দিনাজপুর জিয়া হার্ট ফাউন্ডেশন রক্ষায় মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রী বরাবরে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারক প্রদান

আব্দুস সাত্তার, দিনাজপুর প্রতিনিধি ॥
দিনাজপুর জিয়া হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল এন্ড রিসার্চ ইনষ্টিটিউট’র দায়িত্ব অবহেলাকারী স্টাফদের অশুভ চক্রান্ত্র থেকে প্রতিষ্ঠানটিকে রক্ষার জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম’র নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
৪ জুলাই মঙ্গলবার দিনাজপুর জিয়া হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল এন্ড রিসার্চ ইনষ্টিটিউটকে রক্ষার দাবীতে ১৩৩ জন স্বাক্ষরিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রী বরাবরে জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম’র মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করেছে। স্মারকলিপিতে তারা বলেন, দিনাজপুর জিয়া হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল এন্ড রিসার্চ ইনষ্টিটিউট “জিয়া হার্ট ফাউন্ডেশন” এর একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। দক্ষ প্রশাসন ব্যবস্থা দ্বারা ফাউন্ডেশনের একটি স্বেচ্ছাসেবী নির্বাহী কমিটি এই হাসপাতালটি শুধুমাত্র নিজস্ব অত্যন্ত দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে পরিচালনা করে আসছে। দীর্ঘ ধারাবাহিকতায় সরকারী-বেসরকারী সহযোগিতা বঞ্চিত, প্রতিষ্ঠানটির যন্ত্রপাতি অতি পুরাতন হওয়া, সরকারী উদ্যোগে চিকিৎসা সেবা পরিধির ব্যপ্তি বৃদ্ধি হওয়া, জাতীয় পর্যায়ের ডায়াগনষ্টিক সেন্টার সমূহের দিনাজপুরে কার্যক্রম শুরু হওয়াসহ বিভিন্ন কারনে প্রতিষ্ঠানটির আয় কমে যাওয়ায় ব্যয় সংকোচনের জন্য নির্বাহী কমিটি বিভিন্ন সময়ে যৌক্তিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটির আয়ের সিংহ ভাগই স্টাফ বেতন বাবদ খরচ হয়। ব্যয় সংকোচনের ক্ষেত্রে স্টাফ কমানোটাই মুখ্য বিবেচনা হয়ে দাড়ায়। এরই ধারাবাহিকতায় নির্বাহী কমিটি বিগত দুটি সভায় জনবল খাতে ব্যয় কমানোর জন্য কনসালটেন্ট, খন্ডকালীন মেডিকেল অফিসার, স্টাফ নার্সসহ অন্যান্য বিভাগের স্টাফ কমানোর একটি রূপরেখা প্রস্তুত করে। দায়িত্ব অবহেলাকারী, অনুমোদিতভাবে কর্তব্যে অনুপস্থিতিসহ চাকুরী বিধি লংঘনকারী স্টাফদের অগ্রাধিকার তালিকায় বিবেচনায় নিয়ে অব্যাহতি দেওয়ার প্রক্রিয়ায় এ পর্যন্ত ৩২ জন স্টাফকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এরূপ একটি নাজুক পরিস্থিতিতে সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডাঃ মুক্তা লিলিয়ান গমেজের নেতৃত্বে কয়েকজন মেডিকেল অফিসার গত ২৫ জুন থেকে সম্পূর্ণ শৃংখলা বহির্ভুতভাবে একটি জরুরী হাসপাতাল কর্মবিরতিতে চলে যায়। ফলে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনায় ধ্বংসের অপতৎপরতা চলছে। প্রতিষ্ঠানটি রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা পাওয়ার আশায় জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম’র মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপি প্রদান করেন- হাসপাতাল ম্যানেজার (প্রশাসন) মিজান উল-আলম, হাসপাতাল সুপার ডাঃ সুধা রঞ্জন রায়, স্টোর কিপার আতাউর রহমান, এ্যাসিসটেন্ট একাউন্ট অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলাম, সার্ভিস ম্যানেজার নুরে আলম সিদ্দিক, হিসাব রক্ষক নুরুজ্জামান ও সুভাষ রঞ্জন পাল, পাবলিক রিলেশন কো-অর্ডিনেটর শফিকুর রহমান পিন্টু ও ক্যাশ কালেক্টর শিউলী বেগমসহ ১৩৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে, গত ৩ জুলাই সোমবার প্রতিষ্ঠানের বহিষ্কৃত কিছু কর্মচারী প্রতিষ্ঠানটিকে বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে বর্তমান কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নাম ভাঙ্গিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করে। উক্ত স্মারকলিপিতে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন উদ্দেশ্য প্রণোদিত বক্তব্য প্রদান করা হয়। যাতে প্রতিষ্ঠানটির ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয়। এরই প্রেক্ষিতে ৪ জুলাই মঙ্গলবার বর্তমান কর্মরত কর্মচারীরা মানববন্ধন শেষে স্মারকলিপি প্রদান করে।

পুরোনো সংবাদ

স্বাস্থ্য-চিকিৎসা 2780167961496033651

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item