পঞ্চগড়ে ৬ লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ
https://www.obolokon24.com/2017/06/panchagar_22.html
সাইদুজ্জামান রেজা পঞ্চগড়:
“শেখ হাসিনার উদ্দ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ” এই স্লোগান কে সামনে রেখে, বাংলাদেশ সরকার যখন ২০২১ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌচ্ছে দেওয়ার জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প গুলো যখন আলোর মুখ দেখতে ছিল, ঠিক সে সময়ে কিছু অসাধু ব্যক্তির কারণে বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়ন মুলক প্রকল্প গুলো বাধা গ্রস্থ্য হচ্ছে। সরকারের উন্নয়ন মুলক প্রকল্প গুলো মুখথুবরে পড়ছে। দেশের সাধারণ নাগরিকরা কিছু অসাধু ব্যক্তির কারনে সরকারের উন্নয়ন মুলক প্রকল্পের সুফল ভোগ করতে পারছে না। বাংলাদেশ সরকারের মহৎ উদ্দ্যেগ বাস্তবায়িত হচ্ছে না। এমনি অবস্থা হয়েছে পঞ্চগড়ে। পঞ্চগড় সদর উপজেলার গড়িনা বাড়ী ইউনিয়নের পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা গ্রহনের অভিযোগ করেছেন খোদ পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকেরা। বিভিন্ন মাধ্যমে খবর পেয়ে প্রতিবেদক গড়িনা বাড়ী ইউনিয়নের কামারপাড়া, নতুন বস্তি এলাকায় গেলে বিদ্যুৎ গ্রাহক রবিউল ও মমিনুল ইসলাম জানায়, গোয়ালপাড়া গ্রামের শফিউল ইসলাম পিতা মৃত খাজির উদ্দীন ও কামার পাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম গ্রাহক প্রতি বিদ্যুৎ সংযোগ বাবদ ৬-৭ হাজার টাকা করে নিয়েছে। নতুন বস্তি এলাকার বিদ্যুৎ গ্রাহক তরিকুল ও জুয়েল জানায় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লাইনম্যানের সহকারী সফিকুল ও কামারপাড়া গ্রামের সাইফুল তাদের কাছে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য ৬ হাজার ৫ শত টাকা নিয়েছে। এ বিষয়ে বিদ্যুৎ অফিসের লাইনম্যানের সহকারী শফিকুলের সাথে কথা বললে তিনি জানান অফিসে টাকা ছাড়া কাজ হয় না। গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা তুলেছে সাইফুল ভাই আমি শুধু সাথে ছিলাম। সাইফুলের সাথে কথা বললে তিনি জানান, টাকা তুলে আমি তো খাইনি টাকা ছাড়া এমনিতে কি বিদ্যুতের লাইন দিয়েছে। এ বিষয়ে পঞ্চগড় পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসে ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো: ইউনুছের সাথে কথা বলতে গেলে কাকতালীয় ভাবে ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারের কক্ষে পাওয়া যায়, কামারপাড়া গ্রামের বিদ্যুৎ গ্রাহক আলাউদ্দীন ও স্থানীয় আমিরুল ইসলাম নামের জনৈক ব্যক্তিকে, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো: ইউনুছ কে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে টাকা গ্রহনের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার বিষয়টি অস্বীকার করে বলে যে আমরা শুধু নিরাপত্তা জামানত ফি ৬ শত, ও সদস্য ফি ৫০ টাকা গ্রহন করি। দুই গ্রামে মোট ৯২টি মিটারে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এতো টাকা কে নিয়েছে আমি জানি না কিন্তু ঐ কক্ষেই অবস্থান করা বিদ্যুৎ গ্রাহক আলাউদ্দীন জানান আমি তো ৬ হাজার ৫ শত টাকা দিয়েছি। তখন ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার চুপ হয়ে যান। এসময় ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো: ইউনুছ রাগান্বিত হয়ে তার কক্ষ হতে পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক আলাউদ্দীন ও জনৈক ব্যক্তি আমিরুল ইসলামকে বের করে দেয়। এ সময় ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো: ইউনুছ নিজেকে এমপি ও মন্ত্রীর আতœীয় বলে পরিচয় দিয়ে প্রতিবেদক কে বলে আমি ওদের কে আপনার সাথে দেখা করার জন্য বলবো। এসব বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করবেন না। পরবর্তীতে জনৈক ব্যক্তি আমিরুল ইসলাম প্রতিবেদক কে ফোনে জানান যে টাকা ছাড়া জোনাল অফিস বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে রেখেছিল সব গ্রাহকের টাকা পরিশোধ করার পর বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়।