ভিজিএফ’র ১৪৭ বস্তা চাল জব্দ, মেয়র ও চেয়ারম্যানের বাঁধায় অভিযান পন্ড
https://www.obolokon24.com/2017/06/rangpur_58.html
মামুনুররশিদ মেরাজুল-
ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ভিজিএফ’র ১৪৭ বস্তা গম জব্দ করেছে। তবে পৌর মেয়র এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের বাধার মুখে আরেকটি গুদামে অভিযান চালাতে ব্যর্থ হন তারা। এসময় সাংবাদিকদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্যসহ দেখে নেয়ার হুমকি দেন মেয়র ও চেয়ারম্যান। বৃহস্পতিবার (২৯জুন) বদরগঞ্জে সরকারি খাদ্যগুদাম সংলগ্ন ব্যবসায়ী এসএ মতিনের মালিকানাধীন মিলচাতালের গুদামে অভিযান চালিয়ে ওই গম জব্দ করা হয়।
জব্দু করা গুদামের মূল মালিক এসএ মতিন হলেও নিখিল কুন্ডু ও মানিক রাহা নামে দু’ব্যবসায়ী ওই দু’গুদাম ভাড়া নিয়ে গম সংরক্ষণ করেছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই মিল-চাতালে অভিযান চালিয়ে ব্যবসায়ী নিখিল কুন্ডুর ভাড়াকৃত গুদাম থেকে ১৪৭বস্তা গম জব্দ করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া।
খবর পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র দ্রুত ঘটনাস্থলে যান এবং অভিযানে বাঁধা দেন। তাদের বাঁধার মুখে ভ্রাম্যমাণ আদালত বিপুল পরিমাণ গম থাকার পরও মানিক রাহার গুদামে অভিযান চালাতে পারেনি। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাথে সাংবাদিকদের দেখতে পেরে আপত্তিকর মন্তব্য করার পাশাপাশি হুমকি-ধামকি দেন পৌর মেয়র উত্তম কুমার সাহা ও উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বী সুইট।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ভূমি কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বাঁধা প্রাপ্তির কথা অস্বীকার করে বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের লিমিটেশন থাকায় অন্য গুদামে অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, তিন ঘন্টা অবস্থানের পরও মালিক না আসায় ১৪৭ বস্তা গম জব্দ করা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অপর গুদামটি তালাবদ্ধ থাকায় সেখানে অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি। তবে এ বিষয়ে কেউ উদ্বুদ্ধ হয়ে মামলা করতে চাইলে তাকে সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তিনি ।
এবিষয়ে ব্যবসায়ী নিখিল কুন্ডু বলেন, ওই গম ভিজিএফ কার্ডধারীদের কাছ থেকে কেনা হয়েছে। কয়েকজন ভিজিএফ কার্ডধারী মিলে এক বস্তা (৫০কেজি) গম পেয়েছেন। একারণে বস্তাসহ তাদের গম কেনা হয়েছে- যাতে খাদ্য অধিদপ্তরের সিল রয়েছে।
এদিকে পৌর মেয়র উত্তম কুমার সাহা ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে সাংবাদিকদের বলেন, একজন ব্যবসায়ী তো আর চুরি করে গম আনেননি। কেউ না কেউ তার কাছে বিক্রি করেছেন। এনিয়ে বাড়াবাড়ি করার কি আছে। তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকদের কারণে এমনিতেই একজন ব্যবসায়ী আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হল। আমি বাঁধা না দিলে আরো এক ব্যবসায়ী আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ত।
উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বী সুইট বলেন, একজন ব্যবসায়ী ভিজিএফ’র গম কিনতেই পারেন। এসময় স্থানীয় এক সাংবাদিককে প্রকাশ্য হুমকি দেন।