পীরগঞ্জে বালু উত্তোলন করলেও মুচলেকা নিয়ে ছাড়া হলো!

মামুনুর রশিদ মেরাজুল,পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি ঃ

আওয়ামীলীগ নেতা বলে কথা! অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় হাতেনাতে ধরলেও মুচলেকা নিয়ে বালু ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। উপজেলার টুকুরিয়া ইউনিয়নে করতোয়া নদী থেকে বালু উত্তোলনের পর ঘটনাটি ঘটেছে। অপরদিকে গত ঈদের আগে ওই নদী থেকে বালু তোলার অভিযোগে পরিত্যক্ত একটি স্যালোমেশিন ইউএনও জব্দ করে এনে দু’জনকে আসামী করে থানায় নিয়মিত মামলা করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীর সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার টুকুরিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আব্দুস সামাদ মিয়া ও তার ছেলে মেহেদী হাসান দীর্ঘদিন ধরে মোনাইল নাপিতপাড়ার কাছে করতোয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। এলাকাবাসী তাদের চলাচলের রাস্তা রক্ষায় ওই আ’লীগ নেতাকে বালু উত্তোলন বন্ধ করার জন্য বললেও তিনি কর্নপাত করেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে মোনাইল গ্রামের গৃহবধু মালেকা বেগম, তরফমৌজার মোর্শেদুল ইসলাম বলেন, মাহেন্দ্র আর ট্রাক্টরে করে বালু নিয়ে যাওয়ার কারণে হামার চলাচলের আস্তাটা (রাস্তা) শ্যাষ হয়া গেল। এতোবার সামাদ মিয়াক কছি। তাও কতা শোনে নাই। ওরা ক্ষমতাত আছে, তাই কারো কতা শোনে না। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল দুপুরে টুকুরিয়া ইউপির তহশিলদার নারায়ন চন্দ্র বালু উত্তোলন দেখতে যান। এ সময় তার সাথে ওই আ’লীগ নেতার ছেলে মেহেদী হাসানের কথা হওয়ার দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দী হয়েছে। অপরদিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মিজানুর রহমান, থানার দারোগা প্রলয় কুমার বর্মনসহ কয়েকজন পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এরপর আ’লীগ নেতা সামাদ মিয়াকে ঘটনাস্থলে ডেকে নিয়ে এসে বালু উত্তোলন করবেন না বলে মুচলেকা দিলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। তহশিলদার নারায়ন চন্দ্র বলেন, স্যালোমেশিন নিয়ে মেহেদী হাসান পালিয়ে গেছে। পরে স্যার (এ্যাসিল্যান্ড) পুলিশ নিয়ে আসেন। এ্যাসিল্যান্ড মিজানুর রহমান বলেন, পুলিশ নিয়ে গিয়েছিলাম। মোবাইল কোর্ট করতাম। কিন্তু কাউকে পাইনি, স্যালোমেশিনটিও ছিল না। তহশিলদার বালু ব্যবসায়ী মেহেদীকে আটক করার পর তাকে ছেড়ে দিয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশ না থাকায় ঝামেলা হতো, তাই হয়তো ছেড়ে দিয়েছে। তবে আমি কাউকে পাইনি।

উল্লেখ্য, গত ঈদের আগে করতোয়া নদী থেকে দুর্গাপুর মৌজায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে একটি পরিত্যক্ত স্যালোমেশিন জব্দ করে থানায় এনে সাবেক ইউপি সদস্য রমজান আলী ও সাইফুল ইসলাম আসামী করে মামলা করা হয়েছে।

পীরগঞ্জে বালু উত্তোলন করলেও মুচলেকা নিয়ে ছাড়া হলো!

মামুনুর রশিদ মেরাজুল,পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি ঃ

আওয়ামীলীগ নেতা বলে কথা! অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় হাতেনাতে ধরলেও মুচলেকা নিয়ে বালু ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। উপজেলার টুকুরিয়া ইউনিয়নে করতোয়া নদী থেকে বালু উত্তোলনের পর ঘটনাটি ঘটেছে। অপরদিকে গত ঈদের আগে ওই নদী থেকে বালু তোলার অভিযোগে পরিত্যক্ত একটি স্যালোমেশিন ইউএনও জব্দ করে এনে দু’জনকে আসামী করে থানায় নিয়মিত মামলা করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীর সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার টুকুরিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আব্দুস সামাদ মিয়া ও তার ছেলে মেহেদী হাসান দীর্ঘদিন ধরে মোনাইল নাপিতপাড়ার কাছে করতোয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। এলাকাবাসী তাদের চলাচলের রাস্তা রক্ষায় ওই আ’লীগ নেতাকে বালু উত্তোলন বন্ধ করার জন্য বললেও তিনি কর্নপাত করেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে মোনাইল গ্রামের গৃহবধু মালেকা বেগম, তরফমৌজার মোর্শেদুল ইসলাম বলেন, মাহেন্দ্র আর ট্রাক্টরে করে বালু নিয়ে যাওয়ার কারণে হামার চলাচলের আস্তাটা (রাস্তা) শ্যাষ হয়া গেল। এতোবার সামাদ মিয়াক কছি। তাও কতা শোনে নাই। ওরা ক্ষমতাত আছে, তাই কারো কতা শোনে না। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল দুপুরে টুকুরিয়া ইউপির তহশিলদার নারায়ন চন্দ্র বালু উত্তোলন দেখতে যান। এ সময় তার সাথে ওই আ’লীগ নেতার ছেলে মেহেদী হাসানের কথা হওয়ার দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দী হয়েছে। অপরদিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মিজানুর রহমান, থানার দারোগা প্রলয় কুমার বর্মনসহ কয়েকজন পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এরপর আ’লীগ নেতা সামাদ মিয়াকে ঘটনাস্থলে ডেকে নিয়ে এসে বালু উত্তোলন করবেন না বলে মুচলেকা দিলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। তহশিলদার নারায়ন চন্দ্র বলেন, স্যালোমেশিন নিয়ে মেহেদী হাসান পালিয়ে গেছে। পরে স্যার (এ্যাসিল্যান্ড) পুলিশ নিয়ে আসেন। এ্যাসিল্যান্ড মিজানুর রহমান বলেন, পুলিশ নিয়ে গিয়েছিলাম। মোবাইল কোর্ট করতাম। কিন্তু কাউকে পাইনি, স্যালোমেশিনটিও ছিল না। তহশিলদার বালু ব্যবসায়ী মেহেদীকে আটক করার পর তাকে ছেড়ে দিয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশ না থাকায় ঝামেলা হতো, তাই হয়তো ছেড়ে দিয়েছে। তবে আমি কাউকে পাইনি।

উল্লেখ্য, গত ঈদের আগে করতোয়া নদী থেকে দুর্গাপুর মৌজায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে একটি পরিত্যক্ত স্যালোমেশিন জব্দ করে থানায় এনে সাবেক ইউপি সদস্য রমজান আলী ও সাইফুল ইসলাম আসামী করে মামলা করা হয়েছে।