পঞ্চগড়ে বেড়েই চলছে ঘাতক ইউক্যালিপটাস গাছের রোপণ

মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম-

পঞ্চগড়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষকরা না বুঝেই জমির আইল, আবাদি ও ভিটা জমির পাশের দ্রুত বর্ধনশীল ইউক্যালিপটাস গাছ রোপণ করে চলছে। যার প্রভাব পড়ছে পরিবেশসহ ফসলি জমির ওপর। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা যায়, ইউক্যালিপটাস গাছ আমাদের মাটি ও পরিবেশের জন্য একেবারেই উপযোগী নয় বরং ফসলসহ অন্য প্রতিবেশী গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে। এ গাছটি বাংলাদেশের তালিকা ভুক্ত উদ্ভিদ নয়। গাছের আদিবাস অষ্ট্রেলিয়ায়।
সরেজমিন পঞ্চগড় সদর উপজেলাসহ অন্যান্য উপজেলার ন্যায় তেঁতুলিয়া সদর উপজেলার তেঁতুলিয়া, বাংলাবান্ধা, শালবাহান, বুড়াবুড়ি, দেবনগর, ভজনপুরসহ অন্যান্য ইউনিয়নের শত শত কৃষক অধিক মুনাফার লোভে পরিবেশ নষ্টকারী জমির নিরব ঘাতক ইউক্যালিপটাস গাছ রোপণ করছে। এ গাছের ক্ষতিকার দিকগুলো মাটি থেকে বেশি রস ও খাদ্য শোষণ করে থাকে। ফলে যে এলাকায় ইউক্যালিপটাস গাছ বেশি আছে, সেই এলাকায় পানির স্তর ক্রমেই নীচে নেমে যায়। এতে পার্শ্ববর্তী জমির কমে যায় উর্বরতা শক্তি। ক্ষতিকর ইউক্যালিপটাস গাছের পাতা সহজে পচে না, যেখানে ওই গাছের পাতা মাটিতে পড়ে সে স্থানে অন্য কোন প্রকার ফসল জন্মায় না বরং আশে পাশের ফসল বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্থ করে। মানুষ বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন ও অপরিহার্য সহায়ক গাছ।। তাই মাটি ও মানুষের ক্ষতিকর ইউক্যালিপটাস গাছ রোপণ বন্ধে স্থানীয় প্রশাসন, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, এনজিও, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দিরও প্রত্যন্ত গ্রাম-গঞ্ছের সর্বসাধারনকে সচেতনতামূলক প্রচার, প্রচারণা আবশ্যক। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, ইউক্যালিপটাস গাছ প্রচুর পরিমাণে পানি শোষণ করে, এতে পরিবেশের ওপর বিরুপ প্রভাব পড়ে, ফলে এ প্রজাতির গাছ রোপণ না করাই ভালো।

পুরোনো সংবাদ

পঞ্চগড় 7085547911044016995

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item