কে এই শাহআলম? শিবির নেতা থেকে প্রতারক চক্রের মূল হোতা

ফজলুর রহমান,পীরগাছা(রংপুর)ঃ

নাম তার শাহ আলম প্রতারনা করাই যার একমাত্র পেশা। প্রতারনার করে ভিন্ন ভিন্ন নামে এনজিও অফিস খুলে নিজস্ব চক্রের মাধ্যমে গ্রামের সহজ সরল নারী ও পুরুষদের চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়া তার একমাত্র পেশা।
সরেজমিনে শাহ আলম সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের দাদন দোলাপাড়া গ্রামের আবুল কাশেম এর বড় ছেলে শাহ আলম। শাহ আলম কান্দি আর আই সিনিয়র মাদ্রাসা থেকে ১৯৯৭ সালে দাখিল পাশ করেন। পরে সে ওই মাদ্রাসা থেকে আলিম ও ফাজিল পাশ করেন। মাদ্রাসার ছাত্র অবস্থায় ছাত্র শিবির এর রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন এবং একাধিক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।  ধীরে ধীরে শাহ আলম তার বাবার দেয়া নাম পরিবর্তন করে নিজেকে এস আলম দাবি করে একটি প্রতারক চক্র গঠন করেন। প্রতারক চক্রের মূল হোতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এস আলম নিজেই। এই চক্রে আরও যারা রয়েছেন তারা হলেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কালিতলা পাঁচগাছি শান্তিরাম গ্রামের আজির উদ্দিন এর ছেলে মশিউর রহমান, নলডাঙ্গা তালুক সর্বানন্দ গ্রামের আব্দুর রহমান এর ছেলে সবুজ মিয়া, শোভাগঞ্জ আকন্দ পাড়া গ্রামের রবীন্দ্র নাথ এর ছেলে বিপুল কুমারসহ আরো অনেকে। সম্প্রতি গত ৭ ডিসেম্বর এস আলম এর তত্বাবধানে লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা , কালিগঞ্জ, আদিতমারি, কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারি, রৌমারি, চিলমারি, নীলফামারি জেলার ডোমার পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জসহ ৮ টি উপজেলায় নারী উন্নয়ন প্রকল্প অফিস স্থাপন করেন। যার বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা। প্রতারক এস আলম ওই সংস্থার নির্বাহী সদস্য বলে নিজেকে দাবী করেন।  প্রতারক এস আলম উপজেলার প্রতিটি অফিসে তার চক্রের একজন করে ব্রাঞ্চ ম্যানেজার নিয়োগ দেন। ওই কর্মকর্তাগন প্রতিটি থানায় মাসিক মোটা অংকের বেতন-ভাতা দেয়ার কথা বলে মহিলা কর্মী হিসেবে ৩৫ জন করে ট্রেইনার ৫০ হাজার টাকা জামানত নিয়ে নিয়োগ  প্রদান করেন । প্রতারক চক্র প্রথমেই ট্রেইনারদের নিকট থেকে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেন ট্রেইনারদের নাম মাত্র কয়েকদিনে সেলাই প্রশিক্ষণ দেন। এর পর ট্রেইনারদের দায়িত্ব হলো মাঠ পর্যায়ে ৩০ জন সদস্য সংগ্রহ করে তাদেরকে সেলাই প্রশিক্ষণ প্রদান করা। সেলাই মেশিন প্রশিক্ষণ ৩০ জনকে প্রশিক্ষণ শেষে একটি করে সেলাই মেশিন দেয়া হবে। সেই প্রতিশ্র“তি অনুযায়ি প্রশিক্ষনার্থী মহিলাদের নিকট থেকে জন প্রতি ট্রেনিং ও মেশিন বাবদ ১ হাজার ৪শত টাকা করে নেয়া হয়। এতে ওই প্রতারক চক্র ৮টি উপজেলা থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে রাতারাতি উধাও হয়ে যায়। নারী উন্নয়ন প্রকল্প নামের সংগঠনটি কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে বলে জানা যায়। এ ঘটনায় আদিতমারী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এব্যাপারে নারী উন্নয়ন প্রকল্প এর পরিচালক ও উত্তর ফলগাছা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ আলম @ এস আলম এর সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি দম্ভোক্তি করে বলে আমি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার নির্বাহী সদস্য আমাকে কে কি করবে পরে দেখা যাবে। এছাড়াও তিনি মোবাইলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করাসহ সাংবাদিককে দেখে নেয়ার হুমকি দেন।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 5301075064438174815

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item