নীলফামারী পরিসংখ্যান বিভাগে একজন কর্মকর্তার দায়িত্বে ছয় উপজেলা

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ১০ জুন॥
জনবল সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে নীলফামারী পরিসংখ্যান বিভাগে। এতটাই সংকট যে একজন উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন জেলার ছয় উপজেলায়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো নীলফামারী জেলা কার্যালয়ের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা।
সংশি¬ষ্ট সূত্র জানায়, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো জেলা কার্যালয়ে ১ জন উপ-পরিচালকের নেতৃত্বে ১৩ জনের পদ থাকলেও নীলফামারী জেলায় রয়েছে মাত্র ৩ জন। দায়িত্বে থাকা ৩ জনের মধ্যে ১জন উপ-পরিচালক এবং ৪ জন পরিসংখ্যান সহকারীর মধ্যে রয়েছেন ২ জন। সংকট মোকাবেলায় নীলফামারী সদর উপজেলা পরিসংখ্যান অফিস থেকে ১জন কনিষ্ঠ পরিসংখ্যান সহকারীকে প্রেষণে নিয়ে এসে দাফতরিক কাজ স¤পন্ন করা হচ্ছে জেলা অফিসে।
জেলা অফিসে (উপ-পরিচালক কার্যালয়ে) ফাঁকা রয়েছে একজন সহকারী পরিসংখ্যান অফিসার, দুইজন পরিসংখ্যান সহকারী, একজন উচ্চমান সহকারী, দুইজন ডাটা এন্ট্রি/কন্ট্রোল অপারেটর, একজন ক¤িপউটার মুদ্রাক্ষরিক, একজন গাড়িচালক, একজন এমএলএসএস ও একজন নাইটগার্ড।
প্রেষণে নিয়ে আসা সদর অফিসের কনিষ্ঠ পরিসংখ্যান সহকারী কহিনুর ইসলাম বলেন, আমার মূল অফিস সদর উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসে হলেও জেলা অফিস হওয়ার পর থেকে আমি এখানে দায়িত্ব পালন করছি। জনবল সংকটে দাফতরিক কাজে ব্যাঘাত ঘটছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
একই অবস্থা উপজেলা অফিসগুলোতেও। উপজেলা পর্যায়ে পাঁচজনের পদ থাকলেও বেশির ভাগ পদেই লোকবল নেই। ১ জন পরিসংখ্যান কর্মকর্তার নেতৃত্বে ১ জন পরিসংখ্যান তদন্তকারী, দ্ইুজন কনিষ্ঠ পরিসংখ্যান সহকারী ও একজন করে চেইনম্যান থাকার কথা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডিমলা উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা এমদাদুল হক খান ডিমলা অফিস ছাড়াও জেলার পাঁচ উপজেলার দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। সপ্তাহের কোনো না কোনো দিন ডোমার, জলঢাকা, কিশোরীগঞ্জ, সৈয়দপুর ও নীলফামারী সদর অফিসে সময় দেন।
এ বিষয় জানতে চাইলে এমদাদুল হক খান বলেন, কর্মকর্তা না থাকায় আমাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। কষ্টকর হলেও অফিসের প্রয়োজনে এমন দায়িত্ব নিতেই হয়। তবে দ্রুত জনবল সংকট পূরণ করা দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পরিসংখ্যান অফিসের সূত্র মতে, জেলার মধ্যে জলঢাকা ও সৈয়দপুরে ২ জন পরিসংখ্যান তদন্তকারী, কনিষ্ঠ পরিসংখ্যান সহকারী পদে নীলফামারী সদর ও কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় ২জন এবং চেইনম্যান পদে জলঢাকা, নীলফামারী সদর ও ডিমলা অফিসে ৩ জন দায়িত্ব পালন করছেন।
তবে সংকটের কথা স্বীকার করে পরিসংখ্যান ব্যুরো নীলফামারী উপ-পরিচালকের কার্যালয়ের দায়িত্বরত প্রনব পাল  বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে অবহিত করা হয়েছে। অফিসিয়াল ভাবে ছাড়াও আমি ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করে জনবল সংকটের কথা জানিয়েছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ব্যাপার।
যত দ্রুত শূন্য পদগুলোতে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে তত দ্রুত অফিসগুলোয় কাজের গতি বাড়বে বলে তিনি জানান।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 3548972569589551342

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item