১০টি লক্ষণ দেখে বুঝে নিন আপনি ডিপ্রেশনে ভুগছেন
https://www.obolokon24.com/2017/07/depression.html
লাইফস্টাইল-
মাঝেমধ্যে মন খারাপ থাকা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। বা কাছের কারো মৃত্যুতে দুঃখ পাওয়া বা অফিসের কোনো কাজ নিয়ে চিন্তিত থাকাও খুবই সাধারণ ঘটনা। যখন স্ট্রেসের ফলে আপনি দুঃখিত বা চিন্তিত থাকেন তাকে বলা নয় ‘
Situational Depression’। এটা কিন্তু কদিনের মধ্যে বা কিছু ক্ষেত্রে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ঠিক হয়ে যায়।
কিন্তু যখন ডিপ্রেশনের লক্ষণ কিছুতেই যেতে চায় না এবং আপনার প্রাত্যহিক জীবনে তার প্রভাব পড়ে তখন সেই পরিস্থিতি কে বলা হয় ‘ঈষরহরপধষ উবঢ়ৎবংংরড়হ’ বা ‘ গধলড়ৎ উবঢ়ৎবংংরড়হ’। ক্লিনিকাল ডিপ্রেশন কিন্তু সিরিয়াস অসুখ যা ঠিক হতে কয়েক মাস বা বছরও লাগতে পারে। তাই ডিপ্রেশনের লক্ষণ জেনে রাখা ভালো।
ডিপ্রেশনের লক্ষণ কিন্তু বেশ অপ্রতিরোধ্য। অনেকেই এই পরিস্থিতিকে ‘ব্ল্যাক হোল’ হিসেবে চিহ্নিত করেন যার থেকে তারা কিছুতেই বেরোতে পারেন না। এই সময় কিছুই ভালো লাগে না। নিষ্প্রাণ লাগেূ কোনো কাজ করতে ইচ্ছা করে না এবং খিদেও থাকে না।
ডিপ্রেশনের প্রধান ১০টি লক্ষণ-
যাদের ডিপ্রেশন হয় তাদের মধ্যে যে এই দশটা লক্ষণই দেখা যাবে তা কিন্তু নাও হতে পারে। কিন্তু এই ১০টা লক্ষণের মধ্যে যদি দেখেন আপনার নিজের বা ঘনিষ্ঠ কারো সঙ্গে একটা লক্ষণও মিলে যাচ্ছে তাহলে চিকিৎসকের সাহায্য নিন।
বিষণ্ণতা: বিষণ্ণ থাকা মানেই কিন্তু ডিপ্রেশন নয়। কিন্তু যখন এটা ডিপ্রেশনের লক্ষণ হিসেবে ধরা হয় তখন সব কিছুতেই নিরাশ লাগবে বা মনে হবে আপনার জীবন ব্যর্থ। যতই চেষ্টা করুন না কেন কিছুতেই নেগেটিভ চিন্তা মাথা থেকে বের করতে পারবেন না। এমনকি কোন কারণ ছাড়াই কান্নাও পাবে। সব সময় অখুশি থাকাও কিন্তু ডিপ্রেশনের একটা লক্ষণ।
অপরাধবোধ : যাদের সিভিয়ার ডিপ্রেশন হয় তারা কোনো কারণ ছাড়াই অপরাধবোধে ভোগেন। সব কিছুতেই নিজেকে দোষী মনে হবে। এছাড়াও সব সময় মনে হবে জীবনে আপনি কিছু করতে পারলেন না।
সব ব্যাপারে খিটখিট করা : আপনার অকারণে রাগ হবেূ ভীষণ অস্থির লাগবে এবং সব সময়ই উদ্বিগ্ন থাকবেন। যাদের ডিপ্রেশন হয় তারা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রাগ দেখিয়েূ বা অস্থির ব্যবহারের দ্বারা ডিপ্রেশন প্রকাশ করে থাকেন।
মানসিক লক্ষণ : কোনো সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধা হলে বা মনঃসংযোগ করতে না পারলে বা জিনিস মনে রাখতে না পারলে এইগুলো ডিপ্রেশনের লক্ষণ হতে পারে।
শারীরিক লক্ষণ : যাদের ডিপ্রেশন হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা বেদনা হয়ূ মাথায় ব্যথা হয় বা হজমের গণ্ডগোল হয় । আমাদের শরীরে ব্যথা বেদনা বা মাথা ব্যাথা বা হজমের গণ্ডগোল অন্য কারণের জন্যও হতে পারে । কিন্তু শরীর সম্পূর্ণ ঠিক থাকলেও যখন এমনটা হয় তখন কিন্তু তাকে ডিপ্রেশনের লক্ষণ হিসেবেই ধরা হয় ।
