দিন দিন বাড়ছে ভেজাল খাদ্যদ্রব্যের ব্যবসা
https://www.obolokon24.com/2017/07/domar_14.html
এ আই পলাশ. চিলাহাটি (নীলফামারী) প্রতিনিধি ঃ
খাদ্য দ্রব্য সহ প্রতিটি জিনিসেই ভেজাল ভরে গেছে। জেলার ডোমার উপজেলা সহ প্রতিটি উপজেলা শহর এবং ছোট বড় হাট বাজারগুলোতে। ভেজালকারীদের খপ্পরে পড়ছে জেলার ডোমার উপজেলা সহ প্রতিটি উপজেলা মানুষ না জেনে বুঝে এই ভেজাল খেয়ে পরে বাঁধছে শরীরে নানা রকম মরন ব্যধি। মানুষের শরীরে মাঝে দেখা দিচ্ছে নতুন নতুন নাম জানা অজানা রোগ ব্যধির। জীবন যায় এমন খাটুনি করে উপার্জিত অর্থের বেশী ভাগই যাচ্ছে ডাক্তারের কাছে। এতে করে বোঝা যায় মানুষের জীবন হুমকীর সম্মুখীন। শহর হাট বাজার সহ প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলেও চলছে এই ভেজালের দৌরাত্ব। জানা যায়, প্রত্যেক খাদ্য দ্রব্য, ফলমুল, ঔষধ পত্র সহ যাবতীয় জিনিস পত্রে ভেজাল দেয়া হচ্ছে। মানুষ আর পারছে না স্বাভাবিক খাদ্য খেতে। অপরিপক্ক ফলমূলকে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে পাকানো হচ্ছে। এমনকি ফলমুল বাদেও সবজি, মাছকে ফর্মালিন দিয়ে সতেজ রাখা হচ্ছে। এসব খাদ্য খেয়ে মানুষের বিভিন্ন নাম জানা অজানা মরণ ব্যাধীর সৃষ্ঠি হচ্ছে। ব্যাবসায়ীদের ভাষা মাছ হোক বা শবজি হোক সতেজ রাখতে পারলে ক্রেতারা আকৃষ্ট হয় সাথে ভালো দামে বিক্রয় হয়। হোটেল, বেকারীগুলোতে ব্যবহার হচ্ছে মরন ব্যধি সৃষ্ঠির কৃত্রিম রং। জানা যায় এসব রং ব্যবহারের কোন রকম অনুমতি সরকারের নেই। শহরের মানুষ একটু সচেতন হলেও গ্রামাঞ্চলের মানুষ এসম্পর্কে একেবারেই অজ্ঞ। এসব ভেজাল খাবার খেলে মানুষের শরীরে নানাবিধ রোগ হবে বলে বিজ্ঞ ডাক্তাদেরও মতামত পাওয়া যায়।
অপর দিকে পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই গরু ছাগল জবাই করা হচ্ছে। জেলার ডোমার উপজেলা সহ প্রতিটি উপজেলা শহর এবং ছোট বড় হাট বাজার গুলোতে পরীক্ষা নিরীক্ষা এমনকি মৌলভী ছাড়াই কাকডাকা ভোরে জবাই করা হচ্ছে গরু ছাগলগুলো। ক্রেতারা কোন ভাবেই জানতে পারছে না কোনটি আসল-নকল, কোনটি হালাল হারাম। ভেজালকারীরা বছরে এক দুই বার ধরাও পরে কিন্তু জরিমানা হয় না। তাই চলছে ভেজালের দৌরাত্ব, প্রশাসনও অসচেতন তাই বন্ধ হচ্ছে না এসব কিছুই। কেন বন্ধ হচ্ছে না ভেজাকারীর দৌরাত্ব। তাই দৈনন্দিন ভেজাল বিরোধী কার্যক্রম চালু করা প্রয়োজন বলে জেলার ডোমার উপজেলা সহ প্রতিটি উপজেলার গন্যমান্য, সচেতন ও সাধারণ জনগনের মন্তব্য।