ঠাকুরগাঁওয়ে পাঠাগারের নামে বরাদ্দকৃত চাল তোলার চেষ্টা চেয়ারম্যানের
https://www.obolokon24.com/2017/06/thakurgaon_30.html
আব্দুল আউয়াল,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : দিনমজুরকে সভাপতি ও ভ্যানচালককে
সাধারণ সম্পাদক বানিয়ে একটি পাঠাগারের নামে বরাদ্দকৃত চাল
উত্তোলনের চেষ্টা করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের বড়গাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান
প্রভাত কুমার।
এ নিয়ে ওই এলাকায় পাঠাগারের সদস্য ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোপের সৃষ্টি হয়েছে।
ইউপি
চেয়ারম্যান প্রভাত কুমার সিং দাবি করে বলেন, তার স্বাক্ষর জাল করে কেউ
এটা করার চেষ্টা করেছেন। এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না।
তিনি আরো বলেন, কাগজটি দেখলে বুঝতে পারবো স্বাক্ষর করেছি কি না।
একই কাগজে স্থানীয় সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার স্বাক্ষর রয়েছে।
অালোর
দিশা নামে পাঠাগারটির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক লিটন
অাহম্মেদ জানান, ২০১৫ সাল থেকে সংগঠনটির দায়িত্বে রয়েছি অামরা।
কাগজে যাদের নাম রয়েছে তারা কেউই অামাদের সংগঠনের সঙ্গে জড়িত নয়।
তারা বলেছে, যাদেরকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বানানো হয়েছে তারা এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না।
স্থানীয়
এলাকাবাসী জানান, বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত একজন
চেয়ারম্যান যদি একটি পাঠাগারের উন্নয়নের অর্থ লোপাট করতে চায় তাহলে
সাধারণ মানুষের এখনও অনেক কিছু ভাবার রয়েছে।
প্রসঙ্গত,
অালোর দিশা পাবলিক পাঠাগার নামে এই সংগঠনটি এলাকার গরিব শিশুদের
বিনামূল্যে টিউশনি, অসহায় মানুষের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, মিলাদ
মাহফিল ও কুলখানিতে গিয়ে কুরঅান তেলাওয়াত করা, এলাকার কারও মৃত্যু
হলে ওই বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে সহযোগিতা করা, এলাকার কাঁচা
রাস্তাগুলো ভেঙে গেলে সেগুলো মেরামত করাসহ অারও অনেক কাজ করে।
এখানকার সদস্যরা নিজেরা পড়ালেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের কাজ করে যে অর্থ পায় তা দিয়েই চলে সংগঠনটি।
ঠাকুরগাঁও
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন জানান, পাঠগারের তালিকা অনুযায়ী
বরাদ্দকৃত তালিকায় সাক্ষর করা হয়েছে। যদি কেউ ভূয়া তালিকা দিয়ে বরাদ্দ
উত্তোলন করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা
প্রকল্প কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, স্থানীয় এমপি ও ইউপি চেয়ারম্যান
যেভাবে তালিকা দেয় সে অনুয়ায়ী বরাদ্দকৃত চাল বা গম উক্ত সংগঠনকে দেওয়া হয়ে
থাকে।
এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও-১ আসনের এমপি রমেশ চন্দ্র সেনের কাছে জানতে চাইলে তাকে পাওয়া যায়নি।