কোনো কিছুতেই আগ্রহ না দেখানো : এটা ডিপ্রেশনের কিন্তু খুবই সাধারণ লক্ষণ। এই ক্ষেত্রে আপনার কিছুই করতে ইচ্ছা করবে না। কারো সঙ্গে কথা বলতে ভালো লাগবে না। একই সঙ্গে পারিবারিক লাইফেও আসবে অনীহা। সব সময় একা থাকতে ইচ্ছা করবে। একই সঙ্গে অন্ধকার ঘরে সারাক্ষণ বসে থাকতে ভালো লাগবে।
ঘুমের পরিবর্তন : খুব সকালে ঘুম ভেঙে যাওয়া বা রাতে সহজে ঘুম না আসা বা অতিরিক্ত ঘুমোনো এইগুলো সবই কিন্তু ডিপ্রেশনের লক্ষণ হতে পারে।
অ্যাপেটাইট চেঞ্জেস : ডিপ্রেশনের ফলে অনেকেই খুব কম খায় আবার অনেকেই আছেন যারা এই সময় অতিরিক্ত খাবার খায়। এক মাসের মধ্যে শরীরের ওজনের ৫% যদি ওজন বৃদ্ধি হয় বা কমে যায় তাহলে কিন্তু সেটা সিভিয়ার ডিপ্রেশনের লক্ষণ।
লস অব এনার্জি : আপনার যদি ডিপ্রেশন হয় তাহলে সব সময় ক্লান্ত লাগবে। যাদের ডিপ্রেশন আছে তাদের মনে হতে পারে তাদের শারীরিক ক্ষমতা কমে গেছে।
আত্মঘাতী প্রবণতা: নিজের শরীরে আঘাত করা বা নিজের জীবন শেষ করে দেওয়ার কথা চিন্তা করা সবই কিন্তু ডিপ্রেশনের লক্ষণ। এই অবস্থায় কিন্তু আপনার তখনি সাহায্য দরকার।
ডিপ্রেশনের লক্ষণ ধরা পড়লে লজ্জিত হবেন না বা নিজেকে ছোট করে দেখবেন না। অনেকেই সাহায্য নিতে কুন্ঠাবোধ করেন। কিন্তু দেখা গেছে সঠিক সময় চিকিৎসা আরম্ভ হলে খুব তাড়াতাড়ি আপনি আরোগ্য লাভ করছেন। অনেক সময় ডিপ্রেশনের কথা আমরা লুকিয়ে রাখি ফলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে যায়।
পরিবারের কারো ডিপ্রেশন হলে তাই নিয়ে তাকে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করবেন না। এর বদলে তার পাশে দাঁড়ান।
কিন্তু যখন ডিপ্রেশনের লক্ষণ কিছুতেই যেতে চায় না এবং আপনার প্রাত্যহিক জীবনে তার প্রভাব পড়ে তখন সেই পরিস্থিতি কে বলা হয় ‘ঈষরহরপধষ উবঢ়ৎবংংরড়হ’ বা ‘ গধলড়ৎ উবঢ়ৎবংংরড়হ’। ক্লিনিকাল ডিপ্রেশন কিন্তু সিরিয়াস অসুখ যা ঠিক হতে কয়েক মাস বা বছরও লাগতে পারে। তাই ডিপ্রেশনের লক্ষণ জেনে রাখা ভালো।
ডিপ্রেশনের লক্ষণ কিন্তু বেশ অপ্রতিরোধ্য। অনেকেই এই পরিস্থিতিকে ‘ব্ল্যাক হোল’ হিসেবে চিহ্নিত করেন যার থেকে তারা কিছুতেই বেরোতে পারেন না। এই সময় কিছুই ভালো লাগে না। নিষ্প্রাণ লাগেূ কোনো কাজ করতে ইচ্ছা করে না এবং খিদেও থাকে না।
ডিপ্রেশনের প্রধান ১০টি লক্ষণ-
যাদের ডিপ্রেশন হয় তাদের মধ্যে যে এই দশটা লক্ষণই দেখা যাবে তা কিন্তু নাও হতে পারে। কিন্তু এই ১০টা লক্ষণের মধ্যে যদি দেখেন আপনার নিজের বা ঘনিষ্ঠ কারো সঙ্গে একটা লক্ষণও মিলে যাচ্ছে তাহলে চিকিৎসকের সাহায্য নিন।
বিষণ্ণতা: বিষণ্ণ থাকা মানেই কিন্তু ডিপ্রেশন নয়। কিন্তু যখন এটা ডিপ্রেশনের লক্ষণ হিসেবে ধরা হয় তখন সব কিছুতেই নিরাশ লাগবে বা মনে হবে আপনার জীবন ব্যর্থ। যতই চেষ্টা করুন না কেন কিছুতেই নেগেটিভ চিন্তা মাথা থেকে বের করতে পারবেন না। এমনকি কোন কারণ ছাড়াই কান্নাও পাবে। সব সময় অখুশি থাকাও কিন্তু ডিপ্রেশনের একটা লক্ষণ।
