কিশোরগঞ্জে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো নানা সমস্যায় জর্জরিত,পুরোপুরি সেবা পাচ্ছেনা দরিদ্র মানুষ

মোঃ শামীম হোসেন ,কিশোরগঞ্জ,নীলফামারীঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো অবকাঠামো  ও জনবল সংকটসহ  নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে।  ফলে গ্রামীণ জনগনের স্বাস্থ্য সেবা মুখ থুবরে পড়তে বসেছে।  সরকার জনগনের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পেীঁছে দেয়ার লক্ষ্যে ক্লিনিকগুলোতে ২৮ প্রকার ওষুধ প্রদান ও সপ্তাহে ৬ দিন সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চালু রাখার নির্দেশ দিলেও উপজেলার কোথাও এমনটি দেখা যায়নি। বিভিন্ন সমস্যার কারনে ক্লিনিকগুলো নিজেরাই যেন রোগাক্রান্ত হয়ে পড়েছে। ফলে ভেস্তে যেতে বসেছে সরকারের মহতি উদ্যোগ ।  সরেজমিন ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় ৩৩ টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ ক্লিনিকে নেই সীমানা প্রাচীর, ও বিদ্যুৎ সংযোগ, ক্লিনিকের ডায়াবেটিক পরীক্ষার মেশিনও নষ্ট।
গত শনিবার বিভিন্ন ক্লিনিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ক্লিনিক গুলোর সীমানা প্রাচীর না থাকার কারনে ক্লিনিকের বারান্দায় গরু বাঁধা রয়েছে। এবং কোন কোন ক্লিনিকের ভিতরের অবস্থা অত্যান্ত নোংরা।  অনেক ক্লিনিকে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। আবার কিছু  ক্লিনিকে শেীচাগার ব্যবহারের অনুপযোগী ও নলকুপ অকেজো। আবার চাহিদার তুলনায় নেই পর্যাপ্ত ওষুধ। কোথাও কোথাও সাধারন মানুষ একটু সেবা পেয়ে সন্তুষ্ট। কিন্তু ক্লিনিকগুলোতে শেীচাগার ও বিদ্যুৎ না থাকার কারনে রোগীদের বিশেষ করে নারী ও শিশুদের কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। এমনকি শৈীচাগার না থাকার কারনে সিএইচসিপি গন মানুষের বাড়িতে গিয়ে তাদের প্রয়োজন সারছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগের একাধিক সুত্রে জানা গেছে, ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আওয়ামীলীগ সরকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্পের আওতায় প্রত্যন্ত এলাকায় কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিকগুলোতে ভবন নির্মান করে।  মাঝখানে দীর্ঘ ৭ বছর এ প্রকল্পটি বন্ধ থাকায় ভবনগুলো পড়েছিল।  আবার ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আবার সেগুলো চালু করা হয়।  কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন সমস্যার কারনে পুরোপুরি সেবা পাচ্ছেনা সাধারন দরিদ্র মানুষ।
বড়ভিটা ইউনিয়নের মেলাবর কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে দেখা যায় , ক্লিনিকের দরজা জানালা বন্ধ। ক্লিনিকের দরজায় এক বৃদ্ধ মহিলা ঘুমিয়ে আছেন। তাকেঁ ডাকতেই পিছন থেকে ছুটে আসেন ক্লিনিকের সিএইচসিপি সেলিনা বেগম, ক্লিনিকের দরজা বন্ধ কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভাই ক্লিনিকের টয়লেট নষ্ট তাই অন্যের বাড়িতে গিয়েছিলাম টয়লেট করার জন্য। ক্লিনিকের ভিতরে গিয়ে দেখা যায় ক্লিনিকে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকা নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তাই রোগী কম আসেন।
এদিকে দুপুর ১২ টা ৪৫ মিনিটে দক্ষিন বড়ভিটা কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে দেখা যায় সেখানে তালা ঝুলছে।  আশাপাশে কিছু এলাকাবাসীর সাথে কথা বললে তারা বলেন, সি এইচসিপি আপা কিছুক্ষন আগে ক্লিনিকে তালা লাগিয়ে বাড়িতে চলে গেছে।  ওই ক্লিনিকের সিএইচসিপি সুলতানা বেগম বলেন, আমার বাচ্চা অসুস্থ তাই আমি স্যারকে জানিয়ে বাসায় যাওয়ার জন্য বের হয়েছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ  মেজবাউল হাছান চেীধুরী বলেন, আমি মাঝে মাঝে ক্লিনিকগুলো পরিদর্শনে গিয়ে অনেক সময় সিএইচসিপি দের না পেয়ে বেশ কয়েকজনকে শোকজ করেছি। বিদ্যুতের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, যে সমস্ত ক্লিনিকে বিদ্যুৎ নেই সেই সমস্ত ক্লিনিকের তালিকা করে পল্লী বিদ্যুতের এজিএমকে দেয়া হয়েছে। আর অবকাঠামো সহ অন্যন্য বিষয় নীলফামারী সিভিল সার্জনকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। 
এ বিষয়ে কথা বললে কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সাব জোনাল অফিসার এজিএম কামাল হোসেন বলেন, যে সমস্ত ক্লিনিকে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই । সেই সমস্ত ক্লিনিকের তালিকা অনুযায়ী দুই তিন দিনের মধ্যে সংযোগ প্রদান করা হবে।
 নীলফামারী জেলা  সিভিল সার্জন রণজিৎ কুমার বর্মনের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, আমি অলরেডি জেলার ছয় উপজেলার টি আই সি দের কমিউনিটি ক্লিনিকের সমস্যার বিষয়ে লিখিত তালিকা চেয়েছি। তালিকা পেলে আমি বিষটি লাইন ডাইরেক্টরকে জানাব।


পুরোনো সংবাদ

স্বাস্থ্য-চিকিৎসা 8659368228748721561

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item