এই দীঘি সেই দীঘি
https://www.obolokon24.com/2017/07/flim.html
বয়স বাড়লেও দীঘি নামটির সঙ্গে এখনও এক কোমল শিশু চরিত্রের মুখ ভেসে ওঠে।
গ্রামীণফোনের বিজ্ঞাপন কিংবা ডিপজলের ‘চাচ্চু’ ছবির সেই ছোট্ট দীঘিটি এখন আর ছোট নেই। বেশ বড়ই হয়ে গেছে।
একটা সময় এই খুদে অভিনেত্রী মাসের ৩০ দিনই ব্যস্ত থাকতেন শুটিংয়ের কাজে। লাইট, ক্যামেরা, শুটিং স্পট, সিনেমার সংলাপ, পাণ্ডুলিপি, মেকআপ- এই ছিল তার জীবনের অংশ। আর হবে নাই বা কেন? বাবা সুব্রত আর মা দোয়েল দু’জনই চলচ্চিত্রের মানুষ।
তবে মায়ের মৃত্যুর পর হঠাৎ করেই তিনি পর্দার আড়ালে চলে যান! এরপর দীর্ঘদিন পর্দায় দেখা যায়নি ছোট্ট এ মেয়েটিকে।
বর্তমানে পুরোদমে ব্যস্ত আছেন পড়াশোনা নিয়ে। নবম শ্রেণীতে পড়ছেন। তবে কী আর অভিনয়ে ফিরবেন না দীঘি? দর্শকদের অনেকের মনেই এতদিন এমন প্রশ্ন ছিল।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া দীঘি বলেন, ‘মায়ের শেষ ইচ্ছে আমি ডাক্তার হব। সেই লক্ষ্য নিয়ে পড়াশোনা করে যাচ্ছি। প্রফেশন কোনটা হবে তা বলা মুশকিল। তবে আমি চেষ্টা করছি। সব কিছু জয় করতে। আর অভিনয়টা আমার রক্তে। এটাকেও ছাড়তে পারব না। তাই অভিনয়ও চালিয়ে যাব। তবে আপাতত শুধুই পড়াশোনা।’
২০১৯ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষার দেবেন দীঘি। পরীক্ষা দেয়ার পর চলচ্চিত্রে কাজ করার ইচ্ছে আছে দীঘির।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এসএসসি পরীক্ষার পর হয়তো ফিল্মে কাজ করতে পারি। তবে সেটা নির্ভর করতে সময়ের ওপর। কারণ এরপর এইচএসসি’র সময়টাও পড়াশোনার জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তাই সময় নষ্ট করতে চাই না।’
উল্লেখ্য, পাঁচ থেকে ছয় বছর বয়সের মধ্যে ৩৬টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন দীঘি। অধিকাংশ ছবিই ব্যবসা সফল। এর মধ্যে ৩৪টি ছবি মুক্তি পেয়েছে।
২০০৬ সালে ‘কাবুলিওয়ালা’, ২০১০-এ ‘চাচ্চু আমার চাচ্চু’ এবং ২০১২ সালে ‘এক টাকার বউ’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পান দীঘি।