ভ্যাপসা গরমে ওষ্ঠাগত জনজীবন
https://www.obolokon24.com/2017/06/sunny.html
মেহেদী হাসান উজ্জ্বল, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
সূর্যের প্রচন্ড চোখ রাঙানি রোদ আর ভ্যাপসা গরমের কারণে ওষ্ঠাগত জনজবীন। কোথাও যেন স্বস্তি নেই রোদে বেরুলেই গরম বাতাসের হলকায় মুখমণ্ডল ঝলসে যাওয়ার উপক্রম। ঘামে শরীর ভিজে একাকার। সূর্য এতটাই তেতে উঠেছে যে, বাইরে বের হলেই মনে হচ্ছে অগ্নিকুণ্ড।
কিছুটা বাতাস থাকলেও যেন আগুনের ছোঁয়া লাগছে শরীরে। প্রচণ্ড গরমে মানুষের অবস্থা কাহিল। কখনো কখনো বৃষ্টি এলেও কমছে না গরমের প্রভাব। অধিক জনসংখ্যার চাপ, মাত্রাতিরিক্ত শিল্প ও আবাসিক ভবন, গাছপালা আর নদ-নদীর অভাব; এছাড়া, সূর্যের তাপের সাথে গরমের মাত্রা বাড়াচ্ছে গাড়ির ইঞ্জিন ও বিভিন্ন যন্ত্রের বিকিরণ, এমনটাই জানা যাচ্ছে বিভিন্ন সূত্রে।
এদিকে অধিক তাপমাত্রার কারণে অতিষ্ঠ হয়ে প্রয়োজন ছাড়া অনেকেই বেরুচ্ছে না ঘরের বাহিরে। এক্ষেত্রে শহরের লোক বৈদ্যুতিক ফ্যানে কিংবা এয়ার কন্ডিশনারের মধ্যে কিছুটা শতীল অনুভুতি পেলেও গ্রামের লোক পড়েছে বিপাকে। কারণ সব গ্রামে বিদ্যুত নেই এবং যেখানে রয়েছে সেখানে বিদ্যুত বিভ্রাট অসহনীয়। তাই তাদের অবস্থান গ্রামের প্রান্তরে বটবৃক্ষের নীচে বাশের তৈরী টং। আবার বচ্ছারা তাদের গরম নিবারণ করতে পুকুরে নামছে।
সন্দেহ নেই, যে কোনো দুর্যোগ-দুর্বিপাকে দরিদ্র মানুষই কষ্ট পায় বেশি। বলার অপেক্ষা রাখে না, এই গরমেও তাদের প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে। তবে শুধু দরিদ্র মানুষ নয়, তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রভাব সব শ্রেণী-পেশার মানুষের ওপরই কম-বেশি পড়ছে। আবহাওয়ার এ বিরূপ আচরণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বৃষ্টির প্রয়োজন। মাথার উপর সূর্য ্র কোনে যেন সব সময় তাপ দিয়ে যাচ্ছে।
প্রকৃতির এ বিরূপ আচরণে মানুষের সরাসরি কোনো হাত নেই এ কথাটি যেমন সত্য। তেমনি এটাও তো মিথ্যা নয় যে, প্রকৃতিকে তার স্বাভাবিক অবস্থায় না রাখায় সে বিরূপ আচরণ শুরু করেছে। সেই অর্থে এ পরিস্থিতির জন্য মানুষই দায়ী।