অপরাধবোধ : যাদের সিভিয়ার ডিপ্রেশন হয় তারা কোনো কারণ ছাড়াই অপরাধবোধে ভোগেন। সব কিছুতেই নিজেকে দোষী মনে হবে। এছাড়াও সব সময় মনে হবে জীবনে আপনি কিছু করতে পারলেন না।
সব ব্যাপারে খিটখিট করা : আপনার অকারণে রাগ হবেূ ভীষণ অস্থির লাগবে এবং সব সময়ই উদ্বিগ্ন থাকবেন। যাদের ডিপ্রেশন হয় তারা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রাগ দেখিয়েূ বা অস্থির ব্যবহারের দ্বারা ডিপ্রেশন প্রকাশ করে থাকেন।
মানসিক লক্ষণ : কোনো সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধা হলে বা মনঃসংযোগ করতে না পারলে বা জিনিস মনে রাখতে না পারলে এইগুলো ডিপ্রেশনের লক্ষণ হতে পারে।
শারীরিক লক্ষণ : যাদের ডিপ্রেশন হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা বেদনা হয়ূ মাথায় ব্যথা হয় বা হজমের গণ্ডগোল হয় । আমাদের শরীরে ব্যথা বেদনা বা মাথা ব্যাথা বা হজমের গণ্ডগোল অন্য কারণের জন্যও হতে পারে । কিন্তু শরীর সম্পূর্ণ ঠিক থাকলেও যখন এমনটা হয় তখন কিন্তু তাকে ডিপ্রেশনের লক্ষণ হিসেবেই ধরা হয় ।
কোনো কিছুতেই আগ্রহ না দেখানো : এটা ডিপ্রেশনের কিন্তু খুবই সাধারণ লক্ষণ। এই ক্ষেত্রে আপনার কিছুই করতে ইচ্ছা করবে না। কারো সঙ্গে কথা বলতে ভালো লাগবে না। একই সঙ্গে পারিবারিক লাইফেও আসবে অনীহা। সব সময় একা থাকতে ইচ্ছা করবে। একই সঙ্গে অন্ধকার ঘরে সারাক্ষণ বসে থাকতে ভালো লাগবে।
ঘুমের পরিবর্তন : খুব সকালে ঘুম ভেঙে যাওয়া বা রাতে সহজে ঘুম না আসা বা অতিরিক্ত ঘুমোনো এইগুলো সবই কিন্তু ডিপ্রেশনের লক্ষণ হতে পারে।
অ্যাপেটাইট চেঞ্জেস : ডিপ্রেশনের ফলে অনেকেই খুব কম খায় আবার অনেকেই আছেন যারা এই সময় অতিরিক্ত খাবার খায়। এক মাসের মধ্যে শরীরের ওজনের ৫% যদি ওজন বৃদ্ধি হয় বা কমে যায় তাহলে কিন্তু সেটা সিভিয়ার ডিপ্রেশনের লক্ষণ।
লস অব এনার্জি : আপনার যদি ডিপ্রেশন হয় তাহলে সব সময় ক্লান্ত লাগবে। যাদের ডিপ্রেশন আছে তাদের মনে হতে পারে তাদের শারীরিক ক্ষমতা কমে গেছে।
আত্মঘাতী প্রবণতা: নিজের শরীরে আঘাত করা বা নিজের জীবন শেষ করে দেওয়ার কথা চিন্তা করা সবই কিন্তু ডিপ্রেশনের লক্ষণ। এই অবস্থায় কিন্তু আপনার তখনি সাহায্য দরকার।
ডিপ্রেশনের লক্ষণ ধরা পড়লে লজ্জিত হবেন না বা নিজেকে ছোট করে দেখবেন না। অনেকেই সাহায্য নিতে কুন্ঠাবোধ করেন। কিন্তু দেখা গেছে সঠিক সময় চিকিৎসা আরম্ভ হলে খুব তাড়াতাড়ি আপনি আরোগ্য লাভ করছেন। অনেক সময় ডিপ্রেশনের কথা আমরা লুকিয়ে রাখি ফলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে যায়।
পরিবারের কারো ডিপ্রেশন হলে তাই নিয়ে তাকে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করবেন না। এর বদলে তার পাশে দাঁড়ান।