বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে এক মাস পর পাথর আমদানি শুরু
https://www.obolokon24.com/2017/07/panchagar_23.html
প্রায় এক মাস বন্ধ থাকার পর পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আবারও পাথর আমদানি শুরু হয়েছে। বুধবার দুপুরে ভারত থেকে পাথর বোঝাই কয়েকটি ট্রাক স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের মাধ্যমে এই কর্যক্রম শুরু হয়।এতে স্থলবন্দরের স্থবিরতা কেটে আবারও ফিরে এসেছে কর্মচাঞ্চল্য। পাথর আমদানি বন্ধ থাকায় বিপুল পরিমাণ রাজস্ব বঞ্চিত হয় সরকারস্থলবন্দর সূত্র জানায়, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে বর্তমানে শুধু পাথর আমদানি করা হয়। আমদানিকৃত সেই পাথরে জিএসটি (গুডস সার্ভিস ট্যাক্স) আরোপ করে ভারত সরকার। ফলে ভারতীয় রফতানিকারকরা পাথর রফতানি বন্ধ করে দেয়। সেই জিএসটি জটিলতায় গত ২২ জুন বন্ধ হয়ে যায় এই বন্দর দিয়ে পাথর আমদানি। বন্দরটি পাথর আমদানিনির্ভর হওয়ায় স্থবিরতা দেখা দেয় এই শুল্ক স্টেশনে। ঋণপত্র (এলসি) আটকে যাওয়ার লোকশানের মুখে পড়েন ব্যবসায়ীরা। বেকার হয়ে পড়েন স্থলবন্দরের কয়েকশ শ্রমিক। পাথর ক্র্যাশিং মেশিনে কর্মরত শ্রমিকরাও কর্মহীন হয়ে পরেন। বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকেও বঞ্চিত হয় সরকার।গত অর্থবছরে এই বন্দর দিয়ে ৯ লাখ ৪ হাজার টন পাথর আমদানি করা হয়। আর গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের মে পর্যন্ত পাথর আমদানি হয়েছে ৫ লাখ ১৫ হাজার টন। এই বন্দর দিয়ে প্রতি ৫০০ টন পাথরের বিপরীতে ২ লাখ ৫ হাজার ৯৩১ টাকা নিয়মিত শুল্ক আদায় করে সরকার।জানা গেছে, গত জুন থেকে ভারত সরকার এই পণ্যের ওপর ৫ শতাংশ হারে জিএসটি আরোপ করেছে। এজন্য বাংলাদেশি আমদানিকারকদের প্রতি এক হাজার টন পাথর আমদানিতে প্রায় ৩২ হাজার টাকা অতিরিক্ত মূল্য পরিশোধ করতে হবে। এর আগে প্রতি এক হাজার টন পাথরে ৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা ঋণপত্র করতে হতো।বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের আমদানিকারক বাবুল খান বলেন, বর্তমানে এই বন্দর দিয়ে শুধুমাত্র পাথর আমদানি করা হচ্ছে। ভারত সরকার পাথরের ওপর নতুন করে জিএসটি আরোপ করায় প্রায় এক মাস পাথর আমদানি বন্ধ ছিল। ফলে বন্দরটির সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী-শ্রমিক সকলেই লোকসানের মুখে পড়েন। পাথর আমদানি শুরু হওয়ায় বন্দরটিতে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের সহকারী কমিশনার (রাজস্ব) বলেন, এই বন্দর দিয়ে পাথর সবচেয়ে বেশি আমদানি হয়। গত ২২ জুন থেকে পাথর আমদানি বন্ধ থাকার কারণে রাজস্ব আদায় বন্ধ ছিল।