ডোমারে ড্রাগন ফল চাষে সাফল্যের মুখ দেখছে বাহে কৃষি ফার্ম ।
https://www.obolokon24.com/2017/07/dragon.html
আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার, (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
ডোমার(নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডোমারে ড্রাগন ফল চাষ করে সাফল্যের মূখ দেখছে বাহে কৃষি ফার্ম। ফলে ভেজষ ঔষধি গুণ থাকায় এর চাহিদা বেড়েই চলছে। এলাকার অনেক বেকার যুবক এই ফলের বাগান করতে আগ্রহী হচ্ছে বলে জানাগেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের বসুনিয়া হাট এলাকার তিন যুবক রিয়াছদ করিম,লিটন ও ইসমাইল হোসেন মিলে গড়ে তোলে বাহে কৃষি ফার্ম । এই ফার্মের অন্যতম বৈশিষ্ট্য কোন রাসায়নিক ব্যবহার না করেই শুধু মাত্র জৈব সার ব্যবহার করে দামী ঔষধি গুণ সম্পন্ন গাছ দেশীয় বাজারে সহজ লভ্য করা। এরই ধারাবাহিকতায় তারা পরীক্ষামূলক ড্রাগন ফলের পাশাপাশি মালটা(বারি-১),ট্যাঙ্কফল,কাজি পেয়ারা ও ক্যান্সার প্রতিরোধক ক্যারোসল গাছেরও চাষ শুরু করেছে। এবিষয়ে কথা হয় ফার্মের মালিক পক্ষের এক জন ইসমাইল হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, ড্রাগন একটি ঔষধিগুণ সম্পন্ন ফল, এর বৈজ্ঞানিক নাম পিতায়া।আমাদের এই এলাকার মাটি ও আবহাওয়া এই ফল চাষের জন্য উপযোগী। সুস্বাদু এই ফলে ডায়াবেটিকস, উচ্চ রক্তচাপ, আমাশয় ও কোষ্টকাঠিন্যের মতো রোগ নিরাময় করা সম্ভব। আমাদের বাগানে মোট ১হাজার ড্রাগন ফলের গাছ আছে। প্রতিটি গাছে দুই আড়াই মাস অন্তর প্রায় ১৫/২০টি করে ফল ধরছে। এ সংখ্যা আরো বাড়ছে। তিনি আরো জানান,এই ফলের চাহিদাও ব্যাপক। ঢাকা,রাজশাহী,সিলেট,রংপুর,ঠাকুরগাঁও,পঞ্চগড় থেকে লোক এসে আগাম টাকা দিয়ে যায়। ফল পাকলে তাদের চাহিদা অনুযায়ী সেগুলো সরবরাহ করা হয়। এতে প্রত্যক্ষ ও পরক্ষভাবে অনেক বেকার লোকের কর্মসংস্থানও হচ্ছে। এলাকার বেকার যুবক মোবারক আলী জানান,আগে ড্রাগন ফল সম্পর্কে আমার আগে কোন ধারনা ছিলনা। বাহে কৃষি ফার্ম এখানে এই ফলের চাষ শুরু করার পর এই ফল সম্পর্কে জানতে পারলাম।বাজারে এর চাহিদা থাকায় আমিও এই ফল চাষে আগ্রহী।এখান থেকে চারা সংগ্রহের চেষ্টা করছি। আগামীতে ২ বিঘা জমিতে এই ফল চাষের পরিকল্পনা আমার আছে। এই ফল চাষ বৃদ্ধি করা গেলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানী সম্ভব বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক মহল জানিয়েছে।