ডোমারে টিসিবির ভোগ্যপণ্য কালোবাজারে বিক্রি

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ৯ জুন॥
পবিত্র মাহে রমজানের বরাদ্দের নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চারজন ডিলারের মধ্যে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)'র ভোগ্য পণ্য তুলে তিনজন ডিলার তা কালোবাজারে বিক্রি করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অপর দিকে একজন ডিলার ডোমারে টিসিবির ভোগ্য পণ্য বিক্রি করলেও তা চাহিদার তুলনায় কম বলে ক্রেতারা জানিয়েছে।
এ কারণেই ডোমারে টিসিবি থেকে কোন সুফল পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। এ সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছেন।
অভিযোগ মতে চারজন ডিলারের মধ্যে তিনজন ডিলার টিসিবির ভোগ্যপন্য উত্তোলন করে রংপুরেই কালো বাজারে বিক্রি করে দিয়েছে। সরকারীভাবে তদারকি না থাকায় ডিলাররা টিসিবির পন্য রংপুরেই বিক্রি করে দিচ্ছে। ফলে সরকারের উন্নয়ন সাফল্য মুখথুবরে পড়ার উপক্রম হয়েছে।
টিসিরি ভোগ্যপণ্যের নির্ধারিত মুল্য হলো সোয়াবিন ৫ লিটার ৮৫ টাকা করে ৪২৫টাকা, ছোলা ৭০ টাকা, মুসুল ডাল ৮০টাকা ও চিনি ৫৫ টাকা করে কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। খোলা বাজারে এসব ভোগ্যপণ্যের মূল্য অনেক বেশী হওয়ায় সাধারন জনগণ টিসিবির ভোগ্যপণ্য পেতে মরিয়া ছিল। কিন্তু ডোমারের টিসিবির চার ডিলারের মধ্যে তিনজন ডিলারের কাছ থেকে রমজান মাসে সাধারন জনগন স্বল্পমূল্যে এ সুবিধা পাচ্ছেনা। নিয়ম অনুযায়ী ডিলাররা টিসিবি এসব ভোগ্যপণ্য রংপুর অফিস হতে উত্তোলনের পর স্থানীয় প্রশাসনকে মজুদ দেখিয়ে ও জানিয়ে দৃশ্যমান নিদিষ্টস্থানে লাল কাপড়ে টিসিবির বরাদ্দকৃত পণ্যের মূল্য তালিকার ব্যানার টাঙ্গিয়ে পন্য বিক্রি করবেন। ডিলাররা এসব নিয়ম মেনে পন্য বিক্রি করছেন কিনা তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা প্রশাসন তদারকি করবেন।
কিন্ত খোজখবর নিয়ে জানাগেছে কোন কোন দোকানে টিসিবির পন্য বিক্রি হচ্ছে তা কেউ জানেন না। লাল কাপড়ে টিসিবির পন্যের মূল্য তালিকার ৬ বাই ৩ ফুট সাইজের ব্যানার কোথাও দেখা যায়নি। সঠিকভাবে টিসিবির পন্য বিক্রি হচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও দায়সারা ভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন। এদিকে ডোমার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ১লা জুন টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয়ের অফিস প্রধানকে জানিয়েছেন ডোমারে ৪ জন ডিলারের মধ্যে সাবেত ট্রেডার্স ,জয়া এন্টার প্রাইজ এবং মিথুন রায় মে মাসের টিসিবির পন্য রংপুর থেকে উত্তোলন করলেও এর মধ্যে জয়া এন্টার প্রাইজ উত্তোলন রিপোর্ট প্রদান করে। বাকী দুইজন পন্য উত্তোলন করলেও রংপুরে সেইসব পন্য কালোবাজারে বিক্রি করে দেয়। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সুরারিশ করা হয়।
এ ব্যাপারে ডোমার পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ময়নুউদ্দিন আহম্দে মিল্টন জানান, ডোমার বাজারে কোথায় টিসিবির পণ্য বিক্রি হচ্ছে আমার চোখে পড়েনি ।কিছু ডিলারের কারনে সরকারের জনকল্যানমুলক কর্মসুচি ভেস্তে যেতে বসেছে ।
মেসার্স মাহবুব রহমান চিকনমাটি ট্রেডার্সেও মালিক মাহবুব রহমান জানান,বাজারে টিসিবি পণ্যেও চাহিদা আছে ।কিন্তু বরাদ্ধ মাত্র প্রায় এক লক্ষ টাকার মাল ।এত কম বরাদ্ধ ,কিন্ত পরিবহন ,লেবার ব্যয় একই যাচ্ছে ।ফলে কোন লাভ হবে না ।উপরন্তু প্রশাসনিক ঝামেলা আছে ।বরাদ্ধ ৪/৫ লক্ষ হলে লাভ হত ।তিনিসহ অন্য ডিলাররা লাভ না হওয়ার কারন দেখিয়ে মাল তোলেননি বলে দাবী করেন ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবিহা সুলতানা উপজেলার চারজন ডিলারের মধ্যে দুইজন ডিলার পন্য উত্তোলন করে রংপুরেই তা বিক্রি করে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 2842903060958777101

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item