২১ বছর ধরে তালা উলিপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিসে

হাফিজুর রহমান হৃদয়, (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :

উলিপুর ও চিলমারী বন্দর রক্ষায় কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কুড়িগ্রামের উলিপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ড চিলমারী উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয়টি দীর্ঘ ২১ বছর ধরে তালা বন্ধ রয়েছে। কোন কর্মকর্তা কর্মচারী অফিসটিতে না থাকায় বর্তমানে অফিস ক্যাম্পাসটি অসামাজিক কর্মকান্ডের অভয়ারন্যে পরিনত হয়েছে। এ কারনে এলাকার নদী ভাঙ্গন অথবা জরুরী প্রয়োজনে তাদের পাওয়া যায় না। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে ভুক্তভোগি জনসাধারন। সরকার হারাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব, খোয়া যাচ্ছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, রংপুর বিভাগীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডও কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিনে বিগত ১৯৭৪ সালে চিলমারী বন্দরকে নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষায় দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার সুবিধার্থে উলিপুরে চিলমারী উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয়টি স্থাপন করা হয়। প্রায় ১০ একর জমির উপর সুবিশাল অফিস ক্যাম্পাসে ২টি পুকুর ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের আবাসিক ব্যবস্থা রয়েছে। কার্যালয়টিতে ১জন এসডিও, ৩ জন এসও, ২জন অফিস সহকারী, ৮জন কার্য সহকারী, ৫জন এমএলএসএস,২জন দারোয়ান ও ২জন সার্ভেয়ার রয়েছে। নদী ভাঙ্গা দুর্গত মানুষের আগমনে মুখরিত অফিসটি দুর্গত মানুষের সেবা দিয়ে আসছিল। কিন্ত বিগত ১৯৯৬ সালে তৎকালীন সরকারী দলে এক নেতার সাথে এক কর্মকর্তার অপ্রীতিকর ঘটনার অজুহাতে অলিখিত ভাবে অফিসটি বন্ধ রাখা হয়।
আর সেই থেকে অফিসটি তালাবন্ধ রয়েছে। তবে কাগজে কলমে অফিসটি চলছে বলে দেখানো হচ্ছে। কিন্ত বাস্থবে অফিসটি বন্ধ। কার্যালয়ের নির্দিষ্ট সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছে। তারা নিয়মিত ভাবে বেতন বিল পাচ্ছেন কিন্ত সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে এলাকার জনগন। এলাকার মানুষের দাবী অবিলম্বে অফিসটি জনগনের জন্য চালু করা ইউক।
এলাকার বাসিন্দা আব্দুস ছালাম ও স্বাধীন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, অফিসটি গত ২০/২১ বছর ধরে বন্ধ শুধু দারোয়ান ছাড়া কেউ অফিসে আসে না। ফলে ২টি পুকুর মানুষ দখল করে খাচ্ছে। গুদামে এবং বাইরে রাখা লোহার গাডার গুলো খোয়া যাচ্ছে। বাউন্ডারী ওয়ালের অধিকাংশই মানুষ ভেঙ্গে নিয়ে যাচ্ছে, দেখার যেন কেউ নেই ।
এ ব্যাপারে স্থানীয় দারোয়ান মোঃ জয়নাল আবেদীন জানান, আমি একাই কিভাবে সামাল দিব। রাতে একা পাহারা দিতে হিমশিম খাচ্ছি দিনে ,অনেক ভয়ভীতির মাঝেও পাহাড়া দিতে হয়।রানীগঞ্জ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ মন্জুরুল ইসলাম মন্জু অভিযোগ করে বলেন, চিলমারী উপ-বিভাগীয় কার্যালয়টি দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ থাকায় তাদের খুজে পাওয়া যায় না এবং কতৃপ সময় মত জরুরী ব্যবস্থা না নেয়ায় রানীগঞ্জ বাজারসহ বিরাট জন বসতিপুর্ন এলাকা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।্উলিপুর অফিসের এসও রায়হানুল ইসলাম জানান বর্তমানে অফিসটি ও আবাসিক ভবন গুলো বসবাসের অযোগ্য তাছাড়া এখানে কেউ থাকেন না বলে তিনি কুড়িগ্রামে অফিসে বসেন এবং সেখানে পরিবার নিয়ে অবস্থান করেন।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, উলিপুর অফিস খোলা থাকলে ও কেউ বসেন না। তারা কুড়িগ্রাম অফিসে বসেন এবং এখান থেকে উলিপুর চিলমারী এলাকার চলতি প্রকল্পের কাজ দেখা শুনা করেন। এখান থেকে বেতন ভাতা ও নিচ্ছেন। জনবল কম, অফিস এবং আবাসিক ভবন গুলোর দুরাবস্থা তাই মেরামত করে অফিস করার ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পুরোনো সংবাদ

নিবিড়-অবলোকন 2445664146503249835

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item