্ড কর্তৃপক্ষ তাদের দাবিকৃত টাকা না পেয়ে টেন্ডারের সর্বনি¤œ দরদাতা ইকু পেপার মিলস্ লিমিটেডকে কার্যাদেশ না দিয়ে দ্বিতীয় সর্বনি¤œ দরদাতাকে রীম প্রতি এক শ’ টাকা বেশি দিয়ে কার্যাদেশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়েছে। এতে করে সরকারী প্রায় ৩০ লাখ টাকা  অপচয় হবে বলে জানা গেছে।
 সৈয়দপুরের ইকু পেপার মিলের মহাব্যবস্থাপক মো. একরামুল হক বলেন, আমরা টেন্ডারে বোর্ডের সকল শর্ত পুরণ করেছি। টেন্ডারে কাগজের উজ্জ্বলতা ৮০ ভাগ চাওয়ার হলে আমাদের কাগজের উজ্জ্বলতা ৮৪ ভাগ। তারপরও বোর্ডের সচিবের কথা মতো বোর্ড চেয়ারম্যানকে টাকা না দেওয়ার আমাদের কাজটি দেওয়া হয়নি।
ইকু পেপার মিলস্ লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিল্পপতি সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক বলেন, অনেক বাঁধা বিপত্তি উপেক্ষা করে আমার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দরপত্র দাখিল করতে হয়েছে। আর পর পর দুই দরপত্রেই আমার প্রতিষ্ঠান কাজ পাওয়ার যোগ্য ছিল। আগের বার টেন্ডারে আমি ৭৫ লাখ টাকা কমে টেন্ডার দাখিল করেছিলাম। পুনঃ দরপত্রে প্রায় ৩০ লাখ টাকা কমে দরপত্র দাখিল করি। তারপরও আমাকে কার্যাদেশ দেওয়া হচ্ছে না। তিনি অভিযোগ করেন বোর্ড চেয়ারম্যান  দ্বিতীয় সর্বনি¤œ দরদাতার কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সর্বনি¤œ দরদাতা হওয়ার সত্ত্বেও তাকে কাজ না দেওয়ার বিষয়ে আইনের দ্বারস্থ হবেন বলে জানান তিনি।  
সংবাদ সম্মেলনে ইকু পেপার মিলের মহাব্যবস্থাপক একরামুল হক, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল আলীম খাঁন ও ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার মো. শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।   

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 4134093863345078927

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item