কিশোরগঞ্জে বানিজ্যিকভাবে কলা চাষ করে শতাধিক কৃষকের ভাগ্যের পরিবর্তন

মোঃ শামীম হোসেন বাবু.কিশোরগঞ্জ,নীলফামারীঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় অনুর্বর বালু জমিতে গতানুগতিক কৃষিকাজের পরিবর্তে বানিজ্যিকভাবে  কলা চাষ করছেন কৃষকেরা। আর এ কলা চাষ করে অনেক কৃষক তাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে ফেলেছেন। এ বছর কলা চাষ করে কোটি টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকেরা। তবে কৃষি অফিস বলছে বাড়ির আশেপাশে নদীর পাড়ে পরিত্যাক্ত জমিতে কৃষকরা কলা চাষ করে তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, গত বছর এ উপজেলায় প্রায় তিন  শতাধিক কৃষক  ১৫ হেক্টর জমিতে কলা চাষ করেছিল । দাম ও ফলন ভাল হওয়ায় এবং লাভ বেশি হওয়ায় এ বছর ৫ শতাধিক কৃষক  প্রায় ২৫ হেক্টর জমিতে কলা চাষ করেছে । আর এবারে কলার দাম ও ফলন ভাল হওয়ায় কৃষকেরা কলা বিক্রি করে কোটি টাকা আয় করবেন ।
 বড়ভিটা ইউনিয়নের দক্ষিন বড়ভিটা গ্রামের চাষী জোগেস চন্দ্র (৪৫) তিনি র্দীঘদিন থেকে কৃষি কাজ করে সংসার চালান। আলু চাষ করে গত কয়েক বছর তিনি লোকসান গুনতে গুনতে জমি বন্ধন রেখে ধার দেনা পরিশোধ করে চিন্তিত হয়ে পড়েন। পরে  একজনের পরামর্শে  প্রথমে এক বিঘা জমিতে শ খানেক  স্থানীয় জাতের সবরি কলার চারা সংগ্রহ করে রোপন করেন। এক বিঘা জমিতে খরচ বাদ দিয়ে তিনি ৫০ হাজার টাকা লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি উৎসাহিত হয়ে  তিন বিঘা জমিতে কলা চাষ করেন। সেবারো তিনি সফল। আর এ কলা চাষ করে তিনি তার ভাগ্যের চাকা ঘুড়িয়ে দিয়েছেন।
বাহাগিলি ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি গ্রামের কৃষক আজহারুল ইসলাম বলেন, ১০০ কলা গাছ চাষ করতে বিক্রি পর্যন্ত খরচ হয় ১৫ হাজার টাকার মতো। কলা বিক্রি করে আয় হয় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। তাই আমি এবারে দুই  বিঘা জমিতে কলা চাষ করেছি। আশা করছি খরচ বাদ দিয়ে এবারে আমি প্রায় ২ লাখ টাকার কলা বিক্রি করতে পারব।
এরই মধ্যে উত্তর দুরাকুটি গ্রামের কৃষক আব্দুল জব্বার, পশ্চিমপাড়া গ্রামের কৃষক ময়নাল হোসেন ,নিতাই ইউনিয়নের একরামুল হক, সহ প্রায় ৫ শতাধিক  কৃষক করা চাষ করেছেন। চাষিরা কলার চারা বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করছেন। চাষিরা জানিয়েছে কলার চারা ক্রয় থেকে শুরু করে পরিবহন খরচসহ চারাপ্রতি মুল্য পড়ে ১৫ থেকে ২০ টাকা।
কলা চাষ সম্পর্কে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ ও কারিগরি শিক্ষা দেওয়ার জন্য স্থানীয় কৃষি অফিস বিভিন্নভাবে কৃষকদের সহযোগিতা করছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, কৃষকেরা কলা বাগানের সাথে সাথি ফসল হিসাবে করলা, ঝিংগা, শশা , মিষ্টি কুমড়া সহ কলা বাগানে পেঁেপর বাগানও করতে পারে এ বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এতে করে কৃষকরা দুইভাবে লাভবান হবে। এছাড়াও অন্যান্য ফসলের মত কলাচাষে নানান রোগ দেখা দেয়। এসব রোগ নিরাময়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ সহ সহযোগিতা প্রদান করছেন।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 815651683713451090

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item